প্রথমপাতা  

সাম্প্রতিক সংবাদ 

 স্বদেশ

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশ কমিউনিট

লাইফ স্টাইল

 এক্সক্লুসিভ

বিনোদন

স্বাস্থ্য

বর্তমানের কথামালা

 শিল্প-সাহিত্য

 প্রবাসপঞ্জী 

আর্কাইভ

যোগাযোগ

 

 

 

 

জাপানে বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন করেছে বিএনপি [নূর আলী-নান্নু]

 


কমিউনিটি রিপোর্ট ।। নভেম্বর ১০, ২০২০ ।।

বিএনপি'র জাপান শাখা যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যে বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন করেছে।

দিবসটি পালন উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ( বিএনপি ) জাপান শাখা এক আলোচনা সভার আয়োজন করে।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, জাপান বিএনপি’র প্রধান উপদেষ্টা এমডি, এস, ইসলাম নান্নু ।

৮ নভেম্বর ২০২০ রোববার টোকিওর কিতা সিটি হিগাশি জুজো ফুরেআইকান-এ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জাপান শাখা বিএনপি’র সভাপতি আলহাজ্জ্ব নুর এ আলম নুর আলী। এ সময় মঞ্চে আরো উপস্থিত ছিলেন সহ সভাপতি এমদাদুল হক মনি এবং যুগ্ম সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ডিও, সাংগঠনিক সম্পাদক নজ্রুল ইসলাম রনি, সিনিয়র নেতা দেলোয়ার হোসেন দফতরি এবং জসিম উদ্দিন । সভাটি পরিচালনা করেন সহ সাংগঠনিক সম্পাদক নূর খান রনি।

পবিত্র কোরআন তেলোয়াতের মধ্য দিয়ে সভার কার্যক্রম শুরু করা হয়। পবিত্র কোরআন থেকে তেলোয়াত করেন মোঃ আবুল খায়ের ভূঁইয়া।

এরপর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ( বিএনপি )’র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ( বীর উত্তম ) , করোনায় নিহতদের সহ স্বাধিকার আন্দোলনে নিহত এবং মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সকলের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

আলোচনায় অংশ নিয়ে দিবসটির তাৎপর্যে বক্তব্য রাখেন শাকিল রহমান, শাহরিয়ার আহমেদ সিফাত, মোঃ শরিফ সিকদার, মোল্লা সেলিম আহমেদ, আনোয়ার হসেন রনি, মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান জনি, ওমর ফারুক রিপন, মোঃ মিঠু, জুবায়ের সানী,মোঃ আবুল খায়ের ভূঁইয়া, মোঃ নজরুল ইসলাম রাজীব, মনির হোসেন, হারুনুর রশিদ রাজু, মাহফুজুর রহমান সোহেল , মাহফুজ আহমেদ , কাম্রুল হাসান পল, সেখ মাক্সুদ, গাজী হেলাল , আব্দুল হাইয়ুল , স্বপন বেপারী, আবতাব উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম রফিক, মোঃ শাহীন, শাহরিয়ার সাজ্জাদ , মোঃ জসিম , নজ্রুল ইসলাম রনি, দেলোয়ার হোসেন দফতরি , দেলোয়ার হোসেন ডিও, এমদাদ মনি, এমডি. এস. ইসলাম নান্নু প্রমুখ ।

বক্তারা বলেন, ৭ই নভেম্বর হয়েছিল বলেই আজ বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীন ভাবে চলাফেরা করতে পারছে। যদিও ভোট চোর এই অবৈধ সরকার মানুষের বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে জনগন দিন কাটাচ্ছে।

বক্তারা বলেন, এমন সময় শহীদ জিয়ার মতো কাণ্ডারির বড়ই প্রয়োজন। আমাদের এখন সবচেয়ে বড় প্রয়োজন একতাবদ্ধ থেকে আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের মাতা, দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা।

তারা আরও বলেন, দিনে বিএনপি আর রাতে আওয়ামীলীগ এমন নেতার স্থান বিএনপিতে দরকার নেই। বিএনপি করবেন আর দলের গঠনতন্ত্র মানবেন না, এমন নেতারও দরকার নেই। দল করতে হলে চেয়ারপারসন অনুমোদিত কমিটির সভাপতির কমান্ড মানতে হবে। তাকে সভাপতি মেনেই সাংগঠনিক নিয়ম মানতে হবে।

তবে, দলের শৃংখলা মানলে যে কোন সময় দলে ফিরে আসার সুযোগ রয়েছে বলে বক্তারা উল্লেখ করেন। ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কোন বিকল্প নেই। ঐক্যবদ্ধভাবেই স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার হটিয়ে সার্বভৌমত্ব রক্ষা করে জনগনের বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে হবে। ভারতের গোলামী করার জন্য এদেশ স্বাধীন করা হয় নাই।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমডি, এস, ইসলাম নান্নু ঐক্যবদ্ধভাবে বর্তমান অবৈধ হাসিনা সরকার হটানোর উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে মতানৈক্য থাকতেই পারে, তবে আমরা সবাই শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিক। তাই , আসুন আমরা নিজেদের মধ্যকার ভেদাভেদ ভুলে দেশ গঠনে কাজ করি।

সমাপনী বক্তব্যে সভাপতি আলহাজ্জ্ব নুর এ আলম নুর আলী বলেন, যতোদিন স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ থাকবে, ততোদিন ইতিহাসে ৭ নভেম্বর একটি উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করে থাকবেই। অবৈধ সরকার বিপ্লবের চেতনাকে ভয় পায়, তাই তারা ৭ নভেম্বরের বিপ্লবের মহানায়ক মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সুযোগ্য সহধর্মিণী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ফরমায়েশি সাজা দিয়ে জামিনের নামে মূলত কারাগারেই আটকে রেখেছে।

তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করে রাতের অন্ধকারে ভোট চুরি করে ক্ষমতা দখল করেছে। তারা জানেনা যে, বিপ্লব এদেশের মানুষের শিরায় শিরায় বহমান। আর , বর্তমান ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী দেশ-জাতি, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের শক্র। তাই, যতোই জুলুম-নিপীড়ন চালানো হোক না কেনো, বিপ্লবীদের দমিয়ে রাখার সাধ্য কারো নেই। তিনি আরও বলেন, ৭ নভেম্বরের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে দেশে-বিদেশে সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। প্রয়োজনে আরেকটি বিপ্লব করতে হবে, যার নেতৃত্বে দিবেন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া।

 

 

WARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action.

[প্রথমপাতা]

.