প্রথমপাতা  

সাম্প্রতিক সংবাদ 

 স্বদেশ

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশ কমিউনিটি

লাইফ স্টাইল

 এক্সক্লুসিভ

বিনোদন

স্বাস্থ্য

বর্তমানের কথামালা

 শিল্প-সাহিত্য

 প্রবাসপঞ্জী 

আর্কাইভ

যোগাযোগ

 

 

 

 

"মে ডে ২০১৯" উপলক্ষে অভিবাসীদের নিয়ে এপিএফএস এর উদ্যোগ

 

 

 

কমিউনিটি রিপোর্ট ।। এপ্রিল ৩০, ২০১৯ ।।

"মে ডে ২০১৯" উপলক্ষে জাপানে বসবাসরত বিদেশী শ্রমিকদের নিয়ে এশিয়ান পিপলস ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি (এপিএফএস) জাপান, এক সমাবেশ এর আয়োজন করে।

২৮ এপ্রিল ২০১৯ রোববার টোকিওর ইতাবাশি জেলার 'ইতাবাশি ওয়ার্ড গ্রীন হল'এ আয়োজিত সমাবেশে সর্বস্তরের অভিবাসীরা অংশ নিয়ে থাকেন।

এশিয়ান ভুক্ত দেশগুলি হলেই প্রবাসী বাংলাদেশীদের অংশগ্রহণই ছিল সিংহ ভাগ। তার কারন, ১৯৮৭ সালে অভিবাসীদের প্রতি মানবিক দায়িত্ব পালনে মানবতাবাদী, অভিবাসীদের অত্যন্ত কাছের মানুষ ইয়োশিনারি কাতসুও'র হাত ধরে এপিএফএস-এর যাত্রা শুরু হয়েছিল টোকিওর ইতাবাশি নামক জেলাটিতে। প্রতিষ্ঠালগ্নে ইয়োশিনারি সংগঠনটির সম্মুখভাগে থাকলে এর পেছনের কুশীলবদের সবাই ছিলেন মূলত বাংলাদেশি। যা বর্তমানেও অব্যাহত রয়েছে। এর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন একজন বাংলাদেশি। বর্তমান সাধারণ সম্পাদকও একজন বাংলাদেশি, ইয়োশিনারি কাতসুও তাই সবসময় বলে থাকেন এপিএফএস হলো বাংলাদেশিদের সংগঠন।

সমাবেশে স্বাগতিক বক্তব্য রাখেন, এপিএফএস'র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ইয়োশিনারি কাতসুও।

স্বাগতিক বক্তব্যে ইয়োশিনারি কাতসুও বলেন, কর্মক্ষেত্রে জাপান আইনে বিদেশী এবং জাপানীদের সম অধিকার। অনেকেই তা জানেন না। নিজেদের অধিকার নিজেদের ছিনিয়ে আনতে হয়। এপিএফএস এই ব্যপারে আপনাদের সহযোগিতা করতে পারবে। তবে, কাজটি করতে হবে আপনাদেরই।

ইয়োশিনারি কাতসুও তার শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, যে আদর্শ ও উদ্দেশ্য নিয়ে এপিএফএস যাত্রা শুরু করেছিল বর্তমানেও সেই আদর্শ ও উদ্দেশ্য থেকে পিছপা হয়নি। এপিএফএস পূর্বের ন্যায় বর্তমানেও আপনাদের পার্শ্বে থাকবে। শুধুমাত্র ভিসাহীনদের জন্যই এপিএফএস কাজ করেনা, ভিসাধারী যারা বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিতদের দাবী আদায়েও কাজ করে থাকে।

তিনি বলেন, জাপানে অভিবাসীদের প্রয়োজনীতা রয়েছে। বর্তমান আইনে অভিবাসীদের ক্ষেত্রে নিয়ম কিছুটা শিথিল করা হলেও তা পর্যাপ্ত নয়।

জাপান সরকারকে অভিবাসীদের ব্যাপারে আরও নমনীয় হতে হবে এবং নিয়মকানুনও শিথিল করতে হবে, জাপানের স্বার্থেই তা করতে হবে। নতুবা জাপানের অর্থনীতির ওপর তার প্রভাব পড়বে, কারণ ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা হ্রাস এবং কাজের প্রতি অনীহা জাপানের অর্থনীতিকে হুমকির মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে।

মুল প্রবন্ধ পাঠ করেন বর্তমান সভানেত্রী মায়ুমি ইয়োশিদা।

মুল প্রবন্ধে মায়ুমি ইয়োশিদা এপ্রিল ২০১৯ থেকে জাপানে বিদেশী নাগরিকদের জন্য আইন পরিবর্তনের বিভিন্ন দিক বিশদভাবে তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, সার্বিক বিবেচনায় এই পরিবর্তন হয়তোবা বড় কিছুই নয়। তবু জাপানী বিবেচনায় অনেক বড় একটা পরিবর্তন বলতে হবে। হয়তো আগামীতে আরো পরিবর্তন হবে বলে আমরা আশা করি।

তিনি আগামী ৫ বছরে জাপানে ৯টি দেশ থেকে ৩,৫০,০০০ বিদেশী শ্রমিক আসার কথার উল্লেখ করেন। এই নয়টি দেশ হচ্ছে, ফিলিপিন্স, ভিয়েতনাম, চায়না, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, কম্বোডিয়া, নেপাল এবং মঙ্গোলিয়া। আগামীতে হয়তো শ্রমিক এর সংখ্যা এবং অন্তর্ভুক্ত দেশের সংখ্যা হয়তো বৃদ্ধি পাবে এবং সেখানে বাংলাদেশের নামটি অন্তর্ভুক্ত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

সমাবেশে অন্যান্য দেশের নাগরিকদের সাথে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন, মুকুল মুস্তাফিজ, এমডি নাসিরুল হাকিম, আনোয়ার হোসেন, জুয়েল আহসান কাম্রুল, রাহমান মনি এবং এমডি সহিদুল ইসলাম নান্নু।

এছাড়াও আনোয়ার হোসেন 'মে দিবস' এর শ্লোগানের নেতৃত্ব দেন এবং এমডি এস ইসলাম নান্নু 'চিয়ার্স'-এর মাধ্যমে নৈশ আপ্যায়নের সূচনা করেন।

সমাবেশে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নিজস্ব দেশীয় সংস্কৃতি পরিবেশন করে মিয়ানমারের আরাকান সাংস্কৃতিক দল এবং বাংলাদেশের উত্তরণ বাংলাদেশ কালচারাল গ্রুপ ও স্বরলিপি কালচারার একাডেমী টোকিও।
 

 

 

WARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action.

[প্রথমপাতা]