[প্রথমপাতা]

 

 

 

আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাপান শাখার প্রতিবাদ সভা

 

 

কমিউনিটি রিপোর্ট ।। ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১২ ।।

রোববার ১৯শে ফেব্রুয়ারি তাবাতা চিইকি কিওশিৎসু হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাপান শাখার প্রতিবাদ সভা। কতিপয় সেনা সদস্য কর্তৃক নির্বাচিত আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র এবং '৭১ এর ঘাতক যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ত্বরান্বিত করার দাবিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাপান শাখা এই প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ছালেহ মোঃ আরিফের পরিচালনায় অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সনদ বড়ুয়া। পরে মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন, মুক্তা চৌধুরী, খন্দকার আসলাম হীরা, মাসুদুর রহমান, মুকুল মুস্তাফিজ, বিপ্লব মল্লিক, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজাহান, এম এ বাসেত, মোল্লা ওয়াহিদ, জাকির জোয়ার্দার, মোতাহার হোসেন প্রমুখ।

উপস্থিত মিডিয়া কর্মীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সাংবাদিক মনজুরুল হক, পরবাস সম্পাদক কাজী ইনসানুল হক, বাংলাদেশ সাংবাদিক লেখক ফোরাম-জাপানের সভাপতি সজল বড়ুয়া এবং কমিউনিটি সম্পাদক জেড এম আবুসিনা।

অনুষ্ঠানের শুরুতে সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি এবং বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা, অভিনেতা হুমায়ুন ফরিদির মৃত্যুতে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

সভাপতির বক্তব্যে সনদ বড়ুয়া কতিপয় সেনা সদস্য কর্তৃক সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন কাদের ইন্ধনে এসব হচ্ছে তা আমাদের জানতে হবে। তিনি বলেন সরকার তার অঙ্গীকার অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেছে আর এর সাথে শুরু হয়েছে বিভিন্ন রকমের ষড়যন্ত্র। যুদ্ধাপরাধীদের সাক্ষীদেরকে হয়রানি করা হচ্ছে। তিনি বলেন এসব আগ্রাসী শক্তির বিরুদ্ধে এক সাথে কাজ করতে হবে। জনাব বড়ুয়া আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার হলো জনগনের সরকার তাই সবাইকে নিয়েই চলতে হবে।

বিশিষ্ট সাংবাদিক জনাব মনজুরুল হক প্রতিবাদ সভা একমাস পর আয়োজনের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বলেন এতো দেরি করে প্রতিবাদ সভা করলে তার কোন সংবাদ মূল্য থাকেনা। তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়ায় বিলম্বতে ধৈর্য্য ধারণ করার অনুরোধ করে বলেন, সমস্ত ছিদ্র বন্ধ করেই বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা উচিত। যাতে পরবর্তীতে এসব ফাঁক-ফোঁকর গলে যুদ্ধাপরাধীরা বেরিয়ে যেতে না পারে। 

তিনি বলেন সেনাবাহিনীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পেছনে একটি দেশের হাত থাকার কথা বোঝা যায়। দেশটি হলো পাকিস্তান। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা এখনো পাকিস্তান থেকে প্রশিক্ষন নিয়ে আসেন। এসব সেনা সদস্যরা তাদের নিজেদের নামের শেষে খেতাব লাগান পিএসসি (পাকিস্তান স্টাফ কলেজ) এটি বন্ধ হওয়া উচিত।

তিনি বলেন এই ঘটনা থেকে আমাদেরকে শিক্ষা নিতে হবে।

মুক্ত আলোচনায় বক্তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ত্বরান্বিত করার দাবি এবং কতিপয় সেনা সদস্যর সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা জানান।

অনুষ্ঠান শেষে এশিয়ান বিজনেজ নেটওয়ার্কের (
ABN) সৌজন্যে সবাইকে আপ্যায়িত করা হয়।


 

WARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action.

[প্রথমপাতা]