প্রথমপাতা  

সাম্প্রতিক সংবাদ 

 স্বদেশ

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশ কমিউনিটি

লাইফ স্টাইল

এক্সক্লুসিভ

বিনোদন

স্বাস্থ্য

বর্তমানের কথামালা

 শিল্প-সাহিত্য

 প্রবাসপঞ্জী 

আর্কাইভ

যোগাযোগ

 

 

 

 

 

হাঁপানি

 

 

সাথী আক্তার

 

 

হাঁপানি বলতে আমরা বুঝি শ্বাসপথে বায়ু চলাচলে বাধা সৃষ্টির জন্য শ্বাসকষ্ট। হাঁপানির রোগের প্রধান উপসর্গ বা লক্ষণগুলো হলো : বুকের ভেতর বাঁশির মতো সাঁই সাঁই আওয়াজ। শ্বাস নিতে ও ছাড়তে কষ্ট। দম খাটো অর্থাত্‍ ফুসফুস ভরে দম নিতে না পারা। ঘন ঘন কাশি। বুকে আঁটসাট বা দম বন্ধ ভাব। রাতে ঘুম থেকে উঠে বসে থাকা।
কিন্তু আক্রমণের সময় কাশি, সাঁই সাঁই শব্দ ও শ্বাসকষ্ট হয়। হাঁপানির এ লক্ষণগুলো সাধারণত ভোর রাতে সবচেয়ে বেশি হয়। বলা যায় নব্বইজন হাঁপানি রোগী রাত তিনটা থেকে ভোর পাঁচটার মধ্যে শ্বাসকষ্টের শিকার হন। সকালেও কিছুক্ষণ হাঁপানির উপসর্গ থাকে এবং বেলা বাড়ার সাথে সাথে আস্তে আস্তে কমে আসে। রাতের বেলায় হাঁপানি বাড়ার কারণ হলো রাতে রক্তে কর্টিজোন এবং অ্যাড্রিনালিনের মাত্রা কমে যায়। প্যারাসিমপ্যাথেটিক স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা বেড়ে যায়।

হাঁপানি সনাক্তকরার উপায়ঃ

এগুলো হল প্রধান উপায় তাছাড়া আরও কিছু উপায় আছে।

- রক্তের বিশেষ পরীক্ষা ও বুকের এঙ্-রে।
- স্কিন প্রিক টেস্ট : রোগীর চামড়ার ওপর বিভিন্ন এলার্জেন দিয়ে পরীক্ষা করা হয় এবং এই পরীক্ষাতে কোন জিনিসে রোগীর অ্যালার্জি আছে তা ধরা পড়ে।
- স্পাইরোমেট্রি বা ফুসফুসের ক্ষমতা দেখা : এই পরীক্ষা করে ফুসফুসের অবস্থা সম্পর্কে সঠিক ধারণা করা যায়।
হাঁপানির হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার সবচেয়ে সহজ পন্থা হলো যে জিনিসে অ্যালার্জি তা যতদূর সম্ভব এড়িয়ে চলা। তাই অ্যাজমা রোগীদের প্রথমেই অ্যালার্জি পরীক্ষা করে জানা দরকার তার কিসে কিসে অ্যালার্জি হয়।

হাঁপানির উপশম:

-
অনেকেরই ধারণা হাঁপানির সম্পূর্ণ উপশম সম্ভব, যারা রাস্তাঘাট এ ওষুধ এর ডিব্বা নিয়া ঘুরে তারা ত সে রকম কি বলে থাকে। কিন্তু সত্যি কথা হল হাঁপানির কোন চিরস্থায়ী উপশম নেই। হয়ত ঔষধের ব্যবহার ও শুষ্ক আবহাওয়ায় টানা অনেকদিনের জন্য ভাল থাকতে পারেন। একজন হাঁপানি রোগী, কিন্তু এলার্জেন বা ধুলোবালি ভরা বাতাসে নিঃশ্বাস নিয়ে, আর্দ্র আবহাওয়ায় ফিরে এলে আবারও তাদের হাঁপানির উপসর্গগুলো ফিরে ফিরে আসার সম্ভাবনা খুবই বেশি।

-
আপনার বাড়িতে রক্তের সম্পর্কীয় কারও হাঁপানি থাকলে, এলার্জির সমস্যা থাকলে, ধূমপানের অভ্যাস থাকলে বা আশেপাশের কেউ চেইন স্মোকার হলে, ক্রমাগত বায়ু দূষনের শিকার হলে আপনার হাঁপানি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি। তাই সম্ভব হলে এই ব্যাপারগুলো এড়িয়ে চলুন। বিশেষত ধূমপায়ীদেরকে সিগারেট খেতে নিরুৎসাহিত করুন; কারণ শুধু হাঁপানিই নয় দেহের প্রায় বেশিরভাগ ক্যান্সারের সাথে ধূমপানের সম্পর্ক রয়েছে।
যে কোনো বয়সের স্ত্রী, পুরুষ, শিশু-কিশোর যে কারও হতে পারে। যাদের রক্তের সম্পর্কের আত্মীয়দের হাঁপানি আছে তাদের এ রোগ হওয়ার আশঙ্কা প্রবল। আবার দাদা-দাদির থাকলে (বাবা-মায়ের না থাকলেও) নাতি-নাতনি বা তাদের ছেলেমেয়েরা এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। মাতৃকুল থেকে হাঁপানিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। হাঁপানি ছোঁয়াচে রোগ নয়। পারিবারিক বা বংশগতভাবে হাঁপানি হতে পারে। কিন্তু ছোঁয়াচে নয়। অ্যাজমায় আক্রান্ত মায়ের বুকের দুধ খেয়ে শিশুদের অ্যাজমায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা নেই। মায়ের সংস্পর্ থেকেও হওয়ার আশঙ্কা নেই ।

 

_______________________________

সাথী আক্তার

৪র্থ বর্ষ, ফার্মেসি বিভাগ,

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

 

 
 

WARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action.

[প্রথমপাতা]





লেখকের আগের লেখাঃ