প্রথমপাতা  

সাম্প্রতিক সংবাদ 

 স্বদেশ

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশ কমিউনিটি

লাইফ স্টাইল

এক্সক্লুসিভ

বিনোদন

স্বাস্থ্য

বর্তমানের কথামালা

 শিল্প-সাহিত্য

 প্রবাসপঞ্জী 

আর্কাইভ

যোগাযোগ

 

 

 

 

 

বায়তুল আমান মসজিদ কমপ্লেক্সঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন জাপান’র মত বিনিময় সভায় সকলের সহযোগিতা কামনা

 

 

 

কমিউনিটি রিপোর্ট ।। জুলাই ১, ২০২০ ।।

জাপানে এ যাবত কালের সবচেয়ে বড় মসজিদ “বায়তুল আমান মসজিদ কমপ্লেক্স” গৃহীত প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রয়োজন সবার সহৃদয় সহযোগিতা। সকলের আন্তরিক সহযোগিতা-ই পারে এমন একটি মেগা প্রকল্পের বাস্তবায়নে লক্ষ্যমাত্রায় পৌছতে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন জাপান’র মত বিনিময় সভা বক্তারা এমনটিই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

২৮ জুন ‘২০ রোববার “বায়তুল আমান মসজিদ কমপ্লেক্স”ভবনে ইসলামিক ফাউন্ডেশন জাপান এক মত বিনিময় সভার আয়োজন করে। বেলায় ১১ টায় প্রকল্প চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল মোমেন এর পরিচালনায় আয়োজিত মত বিনিময় সভায় মঞ্চে আরো উপস্থিত ছিলেন, প্রকল্প সদস্য মাওলানা ছাবের আহমেদ, আব্দুল মালেক , ইঞ্জিনিয়ার সোহাগ সিদ্দিকী এবং হাফেজ আলাউদ্দিন প্রমুখ।

মত বিনিময় পূর্ব এক আলোচনা সভায় মূল আলোচক ছিলেন বায়তুল আমান মসজিদের খতিব মাওলানা ছাবের আহমেদ। বায়তুল আমান মসজিদ কমপ্লেক্স এর পরিকল্পনা ( মাষ্টার প্লান ) সম্পর্কে অবহিত করেন ইঞ্জিনিয়ার সোহাগ সিদ্দিকী। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন মোঃ সিরাজ হক এবং হাফেজ মোঃ আলাউদ্দিন , আব্দুল মালেক প্রমুখ।

ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম আজাদ এর কণ্ঠে পবিত্র কোরআন তেলোয়াতের পর মোঃ আনোয়ার হোসেন রেজা কর্তৃক হামদ পরিবেশনার মধ্য দিয়ে মত বিনিময় সভার আয়োজনের কার্যক্রম শুরু করা হয়।

মুল আলোচক মাওলানা মোঃ ছাবের আহমেদ বায়তুল আমান মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মাণে প্রবাসীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে কোরআন ও হাদিসের আলোকে মসজিদ নির্মাণ কে সদকায়ে জারিয়া আখ্যায়িত করে বলেন, দুনিয়াতে যে বা যিনি একটি মসজিদ বা আল্লাহ্‌র ঘর নির্মাণ করবেন বা সহযোগিতা করবেন মহান আল্লাহ্‌ তায়ালা বেহেশতে তার জন্য একটি ঘর নির্মাণ করে দিবেন।

মাওলানা ছাবের বলেন , সদকায়ে জারিয়া জীবদ্দশায় করতে হয় যার ছওয়াব রোজ কিয়ামত পর্যন্ত পাওয়া যাবে। মৃত্যুর পর কিংবা শেষ সময়ে করার সুযোগ থাকে না।

তিনি বলেন, ফেরেশতাদের মাধ্যমে আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামীন দুনিয়াতে প্রথম ঘর ‘বায়তুল্লাহ’( কাবা ঘর ) নির্মাণ করে দেন। এরপর হযরত ইব্রাহীম ( আঃ ) দ্বিতীয় মসজিদ হিসেবে জেরুজালেমে আল-আকসা ( বাইতুল মুকাদ্দাস ) নির্মাণ করেন।

এরপর আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতের অভিমুখে সর্বপ্রথম যে মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন, তার নাম কুবা মসজিদ। এখানে তিনি সর্বপ্রথম নামাজ আদায় করেন। হিজরী প্রথম বর্ষে এটা নির্মিত হয়। এখান থেকেই রাষ্ট্রতন্ত্র , সমাজ তন্ত্র , আইন প্রনয়ন সহ সব কিছু পরিচালনা করতেন আমাদের প্রিয় নবী।

মাষ্টার প্ল্যান সম্পর্কে ইঞ্জিনিয়ার সোহাগ সিদ্দিকী বলেন, বর্তমান সার্বিক পরিস্থিতির কারনে মাষ্টার প্ল্যান বাস্তবায়নে আরও দুই তিন বছর সময় লেগে যাবে। তাই আমাদের কে প্ল্যান বদল করে দুই ভাগে ভাগ করে সামনে এগুতে হবে। তবে , আমাদের প্রতিশ্রুতি মোতাবেক মাষ্টার প্ল্যান এর পরিকল্পনায় কোন হেরফের হবে না।

তবে, বর্তমান পরিস্থিতিতে নামাজ আদায়ের উপুযক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে। আগামী মাসের শেষ নাগাদ পবিত্র ঈদুল আযহা নামাজ আদায়ের টার্গেট নিয়ে ইতোমধ্যে আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি । আর এই জন্য মোট খরচ হবে প্রায় ১,০০,০০,০০০ ইয়েন ( জাপানী এক হাজার মান ইয়েন )।

তিনি বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৮,০০,০০,০০০ ইয়েন বা ১.৭ মিলিয়ন আমেরিকান ডলার বা জাপানী ভাষায় ১৮ হাজার মান ইয়েন। যার মধ্যে মূল গাড়ি পার্কিং এবং শতাধিক ভুমি বাবদ ১৫.৫ হাজার মান এবং রেজিস্ট্রি ও পুনর্গঠন বাবদ ১,৫০০ মান ইয়েন।

ইতোমধ্যে ১২ হাজার মান ইয়েন অর্থ সংগ্রহ করে এবং জাপানে বসবাসরত বাংলাদেশ সহ অন্যান্য দেশীয় মুসলিম ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বিনা সুদে এবং সহজ শর্তে পরিশোধযোগ্য ৫হাজার ৫ শত মান ইয়েন কর্যে হাসানা হিসেবে সহযোগিতা নেয়া হয়েছে। জমির সম্পূর্ণ মূল্য পরিশোধ করা হয়েছে । যার সর্বশেষ কিস্তি হিসেবে ১৯ ফেব্রুয়ারি পরিশোধ করে রেজিস্ট্রি করা হয়। আমাদের সৌভাগ্য যে আল্লাহ্‌র অসীম রহমতে করোনা মহামারী আকার ধারন করার পূর্বেই প্রকল্পের অর্থ পরিশোধ করা সম্ভব হয়েছিল।

ইঞ্জিনিয়ার সোহাগ সিদ্দিকী আরো বলেন, গত ২০১৯ সালের ২৬ মে (পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন) চুক্তি স্বাক্ষরের মাত্র ১২ হাজার মান সংগ্রহ করা ছিল দুরহ একটি কাজ। আল্লাহ্‌ তায়ালার অশেষ মেহেরবানি এবং সকলের ঐকান্তিক সহযোগিতায় তা সম্ভব হয়েছে। আর , এইজন্য আমাদের কে জাপানের ২৪/২৫ টি প্রদেশে যেতে হয়েছে অর্থ সংগ্রহ করতে। একাদিকবার বৈঠক করতে হয়েছে।

এখন বাকী কাজ গুলো শেষ করতে প্রবাসে সচেতন মুসলিম সমাজের সহৃদয় ব্যক্তিবর্গের কাছ থেকে আর্থিক সহযোগিতা একান্তভাবে কামনা করা যাচ্ছে এবং জরুরী ভিত্তিতে। সকলের আন্তরিক এবং আর্থিক সহযোগিতায়-ই কেবল পারে এমন একটি মহতী উদ্যোগকে সাফল্যের মুখ দেখাতে।

এরপর অর্ধ শতাধিক মুসল্লির উপস্থিতিতে মত বিনিময় সভায় মুসল্লিরা আগামীতে বায়তুল আমান মসজিদ কমপ্লেক্স প্রকল্পকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে আগামীতে এর পরিচালনায় বিভিন্ন দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখেন।।

 

 

WARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action.

[প্রথমপাতা]