প্রথমপাতা  

সাম্প্রতিক সংবাদ 

 স্বদেশ

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশ কমিউনিটি

লাইফ স্টাইল

 এক্সক্লুসিভ

বিনোদন

স্বাস্থ্য

বর্তমানের কথামালা

 শিল্প-সাহিত্য

 প্রবাসপঞ্জী 

আর্কাইভ

যোগাযোগ

 

 

 

 

জাপানে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০১৯ উপলক্ষে দূতাবাসের নানা আয়োজন

 

 

কমিউনিটি রিপোর্ট ।। মার্চ ১৯, ২০১৯ ।।

বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও নানা আয়োজনে জাপানস্ত বাংলাদেশ দূতাবাসে ১৭ মার্চ ২০১৯ রোববার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদ্‌যাপিত হয়েছে। শিশুদের বাহারী রঙ বেরং এর পোষাকে এদিন বর্ণিল সাঁজে সেজে ছিল বাংলাদেশ দূতাবাস টোকিও।

দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ দুতাবাস এক কর্মসূচি গ্রহন করে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, বিশেষ দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভা, শিশুকিশোরদের জন্য কুইজ প্রতিযোগিতা, যেমন খুশি তেমন সাজো এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং সবশেষে কেক কাটা।

এরপর রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা শিশু কিশোরদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তারপর সারিবদ্ধভাবে একে একে সকলে শ্রদ্ধা জানান। এসময় জাপানী অতিথিরাও প্রবাসীদের সাথে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান।

শ্রদ্ধা জানানো পর্ব শেষ হলে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবারের নিহত সকল সদস্যের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং দেশ ও দশের মঙ্গল কামনা করে বিশেষ দোয়া প্রার্থনা করা হয়। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন দূতাবাসের প্রথম সচিব (প্রেস) শিপ্লু রহমান।

এরপর দুতাবাস কর্মকর্তাগন দিবসটির তাৎপর্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বানী সমূহ পাঠ করে শোনান।

এছাড়াও দিবসটির তাৎপর্যে বক্তব্য রাখেন জাপান আওয়ামীলীগের সভাপতি সালেহ মোঃ আরিফ, সাধারন সম্পাদক খন্দকার আসলাম হিরা, কাওসার আহমেদ লাইজু , মীর হোসেন মিলন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ টুঙ্গিপাড়ায় বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাসের সূচনা হয়। সেদিন যদি শেখ মুজিব নামের নক্ষত্রের জন্ম না হতো বাংলাদেশ নামের ভূখণ্ডটি আমরা পেতাম না।

জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার দৃপ্ত প্রত্যয়ে অনুপ্রাণিত হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তশালী করার আহবান জানান বক্তারা।

শিশুদের বিষয়ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ হয় যথাক্রমে নওসিন রহমান এবং দ্যুতি অনন্যা ।

শিশুদের যেমন খুশী সাজো ( বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ ) প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ হয় যথাক্রমে আজরিন কারিমা নাবা ও ইয়ানা জাহির ইয়ুকি ।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করে স্বরলিপি কালচারাল একাডেমী টোকিও। স্বরলিপির শিশু শিক্ষা বিভাগের একঝাক শিশুকিশোর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেয় ।

টোকিও ও আশেপাশের অঞ্চল থেকে আগত প্রবাসী ও তাঁদের সন্তানদের উৎসাহ ও উদ্দীপনায় মুখোর ও প্রাণোচ্ছল হয়ে উঠেছিলো দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তন। জাপানে বসবাসরত শিশু-কিশোরদের জন্য আয়োজনটি- 'প্রাণের মেলা' হয়ে উঠেছিল। সেখানে গভীর শ্রদ্ধা ও পরম মমতায় তাঁরা স্মরণ করেছে স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে, শিক্ষা নিয়েছে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ সম্পর্কে।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে রাষ্ট্রদূত উপস্থিত শিশুকিশোরদের নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী পালনের কেক কাটেন। একই আয়োজনে কেক কেটে উদযাপন করা হয় জাতীয় শিশু দিবস ২০১৯।

রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা চ্যাম্পিয়ন , রানার আপ সহ অংশগ্রহন কারী সকলকে উৎসাহ পুরস্কার প্রদান করেন। এছাড়াও র‍্যাফেল ড্র'র পুরস্কার প্রদান করা হয়। সবশেষে আপ্যায়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে ।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব তুষিতা চাকমা।
 

 

WARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action.

[প্রথমপাতা]