প্রথমপাতা  

সাম্প্রতিক সংবাদ 

 স্বদেশ

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশ কমিউনিটি

লাইফ স্টাইল

এক্সক্লুসিভ

বিনোদন

স্বাস্থ্য

বর্তমানের কথামালা

 শিল্প-সাহিত্য

 প্রবাসপঞ্জী 

আর্কাইভ

যোগাযোগ

 

 

 

 

 

জাপান প্রবাসী কামাতাবাসীদের পিঠা উৎসব ২০১৮

 

 


কমিউনিটি রিপোর্ট ।। নভেম্বর ২৭, ২০১৮ ।।

বিদেশের মাটিতে যেখানে তিন বেলা নিয়মিত আহার গ্রহন সম্ভব হয়ে ওঠেনা বিভিন্ন বাস্তবতার কারনেই । সেখানে মৌসুমি খাবারের উৎসব পালন রীতিমতো দুরহ ই বটে । কিন্তু যদি ইচ্ছা শক্তি প্রবল থাকে তাহলে যেকোন দুরহ কাজই যে সম্ভব তা প্রমান করেছে টোকিওর অতা সিটি কামাতাবাসী প্রবাসী বাংলাদেশীরা ।

বাংলাদেশের সব অঞ্চলের পিঠার সমাহার ঘটেছিল জাপানের রাজধানী টোকিওতে। এ যেন পিঠার হাটবাজার। পিঠা উৎসব নামে ব্যতিক্রমধর্মী একটি আয়োজন । আর এই ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজনটি করেছিল টোকিওর ওতা সিটি কামাতাবাসী প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিকবৃন্দ । কামাতাবাসী নাম হলেও মুলত কামাতা মসজিদ সংশ্লিষ্টরা এর মূল ভুমিকায় কাজ করেন । আবার মসজিদ কমিটির সদস্য না হয়েও অনেকে পিঠা তৈরি করে নিয়ে এসেছেন। কেউবা পাঠিয়েছেন।

২৫ নভেম্বর ২০১৮ কামাতাবাসীদের আয়োজিত পিঠা উৎসব হলেও জাপানের সর্বস্তরের প্রবাসীর জন্য তা উন্মুক্ত ছিল। তাই সকলের অংশগ্রহণে পিঠা উৎসবটি হয়েছিল সকলের মিলনমেলায়।

পিঠা উৎসব আয়োজনে প্রচুর জাপানীসহ বিভিন্ন দেশের অতিথীরা উপস্থিত থেকে বাংলাদেশের খাদ্য সংস্কৃতি উপভোগ করেন । শুধু বাংলাদেশী খাদ্য সংস্কৃতির স্বাদ ই যে গ্রহন করেছেন এমনটি নয় , তারা বাংলাদেশের খাবারের ভূয়সী প্রশংসা করে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন । তাঁদের অনেকেই আবার বাংলাদেশ ভ্রমনে স্থানীয়দের আতিথেয়তার অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন ।

গোলাম সাইদ চৌধুরী এবং এমডি. সহিদুল ইসলাম নান্নু'র পরিচালনায় ভোজন পূর্ব সংক্ষিপ্ত শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর তেতসুও মিজুকামি , প্রফেসর ইয়শিয়াকি এডউইন নোরো , চিবা ইসলামিক কালচারাল সেন্টার এর চেয়ারম্যান হাজি কিওইচিরো সুগিমোতো , এ.পি.এফ.এস. এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং বর্তমান উপদেষ্টা ইয়োশিনারি কাতসুও , আসাই হিদেকি , কামাতা মসজিদ কমিটির সভাপতি কিমুরা শরীফ , সাকাই খান , সানাউল হক , গাজী হেলাল , লিয়াকত হোসেন , বাদল চাকলাদার , নুর আলী , আসলাম কোরাইসী , এমদাদ মনি আরিফ , বাশার , শামীম আহমেদ , কামাতা মসজিদের খতীব মাওলানা হাবিবুর রহমান , মোঃ আলামীন খান প্রমুখ ।

আর এই উৎসবে বিভিন্ন মুখরোচক খাবার তৈরি করে যারা উৎসবকে মহিমান্বিত করেছেন তারা হলেন , ফারজানা নান্নু , মুক্তা সাইদ , সুবর্ণা রবিন , শামীম আহমেদ , নুর আলি , বিথী খান , লাবনী মাক্সুদ , খাদিজা ময়েজ , খতিব হাবিবুর রহমান , শম্পা জহির , সাবিনা কায়েস , জোস্না , রুবি , রোকসানা জাহাঙ্গীর , নাজিয়া মিঠু , রাশিদা সানাউল , ফাতেমা মাহমুদ , দেওয়ান বিথী , খুশবু সাহাদাত , ফারজানা বাশার , শামিন তৌহিদ প্রমুখ ।

পিঠা পায়েসের মধ্যে ছিল পোয়া পিঠা ,লবঙ্গ লতিকা , আনতোসা , পাটিসাপটা , খাস্তা , শাসলিক , রোল , মালপোয়া , সাজের পিঠা , চিতোই পিঠা ( ভিজানো এবং শুকনা ) , ভাপা পিঠা , ছিট রুটি , ফুলজুরি ,রুশি , মাংস পুলি প্রভৃতি । এছাড়াও ছিল সেমাই , চোই সেমাই , পায়েস , খির , গরুর মাংস ভুনা , মুরগীর গ্রীল , জিলাপী ও কেক ।

ওতা শহরকে বলা হয় জাপানের সিঙ্গাপুর। টোকিওর এই শহরটিতে রয়েছে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হানেদা এয়ারপোর্ট। রয়েছে বিভিন্ন ভারী, মাঝারি এবং ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অসংখ্য শিল্প কারখানা। টোকিওতে নিজস্ব ভবনে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এন. কে ইন্টারন্যাশনাল এই শহরেই অবস্থিত। ওতাবাসী প্রবাসী সমাজের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এখানে নিজস্ব জায়গায় গড়ে উঠেছে একটি মসজিদ যা কামাতা মসজিদ নামে পরিচিত। 
 

 

WARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action.

[প্রথমপাতা]