প্রথমপাতা  

সাম্প্রতিক সংবাদ  বর্তমানের কথামালা শিল্প-সাহিত্য

বাংলাদেশ কমিউনিটি

আর্কাইভ

লাইফ স্টাইল

যোগাযোগ

 

 

 

 

 

সাবেক জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের মৃত্যু

 

 

 

কমিউনিটি রিপোর্ট ।। জুলাই ৯, ২০২২ ।।

সাবেক জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে (৬৭) শুক্রবার গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বিকেল ৫টা ৩ মিনিটে মারা গেছেন। শুক্রবার নারা প্রিফেকচারে তাকে দু'বার গুলি করা হয়। পুলিশ আততায়ীকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করেছে।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আসন্ন উচ্চকক্ষের নির্বাচনের জন্যে বক্তব্য রাখার সময় এই ঘটনা ঘটে।

তদন্তকারী সূত্রগুলি বলছে ঘটনাস্থল থেকে একটি হাতে তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এটি আকারে পিস্তলের চেয়ে কিছুটা বড়। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় প্রথম গুলি ছোঁড়ার পর আবে তার বক্তৃতায় একটি বিরোতি নিয়ে আততায়ীর দিকে দেখেন, ঠিক সেই সময় দ্বিতীয় গুলিটি করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দ্বিতীয় গুলির পর আবে নীচে পড়ে যান। তাকে হেলিকপ্টারে করে কাশিহারা শহরের নারা বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক ভাবে তিনি সচেতন থাকলেও পরে হাসপাতালে জ্ঞান হারান।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সন্ধ্যা ৬টার পর এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, তাকে ১২টা ২০ মিনিটে হাসপাতালে আনা হয়। তার শরীরের দুটি গুলির আঘাতের চিহ্ন ছিলো। তিনি প্রথম থেকেই সাড়া দিচ্ছিলেন না। বিকেল ৫টা ৩ মিনিটে তার মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়।

চিকিৎসকরা জানান, গুলি তার হৃদপিন্ড ভেদ করে যায়। তারা প্রথমে রক্ত বন্ধের চেষ্টা করেছিলেন। তাকে জরুরী ভিত্তিতে রক্ত দেয়া হয়। আনুমানিক ১০০ ব্যাগ রক্ত দেয়া হয় তাকে।

অস্ত্রপচারকালে চিকিৎসকরা গুলির কোনো অস্তিত্ব খুঁজে পাননি বলে জানান। হৃদপিন্ডে গুলিবিদ্ধ হওয়ার কারণে হৃদপিন্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং সেখান থেকে রক্তক্ষরণ হতে থাকে। একটি গুলি গলা থেকে হৃদপিন্ডে ঢুকে যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে। গলার ঠিক নীচের অংশে একটি গুলি লাগে বলে জানানো হয়।

চিকিৎসকরা বলেন, তার মৃত্যুর কারণ রক্তক্ষরণজনিত কারণে বলা যেতে পারে। তবে হৃদপিন্ডও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অপর গুলিটি ডান কাঁধে লাগে। তিনি হাসপাতালে আসার পর থেকেই প্রাণের স্পন্দন পাওয়া যাচ্ছিলো না। দু'টি গুলির মধ্যে দুরত্ব ছিলো ৫ সেন্টিমিটার। তারা রক্ত বন্ধ করতে সমর্থ হন কিন্তু ততক্ষণে বিপুল পরিমাণ রক্ত শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। আবে'কে আইসিইউতে নেয়া হয়নি।

তিনি ঘটনাস্থলেই মারা গিয়েছিলেন কিনা সে ব্যাপারটি নিশ্চিত নয়। তার পেছনে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি, যদিও বলা হচ্ছিলো পেছন থেকে গুলি করা হয়েছে। সকল গুলির চিহ্ন তার সামনের দিকে বলে সংবাদ সম্মেলনে চিকিৎসকরা জানান। তাকে সামনে থেকে গুলি করা হয়েছিলো এমনটা বলা যেতে পারে। ২০ জনের বেশি চিকিৎসক তাকে বাঁচানোর চেষ্টায় নিয়োজিত করা হয়। গুলি শরীর থেকে বেরিয়ে গেছে কিনা তা নিশ্চিত নয়। গুলি শরীরের ভেতরও রয়ে যেতে পারে।

পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ইয়ামাগামি তেৎসুইয়া (৪১)কে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি নারা শহরেই থাকতেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে তিনি ২০০৫ সাল পর্যন্ত তিন বছর জাপানের নৌ-সেলফ ডিফেন্স ফোর্সে কাজ করেছিলেন।

পুলিশকে হামলাকারী জানিয়েছেন তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপর অসন্তুষ্ট ছিলেন এবং তাকে হত্যার অভিপ্রায় ছিলো তার। কিন্তু আবে'র রাজনৈতিক দর্শনের উপর তার কোনো ক্ষোভ নেই।

রোববার জাপানের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের নির্বাচন। তারই প্রচারণার জন্যে আবে বক্তব্য রাখছিলেন।

লিবারাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির একজন সদস্য জানিয়েছেন মাত্র ১০ মিটার দূরত্ব থেকে আবে'র উপর গুলি চালানো হয়। গুলির শব্দ তার কাছে প্রথমে পটাকার মতো মনে হয়েছিলো।

শিনজো আবে'র স্ত্রী আকিয়ে আবে বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটের দিকে হাসপাতালে পৌঁছান।

প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বিকেল সাড়ে ৪টায় মন্ত্রীপরিষদের জরুরী বৈঠকে অংশ নেন।

 
 

WARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action.

[প্রথমপাতা]