প্রথমপাতা  

সাম্প্রতিক সংবাদ 

 স্বদেশ

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশ কমিউনিটি

লাইফ স্টাইল

 এক্সক্লুসিভ

বিনোদন

স্বাস্থ্য

বর্তমানের কথামালা

 শিল্প-সাহিত্য

 প্রবাসপঞ্জী 

আর্কাইভ

যোগাযোগ

 

 

 

 

জাপানে চট্টলার নবান্ন উৎসব

 

 

আমরা প্রতিটি ঋতুতে এক একভাবে গ্রহন করি,আর তা যদি হয় প্রবাসে তা হলে তো ক্ষুধাটা বেড়ে যায় দ্বিগুণ।তাই ৮ই ডিসেম্বর,২০১৯ প্রথমবারের মত নবান্নের উৎসবে মেতে উঠেছিলাম চট্টগ্রামের আমরা সমমনা ক’জনা।এটা ছিল “জাপানে চট্টলা”র ২য় মিলনমেলা।

দিনটি ছিল ঠিক যেন গ্রামবাংলাকে কাছ থেকে দেখার একটি স্বচ্ছ আয়না।
ছেলেমেয়েদের ছড়া,কবিতা,গান এবং বড়দের “চট্টগ্রামের জনপ্রিয় গান ও আড্ডা”য় মুখরিত ছিল আমাদের পিঠাঘর।

সমবেত সঙ্গীতে স্হান করে নিয়েছিল,
“বাঁশখালী... ... মহেশখালী
বাঁশখালী... ... মহেশখালী
ফাল উড়াইয়া দিলে শাম্পান গুরগুরাই টানে
ওরে ফাল উড়াইয়া দিলে
শাম্পান গুরগুরাই টানে
তোরা হন হন যাবি আর শাম্পানে...
তোরা হন হন যাবি আর শাম্পানে।”গানটি।

কথা,গান আর উন্মুক্ত আড্ডার ফাঁকে কখন যে দুপুর হল আর খাবার টেবিলও সব্যসাচী রমণীদের হাতের স্পর্শে চোখের পলকেই গ্রাম বাংলার মজাদার এবং লোভনীয় খাবারে ভরে গেল টেরই পেলাম না।একেই কি বলে,”যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে!”
জাপানে চট্টলার পিঠাঘরে দেখা মিলল নানান রকমের পিঠা সাথে দুপুরের কিছু আয়োজন।
পিঠা এবং অন্য খাবারগুলোর মধ্যে এগুলোর নাম না বললেই নয়...
নকশিপিঠা,২রকমের(নারিকেল )পুয়া পিঠা,ঝাল চন্দ্রপুলি পিঠা,পায়েস,সমুচা,ভাপাপিঠা,কলা পিঠা,নুডল্স,তেলের পিঠা,সাদাভাত,মাটন রেজালা,টমেটোর চাটনি,চিকেন বিরিয়ানি।

যাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রম আর চেষ্টায় গ্রামবাংলার চিরচেনা এক রুপ দেখলাম,তাঁদের নাম না বললে যেন আনন্দ এবং আমার এই লিখাটি অর্থহীন ও অপূর্ণ থেকে যায়,তাঁরা হলেন..
লীনা’দি,ছন্দা’দি,হ্যাপি এবং শান্তা।ধন্যবাদ তাঁদের প্রাপ্য।

এবার আরও একটি নতুন মুখ ছিল অনুষ্ঠানে,”আমাদের চাঁটগার জামাই”।কূড়িগ্রামের এই মানুষটি বিনি সুতোর বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন চট্টলার এক রমনীর সাথে তাই তার ... প্রিয় শালা ও শালী সম্বোধনে রাগ করার উপায় ছিলনা।

গল্প আর আড্ডার মধ্য দিয়ে কখন যে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে নেমে এলো বুঝতেই পারলাম না।কর্মব্যস্ত জীবনে তাড়া ছিল সব কিছু গুছিয়ে বাসায় ফেরার।আমাদের কাজে হাত লাগাতে কুন্ঠাবোধ করল না আমাদেরই কর্মঠ পুরুষরা(তাপসদা’,সনৎদা’,মঈন,রুবেল ও খায়রুল)।তাঁদেরও মনে ঠাঁই দিলাম লিখার ফাঁকে।মনে ধ্বনিত হল একতা’র সুর,একটি দিন ঠিক যেন সবার মনের গহীনে নবান্নকে ধরে রাখার অক্লান্ত চেষ্টার সফল পরিণতি।
এভাবেই খুঁজে পেলাম প্রবাসেও আমি আমার গ্রামবাংলাকে,হারিয়ে গেলাম আমি আমার গ্রামবাংলায়....।

অনুষ্ঠান পরিকল্পনা,পরিচালনা উপস্থাপনায় ছিলেন শারমিন এবং খায়রুল বাশার,যাকে নিয়ে আমার এ পথচলা.......

শারমিন আরসা উল্লাহ সোমা
জাপান

 

 

WARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action.

[প্রথমপাতা]