[প্রথমপাতা]

 

 

 টোকিওতে ধর্মীয় বিষয় নিয়ে উস্কানি, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ক্ষুণ্ণ ও হলুদ সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে গোলটেবিল আলোচনা সভা

 

New Page 2

 

কমিউনিটি রিপোর্ট ।। জুলাই ২৯, ২০১২ ।।

গত ১৬ জুলাই টোকিওর আকাবানে বিভিও হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে- টোকিওতে ধর্মীয় বিষয় নিয়ে উস্কানি, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ক্ষুণ্ণ ও হলুদ সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে এক গোলটেবিল বৈঠক। টোকিওতে সাম্প্রতিক সময়ে সাংবাদিকতার নামে ধর্মীয় সংবেদনশীল বিষয়গুলো নিয়ে উস্কানিমূলক লেখা, প্রবাসী সমাজে বিরাজমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে ইচ্ছাকৃতভাবে বিনষ্ট করার অপচেষ্টা এবং ব্যক্তি মানুষের চরিত্র হননের মত স্পর্শকাতর বিষয় গুলোকে নিয়ে লেখার পরিপ্রেক্ষিতে সুষ্ঠু সমাধানের লক্ষ্যে উল্লেখিত গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে জাপানের সচেতন নাগরিক সমাজ।

উপস্থিত প্রবাসী বাঙালীদের মধ্যে সেদিন বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণের, রাজনৈতিক, সামাজিক, আঞ্চলিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ জরুরী সেই অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করেন।

বাংলাদেশ সাংবাদিক লেখক ফোরাম জাপান'র সভাপতি সজল বড়ুয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের জাপান প্রতিনিধি, ফরেন করেসপন্ডেস ক্লাব, জাপান (এফসিসি) এর প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মনজুরুল হক।

সেদিন গোলটেবিল বৈঠকে পর্যায়ক্রমে আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন- বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বিপ্লব মল্লিক, বিএনপি জাপান'র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন, যুবলীগ জাপান শাখার সাধারণ সম্পাদক বিএম শাহজাহান, বাংলাদেশ সাংবাদিক লেখক ফোরাম জাপান'র সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ, জাতীয় পার্টি জাপান শাখার সাধারণ সম্পাদক নাবি উল্লাহ আসিফ, বাংলাদেশ বুড্ডিষ্ট অ‌্যাসোসিয়েশন জাপান'র প্রাক্তন সভাপতি অজিত কুমার বড়ুয়া, আওয়ামী লীগ জাপান শাখার সম্মানিত সদস্য তাজউদ্দিন মাহমুদ রবি চৌধুরি, উত্তরণ- বাংলাদেশ কালচারাল গ্রুপের সক্রিয় সদস্য এম এ এন শাহীন, বৈশাখী মেলা জাপান কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য নাসিমুস সালেহীন, বিএনপি জাপান'র সহ সভাপতি আলমগীর হোসেন মিঠু, আওয়ামী লীগ জাপান শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার আসলাম হীরা, বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটি জাপান'র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মীর জাফরুল হাসান, চিত্রশিল্পী কামরুল হাসান লিপু, বাংলাদেশ সাংবাদিক লেখক ফোরাম জাপান'র প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আনিসুর রহমান, বিএনপি জাপান'র স্ক্রিয় সদস্য ফজলে মাহমুদ মুক্তা, সংস্কৃতিকর্মী ও কবি মইনুল ইসলাম মিল্টন, নৌ প্রকৌশলী তাপস বড়ুয়া, যুবলীগ জাপান শাখার নেতা সামসুল আলম ভুট্টো, আওয়ামী লীগ জাপান'র অর্থ সম্পাদক মাসুদুর রহমান, বৌদ্ধ সংগঠক দেবাশিষ বড়ুয়া, কমিউনিটি নিউজ এর সম্পাদক জেড এম আবুসিনা, আওয়ামী লীগ জাপান'র নেতা পার্থ সারথী বড়ুয়া, বিএনপি জাপান শাখার সম্মানিত উপদেষ্টা কাজী এনামুল হক, বিএনপি জাপান শাখার সাধারণ সম্পাদক মীর রেজাউল করিম রেজা, আওয়ামী লীগ জাপান শাখার সাধারণ সম্পাদক ছালেহ মোঃ আরিফ, বিএনপি কর্মী মোঃ রোমান মিয়া, এবং বিবেকবার্তা সম্পাদক পি আর প্লাসিড। এ ছাড়াও জাপান-বাংলাদেশ ক্রিশ্চিয়ান সোসাইটির প্রাক্তন সভাপতি যেরোম গোমেজের একটি ফ্যাক্স বার্তা পাঠ করে শোনান মইনুল ইসলাম মিল্টন।

আলোচনার মূল দৃষ্টি নিবদ্ধ ছিলো, জাপান থেকে প্রকাশিত পি আর প্লাসিড সম্পাদিত অনলাইন পত্রিকা বিবেকবার্তায় প্রকাশিত বিভিন্ন ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যমূলক, অনৈতিক ও বিভ্রান্তিকর খবর মানুষের নাম বিকৃতিসহ ব্যক্তিচরিত্র হননের উদ্দেশ্যে নানা ধরনের অসত্য সংবাদ পরিবেশনের উপর।

সেদিন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, জাপান শাখার সাধারণ সম্পাদক মীর রেজাউল করিম রেজা বলেন, 'কিছুদিন আগে বিবেকবার্তায় লেখা হয়েছে আমি নাকি সন্ত্রাসী। অন্ততঃপক্ষে একজন প্রবাসী প্রমাণ করে বলুক যে, আমি সন্ত্রাসী। আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি- এ কথা কেউ বলতে পারবেন না। আমি কী সন্ত্রাস করেছি, পি আর প্লাসিড বলুন।' জনাব রেজা আরো অভিযোগ করে বলেন, ঐ পত্রিকায় সবসময়েই পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যমূলকভাবে কারো না কারো চরিত্র হনন চলছেই। মাত্র কিছু দিন আগেই তিনি(পি আর প্লাসিড) বিএনপি জাপানের সভাপতি নূর এ আলম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এন ডি এস ইসলাম নান্নু ও আমি সহ আরো অনেকের কাছ থেকে স্ত্রীর অসুস্থতার কথা বলে নগদ অর্থ সাহায্য নেন। অথচ, এখন তিনি সবই ভূলে গেছেন। এখন নিজের স্বার্থে কয়েকজনের প্ররোচনায় টোকিওতে আমাকে বানিয়েছে সন্ত্রাসী!

আওয়ামী লীগ জাপান শাখার সাধারণ সম্পাদক ছালেহ মোঃ আরিফ বলেন, পি আর প্লাসিড তার বিবেকবার্তায় বর্তমান আওয়ামী লীগ জাপান'র কমিটিকে বিলুপ্ত কমিটি হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি প্রশ্ন রাখেন- কেন, কিসের ভিত্তিতে বর্তমান কমিটিকে বলা হলো বিলুপ্ত কমিটি? জনাব আরিফ বলেন, কয়েক মাস আগে বাংলাদেশের খাদ্যমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক জাপান সফরে এসেছিলেন। তখন পি আর প্লাসিড নারিতা বিমানবন্দরে নিজে উপস্থিত থেকে রিপোর্ট করেছেন। এ ক্ষেত্রে আমার প্রশ্ন হলো- তিনি কী কারণে শুধুমাত্র নিজের পছন্দনীয় কয়েকজন ছাড়া বাকীদেরকে চোখে দেখেননি? জাপান আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ যে সেখানে উপস্থিত ছিলেন -সে কথা তিনি কোন গোপন উদ্দেশ্যে তার রিপোর্টে প্রকাশ করেননি, আমার ভীষণ জানতে ইচ্ছে করে।

জাতীয় পার্টি জাপান শাখার সাধারণ সম্পাদক নাবী উল্লাহ আসিফ বলেন, এ ধরনের নিম্নমানের হলুদ সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া যায় কিনা তা খতিয়ে দেখার আহ্বান জানাবো। এই সব সাংবাদিককে সব ক্ষেত্রে সামাজিকভাবে বয়কট করা উচিত।

বাংলাদেশ বুড্ডিষ্ট অ্যাসোসিয়েশন জাপান'র প্রাক্তন সভাপতি অজিত কুমার বড়ুয়া বলেন, আমরা প্রবাসে ছোট্ট একটি শান্তি প্রিয় বাঙালী কমিউনিটি। কিন্তু সেখানেও কিছু সংখ্যক নিকৃষ্ট লোক নিজেদের স্বার্থে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিভেদ সৃষ্টি করার চেষ্টা চালাচ্ছে। জনৈক সাংবাদিক আপন স্বার্থে ইচ্ছাকৃতভাবে ভিত্তিহীন ভুল তথ্য পরিবেশন করছে। তিনি নিজের স্বার্থে ইচ্ছেমত যা খুশি তাই লিখছেন -এটা কোন ধরনের সৎ সাংবাদিকতা?

বাংলাদেশ সাংবাদিক লেখক ফোরাম -জাপান'র সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশ সাংবাদিক লেখক ফোরাম- জাপান সজল বড়ুয়াকে সভাপতি ও আমাকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করেছিলো, যা পুরোটাই গণতান্ত্রিক ভাবে সম্পন্ন হয়। এর আগেও ফোরামে কয়েকজন একই পদ্ধতিতে বিভিন্ন পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তাই এখানে সভাপতি স্বঘোষিত হবার কোন সুযোগই নেই। অথচ বিবেকবার্তায় পি আর প্লাসিড সম্প্রতি লিখেছেন, ফোরামের স্বঘোষিত সভাপতি- সজল বড়ুয়া। সব কিছু জেনেও ইচ্ছাকৃত ভাবে এ ধরনের মিথ্যা তথ্য প্রদানকে আসলেই কি সাংবাদিকতা বলা যায়?

জাপান-বাংলাদেশ ক্রিশ্চিয়ান সোসাইটির প্রাক্তন সভাপতি যেরোম গোমেজ তার পাঠানো এক ফ্যাক্স বার্তায় জানান, একজন খৃষ্টান হয়ে অপর একজন খৃষ্টানের সম্পর্কে এ সব কথা বলতে আমার নিজেরও লজ্জা হচ্ছে। পি আর প্লাসিড, বড়দিন পালন করতে ৮০ মান (৮,০০,০০০ ইয়েন) পর্যন্ত চাঁদা তুলেছেন। অথচ সর্বমোট ২০ মান হলেই খুব সুন্দর ভাবে অনুষ্ঠান করা যায়। জাপানে আর্চ বিশপ থাকলেও তিনি বাংলাদেশ থেকে আরেক জনকে আনার উদ্যোগ নেন –শুধুমাত্র অতিরিক্ত অর্থ কামানোর অসৎ উদ্দেশ্যে। পি আর প্লাসিড একসময় বিবেকবার্তা থেকে আমাকে একটি মেইল পাঠান। উত্তরে আমি তাকে কোনো মেইল না পাঠানোর জন্য অনুরোধ জানাই। এরপর প্রতিউত্তরে পি আর প্লাসিড আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি দিয়ে লিখেন- আপনার মস্তিস্কের চিকিৎসা করুন। প্রয়োজনে বিবেকবার্তা পাঠকদের কাছ থেকে চাঁদা তুলে আপনার চিকিৎসা করাবে।

নৌ-প্রকৌশলী তাপস বড়ুয়া তাঁর বক্তব্যে বলেন, বিবেকবার্তায় লেখা হয়েছে যে এ বছর বুদ্ধ পূর্ণিমা আয়োজনের উদ্দেশ্যে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের এক বৈঠকে নাকি সজল বড়ুয়া বলেছেন -বুদ্ধ পূর্ণিমায় মুসলমান ও হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা উপস্থিত থাকতে পারবেননা। অথচ সব চাইতে মজার ও হাস্যকর বিষয় হলো- প্রকৃত পক্ষে সজল বড়ুয়া সেদিন আকাবানের ম্যাকডোনালসের ঐ বৈঠকে উপস্থিতই ছিলেন না। না জেনে ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত এ ধরনের উস্কানিমূলক সংবাদ প্রবাসীদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টির একটি অপচেষ্টা ছাড়া কিছুই নয়।

টোকিওর সুপরিচিত সাংস্কৃতিক কর্মী ও উত্তরণ বাংলাদেশ কালচারাল গ্রুপের অন্যতম সদস্য এম এ এন শাহীন বলেন, একটি সৎ মিডিয়া একটি সমাজের সম্পদ। প্রবাসেও আমাদের প্রত্যেককে এ বিষয়টি মনে রাখা উচিত। যারা টোকিওতে অসৎ সাংবাদিকতা বা উদ্দেশ্যমূলক লেখালেখিতে জড়িত, আমি ব্যক্তিগত ভাবে তাদেরকে ঘৃনা করি। জাপানে বাংলাদেশ কমিউনিটির বৃহত্তর স্বার্থে যে কোনো ভাবেই এ ধরনের ভিত্তিহীন হলুদ সাংবাদিকতা ও তাদের ইন্ধন দাতাদের বিরুদ্ধে আমাদেরকে আরো কঠোর হতে হবে।

গ্রেটার নোয়াখালী সোসাইটি জাপান'র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মীর জাফরুল হাসান উদ্বেগের সংগে বলেন, আমি বিভিন্ন বিশ্বস্ত সূত্রে সম্প্রতি জানতে পেরেছি আজকাল কয়েকজন সাংবাদিক মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে উদ্দেশ্যমূলক ভাবে মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করছেন। ইদানিং অর্থের লোভে অনেকেই নিজেকে হীন উদ্দেশ্যে সাংবাদিক হিসেবেও জাহির করছেন। শুধুমাত্র এক হাজার ইয়েনের বিনিময়েই অন্যের বিরুদ্ধে লিখে দিচ্ছেন খেয়ালখুশি মত যে কোনো সংবাদ। আজকে বিভিন্ন জনের বক্তব্য শুনে ও আমার ব্যক্তিগত অভিমত হিসেবে আমি বলতে পারি- অভিযুক্ত পি আর প্লাসিডও সুস্থ সমাজের জন্য ভয়ঙ্কর এ ধরনের নোংরা সাংবাদিকতায় জড়িত। তাই আমি আজ প্লাসিড সাহেবকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানাবো- আজ থেকে বৃহত্তর স্বার্থে আপনি এ ধরনের নোংরা ও মিথ্যা লেখালেখি বন্ধ করুন। আমরাও আপনাকে বিদেশের মাটিতে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবো।

কমিউনিটি নিউজের সম্পাদক জেড এম আবুসিনা ফজলে মাহমুদ মুক্তার এক আপত্তির জবাবে উল্টো অভিযোগ করে বলেন, জনাব ফজলে মাহমুদ মুক্তা ও জাকির হোসেন মাসুম মধ্যরাতে আমার ব্যক্তিগত মোবাইলে ফোন করে তাদের বিতর্কিত সংবাদ পরিবেশনের জন্য আমাকে কয়েকবার ভীষণ চাপ দেয়। এক পর্যায়ে তারা অকথ্য ভাষায় আমাকে আক্রমনও করেন। তাদের এ সকল কীর্তি আমার কাছে রেকর্ড করা আছে। যে কোনো সময়ে আমি তার প্রমাণ দিতে পারি। পি আর প্লাসিডের কাছে আমার প্রশ্ন, আপনি সব সময়েই সাপ্তাহিক এর টোকিও প্রতিনিধির নাম বিকৃত করে 'মুখলেচোর' (আসল নাম মোখলেসুর) লিখেন। পাশাপাশি বদরুলকে 'বদারুল', পরবাসকে 'পরবাঁশ', মনজুরুলকে 'মনজরুল', মাসুদুর রহমানকে 'মাসুদু', বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বাদল চাকলাদেরকে শুধুমাত্র 'বাদল', বিএনপি জাপান'র সাধারণ সম্পাদক মীর রেজাউল করিম রেজা কে 'রেজা' আওয়ামী লীগ জাপান শাখার সাধারণ সম্পাদক ছালেহ মোঃ আরিফকে 'সালেহ মাহমুদ আরিফু' এভাবে বিভিন্ন জনের নাম আপনি উদ্দেশ্য মূলক ভাবে বিকৃত আকারে প্রায় সময়েই লিখে থাকেন। -আপনার কি তাদের আসল নাম জানা নেই? বলুন? এটা কি সৎ সাংবাদিকতা? জনাব তাজউদ্দিন মাহমুদ রবি চৌধুরি, সামসুল আলম ভুট্টো, ফজলে মাহমুদ মুক্তা আপনার সাথে এদের ভালো সম্পর্ক বলে, আপনি কখনো উল্লেখিত ব্যক্তিদের নাম বিকৃত করে লিখেন না। উপরন্তু সব সময়েই তাদের নামের আগে আপনি বিভিন্ন বিশেষণ ব্যবহার করে থাকেন। এটা কোন ধরনের পক্ষপাতিত্ব?

তরুণ বৌদ্ধ সংগঠক দেবাশিষ বড়ুয়া ক্ষোভের সংগে তার বক্তব্যে বলেন- এ বছর জুন মাসের প্রথম দিকে পি আর প্লাসিড তার বিবেকবার্তায় লিখেছিলেন- "বৌদ্ধ ধর্মের মূল মন্ত্র হচ্ছে 'অহিংসা পরম ধর্ম'। অথচ জাপানে বসবাসরত বৌদ্ধদের মধ্যে হিংসার প্রভাব বেশি।" আপনি বিশদভাবে না জেনে বা অন্য কারো প্ররোচনায় এ ধরনের মিথ্যা আপত্তিকর মন্তব্য বিবেকবার্তায় লিখেছেন। আমি মনে করি এই লেখার মাধ্যমে সমগ্র বিশ্বের বৌদ্ধদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আপনি ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত দিয়েছেন। আমি নিজেও একজন বৌদ্ধ হিসেবে আপনার এমনতরো অত্যন্ত নীচু মানের সাংবাদিকতাকে মনে-প্রাণে নিন্দা জানাই।

সেদিন অধিকাংশ বক্তারা পি আর প্লাসিড সম্পাদিত বিবেকবার্তায় সাম্প্রতিক এই সব উদ্দেশ্যমূলক সম্প্রীতি বহির্ভুত ধর্মীয় বিষয় নিয়ে উস্কানি দেয়া অতি নিম্ন মানের হলুদ সাংবাদিকতার সম্পর্কে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তারা অবিলম্বে সুস্থ চিন্তাধারার পরিপন্থি এসব নোংরামী বন্ধ করার জন্য আইনি ব্যবস্থা নেয়া সহ যে কোন ধরনের প্রয়োজনীয় কঠিন পদক্ষেপ সম্মিলিত উদ্যোগে গ্রহণের জোর দাবি জানান।

সভায় উপস্থিত বিবেকবার্তার সম্পাদক পি আর প্লাসিড তার আত্মপক্ষ সমর্থনে বলেন, আজ আমার কিছু বলার নেই। সময় মত একদিন এ সব অভিযোগ খন্ডন করবো। তার বক্তব্যের একাংশে তিনি বলেন, বিশিষ্ট সাংবাদিক মনজুরুল হক তাকে তিন তিনবার ফোনে অনুরোধ করেছিলেন যেন তার সম্মানহানি না করা হয়। তবে জনাব মনজুরুল হক পরক্ষণেই তা জোরালো ভাবে খন্ডন করে বলেন, 'আমি কখনই প্লাসিডকে এ ধরনের কোন অনুরোধ করিনি।'

সমাপনী বক্তব্যে সভাপতি মনজুরুল হক বলেন, বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হবার আগে পি আর প্লাসিড যখন তার পাকিস্তানী বন্ধুদের নিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যেতে শুরু করেন তখন আমরা সাংবাদিক লেখক ফোরাম-জাপান থেকে উদ্বেগ জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছিলাম। এরপর সে আমার ও ফোরামের বিরুদ্ধে কয়েকবার বিবেকবার্তায় লিখেছে। ঢাকায় প্রথম আলোর অফিসে গিয়েও আমার বিরুদ্ধে সে উল্টা-পাল্টা কথা বলে এসেছে।

এনআরবি (নন রেসিডেন্স বাংলাদেশি) জাপান এর প্রসঙ্গ টেনে জনাব মনজুরুল হক বলেন, আমরা সবাই এনআরবি। অথচ বিবেববার্তায় ইদানিং বড় ব্যানারে বলা হচ্ছে- জনৈক বাংলাদেশির নেতৃত্বে এনআরবি জাপান গঠন করা হয়েছে। প্রশ্ন হলো, কয়জন জাপান প্রবাসীকে জানানো হয়েছে যে এরকম একটি সংগঠন গঠিত হচ্ছে? নিজেরা নিজেরা করলেই হয়ে গেলো? আমরাও কি এনআরবি নই?

তিনি আরো বলেন, শুধুমাত্র এমন একজন হলুদ সাংবাদিকের বিরুদ্ধেই নয় বরং যারা এ ধরনের সাংবাদিকতাকে অর্থায়ন ও বিভিন্নভাবে সব ধরনের সহায়তা করছে, তাদের বিরুদ্ধেও কথা বলতে হবে। বলিষ্ঠ সিদ্ধান্তও নিতে হবে তাদের বিরুদ্ধ। যারা এসব ভিত্তিহীন, উস্কানি দেয়া উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ লিখতে ইন্ধন যোগাচ্ছে, তাদেরকে যে কোন ভাবেই হোক থামাতে হবে।

বৈঠকটি চলাকালে মাঝেমধ্যেই তীব্র বিশৃঙ্খলা ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তবে সঞ্চালক সজল বড়ুয়া পরিস্থিতিকে শেষ পর্যন্ত নিজের নিয়ন্ত্রনে রাখতে সক্ষম হন।

 
 

WARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action.

[প্রথমপাতা]