জাপানের আদালত আইনু জনগণের স্যামন মাছ ধরার অধিকার অস্বীকার করেছে
কমিউনিটি রিপোর্ট ।।
জাপানের একটি আদালত নদীতে স্যামন মাছের ধরার অধিকার পুনর্বহাল করতে আইনু
আদিবাসীদের একটি আবেদন খারিজ করে দিয়েছে, বৃহস্পতিবার একজন কর্মকর্তা
বলেছেন।
এটি ছিল আইনু জনগণের সাথে সম্পর্কিত আদিবাসী অধিকারের প্রথম কোনও আদালতের
সিদ্ধান্ত, যারা ঐতিহ্যগতভাবে উত্তর জাপানের পাশাপাশি বর্তমানে রাশিয়ার
অংশে বসবাস করছেন।
আইনুর ইতিহাসে কয়েক দশকের বৈষম্য এবং জোরপূর্বক আত্তীকরণ অন্তর্ভুক্ত
রয়েছে এবং জাপান ২০১৬ সাল পর্যন্ত তাদের আদিবাসী হিসেবে আইনত স্বীকৃতি
দেয়নি।
জাপানের মৎস সম্পদ প্রতিরক্ষা আইন জাতি-বর্ণ নির্বিশেষে নদীতে স্যামন মাছ
শিকার নিষিদ্ধ করেছে।
কিন্তু আবেদনকারীরা বলেছেন ১৯ শতাব্দীতে জাপানের সম্রাজ্যবাদী সরকারের
দমননীতির পূর্বে জাপানের উত্তরাঞ্চলীয় দ্বীপ হোক্কাইদোর একটি নদীর কিছু অংশে
স্যামন শিকার ছিলো তাদের পূর্বপুরুষদের জীবিকা নির্বাহের প্রধান উৎস -
কাজেই আদালতের উচিত তাদেরকে এই আইন থেকে অব্যাহতি দেওয়া।
সাপ্পোরো জেলা আদালতের একজন মুখপাত্র বলেছেন, আইনুদের দাবি আদালত খারিজ করে
দিয়েছে।
তার ফলে বিষয়টি এখন যা দাঁড়াচ্ছে তা হলো আইনু জনগোষ্ঠি হোক্কাইদো'র গভর্নর
থেকে অনুমোদন পেলেই কেবল স্যামন শিকার করতে পারবেন এবং তাদের সাংস্কৃতিক
ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে পারবেন, আবেদনকারীরা বলেন।
মামলাটি ২০২০ সালে দায়ের করা হয়, তাদের আবেদনে আরও বলা হয় ২০০৭ সালের
জাতিসংঘের ঘোষণা অনুসারে সারা বিশ্বে আদিবাসীদের অধিকার ও পরিচয়কে স্বীকৃতি
দেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে।
আদালতের সভাপতি বিচারক বলেন নদীতে মৎস আহরণ সীমিত উপায়ে হলেও তা তাদের "অন্তর্নিহিত"
অধিকার নয়।
আবেদনকারীদের গ্রুপ রাপোরো আইনু নেশন এর সদস্য হিরোমাসা সাশিমা এর আগে বলেন
এটি হলো "আইনুর পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া অধিকার ফিরিয়ে আনার
লড়াই।"
"এটি একটি নির্ভুল সত্য যে আইনুদের পূর্বপুরুষরা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ
করতেন।" রায়ের পর সাশিমা সাংবাদিকদেরকে বলেন।
কয়েক শতাব্দী ধরে আইনুরা জাপানের মূল ভূখন্ডের জনগনের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য
করে আসছে কিন্তু ১৮৬৯ সালে জাপানের সম্রাজ্যবাদী সরকার আইনুদের জায়গা-জমি
দখল করা শুরু করে এবং আইনু নারীদের মুখে ট্যাটুর মত "বর্বর" অনুশীলন
নিষিদ্ধ করে।
আইনু জনগনকে তাদের প্রথাগত শিকার করার ঐতিহ্য ত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছিলো,
তাদের ভাষা জোরপূর্বক জাপানি করা হয় এবং তাদের নামের ক্ষেত্রেও জাপানি নাম
রাখতে বাধ্য করা হয়।
চার বছরের আইনি লড়াইকে মাছ ধরার অধিকার পুনর্বহাল হিসেবে দাবি করাকে "আইনগতভাবে
ভিত্তিহীন" বলে খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।
কর্মকর্তারা এ ছাড়াও প্রচলিত মৎস শিকার বিধিনিষেধকে স্যামনের মত প্রাকৃতিক
সম্পদ ধরে রাখার একটি সুরক্ষা হিসেবে অভিহিত করেন। এএফপি।
WARNING:
Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content
is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to
legal action.
[প্রথমপাতা]
|