প্রথমপাতা  

সাম্প্রতিক সংবাদ 

 স্বদেশ

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশ কমিউনিটি

লাইফ স্টাইল

এক্সক্লুসিভ

বিনোদন

স্বাস্থ্য

বর্তমানের কথামালা

 শিল্প-সাহিত্য

 প্রবাসপঞ্জী 

আর্কাইভ

যোগাযোগ

 

 

 

 

 

জাপানি ভাষায় গ্রন্থ প্রকাশের দিনে বন্ধু প্রবীর বিকাশ সরকারকে অভিনন্দন

 

 

কাজী ইনসানুল হকঃ আজ ১৯ ডিসেম্বর,২০২০ । 'নিহোন গা আজিয়া অ মেজামে সাসেতা' অর্থাৎ 'জাপান এশিয়াকে জাগ্রত করেছে 'জাপানি ভাষায় প্রকাশিত হলো একটি গ্রন্থ যার লেখক জাপান প্রবাসী বাংলাদেশী আমাদের বন্ধূ লেখক,সম্পাদক,গবেষক প্রবীর বিকাশ সরকার।

এযাবৎ কালে বাংলাভাষার লেখকদের বেশ কটি বই জাপানী ভাষায় অনুদিত হয়েছে,বাংলাদেশ বিষয়ক কিছু তথ্যমূলক বই,জাপানী ভাষা শিক্ষার বই প্রকাশ হয়েছে তবে জাপানের মুলধারার বইয়ের বাজারে এটাই মনে হয় বাংলাদেশী লেখকের হাত ধরে প্রকাশিত প্রথম জাপানী গ্রন্থ।জাপান প্রবাসী হিসেবে আমিও এই লেখকের এই কৃতিত্বের জন্য গর্ব বোধ করছি।

তিন দশকের চেয়ে বেশী সময় ধরে তিনি জাপানে স্হায়ীভাবে থাকছেন এবং তারও আগে থেকে তিনি লিখছেন।
জাপানের ইতিহাস, সংস্কৃতি, জাপান-বাংলা সম্পর্ক, জাপান-রবীন্দ্রনাথ সম্পর্ক এবং এশিয়ার সঙ্গে জাপানের সম্পর্ক ইত্যাদি নিয়ে বিস্তর গবেষণামূলক প্রবন্ধ-নিবন্ধ দুই বাংলার পত্রপত্রিকা ও সাময়িকীতে লিখে আসছেন দীর্ঘ বছর ধরে। জাপান বিষয়ক যে কোনো বিষয়ে তার অসংখ্য লেখা অন্তর্জালে সংগৃহীত।

প্রবীরদার সাথে আমার ঘনিস্ঠ সম্পর্ক তাও পঁচিশ বছরের বেশী সময় ধরে,জাপানে আসার পরে।৯০ দশকের জনপ্রিয় "যায় যায় দিন " এ আমার একটা নিয়মিত কলাম "মেড ইন জাপান" প্রকাশিত হতো,সম্ভবত সেটা দেখে বন্ধূ পি আর প্লাসিডের মাধ্যমে আমার সাথে দেখার আগ্রহ প্রকাশ করেন।দেখা হয়,সেদিন কমল বড়ুয়া ও পূর্ব পরিচিত মোতালেব শাহ প্রিন্স ছিল।তারপর একসংগে এতটা দিন।প্রবীরদার 'মানচিত্র'এ সম্পৃক্ত হই,সাংবাদিক লেখক ফোরাম এ সদস্য হই এবং মানচিত্র বন্ধ হয়ে গেলে বন্ধুরা মিলে "পরবাস" প্রকাশ করলে প্রবীরদার সহৃদয় সহযোগিতা পাই।

আমার দেখা প্রবীর বিকাশ সরকার একজন অসম্ভব পরিশ্রমী লেখক,লেখা তার কাছে উপাসনার মতো।তার কাছে লেখা বিষয়ে সহযোগিতা পেয়েছি। তিনি আমার কাছে শিক্ষকের মতো।


জাপানী ভাষায় এশিয়ার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক পটভূমিতে জাপানের ঐতিহাসিক ভূমিকার ওপর নতুন করে আলো ফেলেছেন বাংলাদেশের লেখক প্রবীর বিকাশ সরকার। এ অর্জন একা প্রবীর বিকাশ সরকারের নয়,পুরো বাংলাদেশের।স্যালুউট।


আজ জাপানের বড় বড় বইয়ের দোকানে প্রবীরদার বইটি শোভা পাচ্ছে এটা ভেবেই
আনন্দ হচ্ছে।একটি অসাধারণ কাজ সম্পাদন করেছেন প্রবীরদা,আপনাকে অভিনন্দন।

覧覧覧覧覧覧覧覧
কি আছে এই বইএ


গ্রন্থনাম: নিহোন গা আজিয়া অ মেজামে সাসেতা
অর্থাৎ, জাপান এশিয়াকে জাগ্রত করেছে
ভাষা: জাপানি
লেখক: প্রবীর বিকাশ সরকার
পৃষ্ঠা: ২৩২
প্রকাশকাল: ১৯ ডিসেম্বর, ২০২০
প্রকাশক: হার্ট শুপ্পান, জাপান
মূল্য: ১৪০০ইয়েন+ট্যাক্স
ISBN978-4-8024-0105-0

ভূমিকা: ২০০৭ সালে প্রাক্তন প্রধান মন্ত্রী আবে শিজজোও ভারত সফরকালে দিল্লির সংসদে যে ভাষণ প্রদান করেন তার অংশবিশেষ তুলে ধরে বিগত শত বছরে জাপানের সঙ্গে ভারতবর্ষ তথা বাংলা-বাঙালির সঙ্গে যে গভীর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিদ্যমান তা নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা...পৃ: ৩-৯।
বিষয়বস্তু:
অধ্যায় ১. জাপান-বাংলা সম্পর্কের সূচনা: ৫টি উপ-অধ্যায়
আধুনিকালে ভাববিনিময়...পৃ: ১৪। স্বামী বিবেকানন্দ এবং জাপান...পৃ: ১৮। ওকাকুরা তেনশিনের ভারত ভ্রমণ...পৃ: ২৬। এশিয়া একটিই...পৃ: ৩২। ভারতীয় গণজাগরণে ওকাকুরা তেনশিনের প্রভাব...পৃ: ৩৮।
অধ্যায় ২. রবীন্দ্রনাথ এবং ওকাকুরা তেনশিন সম্পর্ক: ৫টি উপ-অধ্যায়
রবীন্দ্রনাথ বাঙালি জাতির নবজাগরণের উদ্গাতা...পৃ: ৪৪। বাংলার নবজাগরণে ওকাকুরা তেনশিনের প্রভাব...পৃ: ৪৮। রবীন্দ্রনাথের নোবেল পুরস্কার এবং গীতাঞ্জলি...পৃ: ৫২। রবীন্দ্রনাথের জাপান ভ্রমণ এবং জাপান-ভারত সম্পর্কের নবসূচনা...পৃ: ৫৮। জাপানে রবীন্দ্রনাথের মূল্যবান স্মৃতিসম্পদ...পৃ: ৬৪।
অধ্যায় ৩. রাসবিহারী বসু এবং জাপান সম্পর্ক: ৩টি উপ-অধ্যায়
তোওয়ামা মিৎসুরু, রাসবিহারী বসু এবং রবীন্দ্রনাথ...পৃ: ৭০। রাসবিহারী বসু এবং নাকামুরায়া...পৃ:৭৬। সোওমা তোশিকোর সঙ্গে বিবাহ...পৃ: ৮২।
অধ্যায় ৪. উত্তরাধিকারসূত্রে "স্বাধীনতা"র প্রতি সঙ্কল্প: ২টি উপ-অধ্যায়
দাইতোওআ ছেনসোও অর্থাৎ বৃহত্তর পূর্ব এশিয়া যুদ্ধের (দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন) সঙ্গে ভারতীয় স্বাধীনতা মৈত্রীসংঘের (ইন্ডিয়ান ইনডিপেন্ডেস লীগ) ঐক্যবদ্ধতা এবং ব্রিটিশের ‍বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা...পৃ: ৯০।
বিহারী বসুর কাছ থেকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর প্রবাসী ভারতীয়দের স্বাধীনতা আন্দোলন এবং আজাদ হিন্দ ফৌজের নেতৃত্ব গ্রহণ...পৃ: ১০১।
অধ্যায় ৫. সুভাষচন্দ্র বসু এবং আজাদ হিন্দ ফৌজ: ৪টি উপ-অধ্যায়
জাপানকে নাড়া দিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু...পৃ: ১১৪। বৃহত্তর পূর্ব এশিয়া সম্মেলনে নেতাজি কর্তৃক ভারতীয় স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা...পৃ:১১৭। বৃহত্তর পূর্ব এশিয়া যুদ্ধের স্বরূপ...পৃ: ১২৬। ইম্ফল অভিযাত্রার ব্যর্থতা এবং নেতাজির মৃত্যু...পৃ: ১৩১।
অধ্যায় ৬. পালের বিচারিক রায়ের ঐতিহাসিক তাৎপর্য: ৪টি উপ-অধ্যায়
ন্যায়নিষ্ঠ বিচারপতি পাল...পৃ: ১৪০। কেন বিচারপতি রাধাবিনোদ পাল টোকিও ট্রাইব্যুনালে অংশগ্রহণ করলেন?...পৃ: ১৪৩। বিচারপতি পাল কর্তৃক টোকিও ট্রাইব্যুনালের প্রতারণা ফাঁস...পৃ: ১৪৯। পরবর্তীকালে বিচারপতি পাল এবং জাপান...পৃ: ১৬১।
অধ্যায় ৭. বাংলাদেশের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস: ৪টি উপ-অধ্যায়
ব্রিটিশ উপনিবেশকালে বঙ্গভঙ্গ...পৃ: ১৬৮। ভারতভাগ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা...পৃ: ১৭০। স্বাধীনতার পর অস্থিতিশীল রাজনীতি...পৃ: ১৭৭। শেখ হাসিনার সরকার কর্তৃক আনীত রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা...পৃ: ১৮০।
অধ্যায় ৮. বিশেষ সংলাপ: অধ্যাপক ড.পেমা গিয়ালপো এবং প্রবীর বিকাশ সরকার
১. বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং তিব্বতী...পৃ: ১৮৪
২. বাংলাদেশকে প্রদত্ত জাপানি সাহায্য...পৃ: ১৮৮
৩. গর্বোন্নত বাঙালি...পৃ: ১৯৩
৪. ওকাকুরা এবং রবীন্দ্রনাথের ভাববিনিময়ের তাৎপর্য...পৃ: ১৯৮
৫. "প্রাচ্যভাতৃবাদ" সঠিক ছিল...পৃ: ২০৪
৬. শিবুসাওয়া এইইচি এবং রবীন্দ্রনাথ...পৃ: ২০৬
৭. গান্ধী এবং নেহরুর দৃষ্টিতে সুভাষচন্দ্র বসু...পৃ: ২১০
৮. জাপান-ভারত ভাববিনিময় সম্পর্ক ভারতীয় স্বাধীনতার বন্ধনে আবদ্ধ...পৃ: ২১৫
উপসংহার...পৃ: ২২১
গ্রন্থপঞ্জি...২২৮

বই টি Amazon থেকেও কেনা যাবে।
覧覧覧覧覧覧覧覧覧-

 

 

WARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action.

[প্রথমপাতা]