[প্রথমপাতা]

 

 

 

ক্যান্টনমেন্টের সম্পদ দখলে রাখার উদ্দেশ্যেই হরতাল আহ্বান

করা হয়েছে: টোকিওতে প্রধানমন্ত্রী
 

 

কমিউনিটি রিপোর্ট ।। নভেম্বর ২৯, ২০১০ ।।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার যখন সারা দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য সম্পদ সৃষ্টি করে যাচ্ছে তখন কোন কোন মহল ক্যান্টনমেন্টের সম্পদ অবৈধভাবে দখলে রাখার লক্ষ্যে দেশব্যাপী হরতাল আহ্বান করেছে।

বাসস সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকালে টোকিও নগরীর অভিজাত নাগাতা চো এলাকায় বাংলাদেশ দূতাবাস ভবনের ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

বিএনপি’র ডাকা ৩০ নভেম্বরের হরতাল প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ‘জনগণকে বাসস্থান প্রদানের লক্ষ্যে সরকার যখন গৃহ নির্মাণ করছে তখন কোন মহল ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের সম্পদ কুক্ষিগত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’

৭১৪ বর্গমিটারের বাংলাদেশ দূতাবাস ভবনটির নির্মাণ কাজ ২০১২ সালের জুন মাসে শেষ হবে।
 

 


ভিত্তিপ্রস্তুর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের আরো ১৬টি মিশন স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি আরো বাড়ানোরও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, এসব পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে বিদেশে সকল গতানুগতিক ভাবমূর্তির বাইরে বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।

জাপানকে বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠনে জাপান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। এছাড়া তিনি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে জাপানের সহযোগিতার কথাও স্মরণ করেন।

অর্থনৈতিক খাতে সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসব ইতিবাচক পদক্ষেপের কারণে দেশে রেমিটেন্স ও বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ পূর্বের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।

তিনি আরো বলেন, সরকার প্রবাসী বাংলাদেশীদের সুবিধার্থে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। এ ব্যাংক স্থাপিত হলে প্রবাসী বাংলাদেশীদের বিদেশ যেতে এবং প্রবাসে কষ্টার্জিত অর্থ দেশে ফেরত পাঠানো সহজ হবে। এছাড়া প্রবাসীদের বিনিয়োগের স্বার্থে সরকার রিজিওনাল ইকোনমিক জোন স্থাপনেরও উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি বলেন, ‘প্রবাসী বাংলাদেশীদের সুখ-দুঃখের প্রতি নজর রাখা আমাদের কর্তব্য।’
 


প্রবাসী বাংলাদেশীদের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব সমস্যার দিকে নজর দিতে এবং বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি বৃদ্ধিতে আরো ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য দূতাবাস কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।

বাংলাদেশকে একটি শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে দেশ থেকে জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতি নির্মূলে সরকার সব ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশকে একটি সুখী ও শান্তিময় দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ২০২১ সাল নাগাদ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি, জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এ কে এম মজিবুর রহমান ভূঁইয়া বক্তব্য রাখেন।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী দূতাবাস ভবনের আনুষ্ঠানিক ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন করেন। এ সময়ে অনুষ্ঠিত মোনাজাতে দেশের শান্তি, উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।

অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আলাউদ্দিন আহমেদ ও ড. মশিউর রহমান, বীর বাহাদুর এমপি, মুখ্য সচিব এম আবদুল করিম, পররাষ্ট্র সচিব মোহাম্মদ মিজারুল কায়েস ও প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ, আওয়ামী লীগ নেতা আকতারুজ্জামান, সাংবাদিক হাবিবুর রহমান মিলন ও শ্যামল দত্ত, এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট এ কে আজাদ এবং সিকিউরিটি এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান জিয়াউল হক খন্দকার উপস্থিত ছিলেন।

 
   
 

[প্রথমপাতা]