প্রথমপাতা  

সাম্প্রতিক সংবাদ 

 স্বদেশ

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশ কমিউনিটি

লাইফ স্টাইল

 এক্সক্লুসিভ

বিনোদন

স্বাস্থ্য

বর্তমানের কথামালা

 শিল্প-সাহিত্য

 প্রবাসপঞ্জী 

আর্কাইভ

যোগাযোগ

 

 

 

 

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সংকট নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জাপান শাখার মত বিনিময় ও সংবাদ সম্মেলন

 

 

কমিউনিটি রিপোর্ট ।। মার্চ ৩, ২০১৫ ।।

গত ১ মার্চ সন্ধ্যেয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাপান শাখা জাপান প্রবাসী সাংবাদিকদেরকে এক সংবাদ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানিয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশে বিএনপি-জামাতের আন্দোলনের নামে যে মানুষ পুড়ানো, মানুষ হত্যার যে নারকীয় সন্ত্রাস চলছে তার প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে।

টোকিওর ওজি হোকতোপিয়া হলে এই সভায় প্রবাসী সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। আওয়ামী লীগ জাপান শাখার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য কাজী মাহফুজুল হক লাল, বর্তমান সভাপতি ছালেহ মোঃ আরিফ ও সাধারণ সম্পাদক খন্দোকার আসমাল হীরা, সহ কমিটির মোল্লা আব্দুল ওয়াহিদ, জাকির হোসেন জোয়ার্দার, আব্দুর রাজ্জাক, মোল্লা আলমগীর, জাহিদ হোসেন, মাসুদ আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই সম্প্রতি নিহত মুক্ত বুদ্ধির পথিকৃৎ প্রবাসী লেখক অভিজিৎ এবং পেট্রোল বোমায় নিহত সকলের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কিছু কিছু একপেশে মতামত, প্রশ্ন ও জবাব থাকলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রকৃত অবস্থার বিশ্লেষনাত্বক আলোচনাও হয়।

পুলিশের দুর্ভেদ্য নজরদারীর মধ্যেই এই নির্মম হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়। পুলিশের অবহেলা ও অক্ষমতা কিম্বা, জননিরাপত্তায় রক্ষায় তাদের দাম্ভিক কতাবার্তাকে হাস্যকর বলেই মনে হয় -বক্তারা বলেন।

সাংবাদিকরা প্রশ্ন রাখেন -যোগ্যাতার ভিত্তিতে, কেবলমাত্র দলীয় বিবেচননায় নয় প্রকৃত চৌকশ কর্মকর্তাদের পুলিশ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। নিজের জীবন বিপন্ন ও জীবনের উপর আশংকা নিয়েও জনৈক ফটোজার্নালিস্ট তাদেরকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়ার ব্যবস্থা করে মহানুভূতিতার কাজ করেছেন। অথচ ২০ গজ দূরে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশের ভ্যান থেকে কেউ আসেনি। যদিও পুলিশ প্রধান বলেছেন পুলিশের নিস্ক্রিয়তা তারা খতিয়ে দেখছেন।

 

মুক্ত মত প্রকাশের ধারণায় বাধাগ্রস্ত করতেই জঙ্গিরা অভিজিৎকে হত্যা করে, এরা দেশ ও মানবতার শত্রু। ইসলামের মহানুভুবতা ও উদারতাকে ব্যবহার করে ধর্মকে কলুশিত করছে। অতীতে হুমায়ন আজাদ ও রাজিব হত্যাকান্ডের প্রকৃত বিচার হলে আজ হয়তো অভিজিৎ বেঁচে থাকতেন এবং বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ইমেজ এতো ক্ষতিগ্রস্ত হতো না।

মত বিনিময় সভায় নানা বিষয়ে আলোচনা হয়। বলা হয়, সরকারের পতন হয় গণআন্দোনের মাধ্যমে। সরকারের বিপক্ষে যখন মানুষ পথে নেমে আসে তখন গণ বিস্ফোরণের মাধ্যমে সরকারের পরিবর্তন হয়। কিন্তু পেট্রোল বোমা মেরে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে যে আন্দোলন হয় না তা হরতাল ও অবরোধকারীরা ইতিমধ্যেই বুঝে গেছে। জনগন যেমন বিএনপি জোটের অবরোধ ও হত্যাযজ্ঞ প্রত্যাখ্যান করেছে তেমনি সরকারের ক্রস ফায়ারের নামে মানুষ হত্যা, বিরোধীদলকে নিষ্ক্রিয় করে ফেলার চেষ্টা, বিএনপির নির্বাচিত মেয়রদের সরিয়ে দেয়া, মন্ত্রীদের অবান্তর, অসংলগ্ন কথাবার্তা ইত্যাদি কারণে সরকারের পক্ষেও তেমন জনসমর্থন নেই।

বক্তারা বলেন রাজনীতিবিদদের প্রতি জনগনের অবিশ্বাস এখন তুঙ্গে। এই অন্ধকার তিমির থেকে বেরুতে প্রয়োজন সবার সহযোগিতা।

 

 

WARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action. 

[প্রথমপাতা]