অনুপযুক্ত সামাজিক মিডিয়া পোস্টের জন্য জাপানি বিচারক অভিশংসিত
কমিউনিটি রিপোর্ট ।।
২০১৭ সালে সামাজিক মিডিয়ায় কিছু বার্তা পোস্টের জন্যে জাপানের একজন
হাইকোর্টের বিচারককে অভিশংসন করা হয়েছে, ওই পোস্টটি দুই বছর আগে খুন হওয়া
একটি হাইস্কুল ছাত্রীর শোকাহত পরিবারের জন্যে আপত্তিকর বলে প্রমাণিত হয়েছিলো।
এই প্রথম কোনও বিচারককে তার মতামত প্রকাশের জন্যে বরখাস্ত করা হলো।
বর্তমানে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রাপ্ত সেনদাই হাইকোর্টের বিচারক কিইচি
ওকাগুচি'কে ধারাবাহিক কিছু পোস্টের জন্যে গঠিত ইমপিচমেন্ট কোর্টের বিচারক
মনে করেন মত প্রকাশের স্বাধীনতার সুযোগের বাইরে গিয়ে তিনি "ঘোর অসদাচরণ"
করেছেন।
আপিল করার কোনো বিকল্প না থাকায়, এই রায়ের অর্থ হল ওকাগুচি কমপক্ষে পাঁচ
বছরের জন্য তার আইনি যোগ্যতা হারাবেন।
৫৮ বছর বয়সী হলেন এ পর্যন্ত অষ্টম বিচারক যাকে আদালত অসদাচরণের জন্য
বরখাস্ত করেছে, সর্বশেষ প্রায় ১১ বছর আগে গোপনে ট্রেনে একজন মহিলার
স্কার্টের নীচের ছবি তোলার জন্য একজন বিচারক বরখাস্ত হয়েছিলেন।
ওকাগুচিকে ২০১৫ সালে হাইস্কুলের ছাত্রী কানা ইওয়াসের হত্যার সাথে
সম্পর্কিত করা ১৩টি পোস্টের জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে, ছাত্রীটি তার
মৃত্যুর সময় ১৭ বছর বয়সী ছিলেন।
২০১৭ সালে, তিনি তার ব্যক্তিগত টুইটার অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছিলেন ইওয়াসেকে
"নির্দয়ভাবে" একজন "পুরুষ হত্যা করেছিলো যার একজন মহিলাকে শ্বাসরোধ করা এবং
যন্ত্রণাদায়ক হতে দেখে যৌন উত্তেজিত হওয়ার প্রবণতা রয়েছে।"
টুইটের প্রায় দুই বছর পর, তিনি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন যে "টোকিও হাইকোর্ট
অফিস এবং অন্যরা আমার সমালোচনা করার জন্য শোকাহত পরিবারের মগজ ধোলাই করেছে।"
রায় দেওয়ার সময়, প্রিসাইডিং বিচারক হাজিমে ফুনাদা বলেন ওকাগুচি তার
পরবর্তী পোস্টের মাধ্যমে ভুক্তভোগীর পরিবারের "সম্মান নষ্ট করেছেন"।
ভুক্তভোগী পরিবারের আনা ক্ষতিপূরণ মামলায়, টোকিও হাইকোর্ট জানুয়ারিতে
ওকাগুচিকে নিম্ন আদালতের সিদ্ধান্ত বহাল রেখে তার সামাজিক মিডিয়া
পোস্টগুলির অংশের জন্য ক্ষতিপূরণ হিসাবে ৪৪০,০০০ ইয়েন প্রদানের আদেশ দেয়।
পরে রায় চূড়ান্ত হয়। কিয়োদো।
WARNING:
Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content
is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to
legal action.
[প্রথমপাতা]
|