প্রথমপাতা  

সাম্প্রতিক সংবাদ 

 স্বদেশ

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশ কমিউনিটি

লাইফ স্টাইল

 এক্সক্লুসিভ

বিনোদন

স্বাস্থ্য

বর্তমানের কথামালা

 শিল্প-সাহিত্য

 প্রবাসপঞ্জী 

আর্কাইভ

যোগাযোগ

 

 

 

 

আমাদের রেমিটেন্সযোদ্ধারা

 

 

কাজী ইনসানুল হক

উপদেষ্টা সম্পাদক, কমিউনিটি নিউজ

এদের ত্যাগ ও দেশপ্রেম,দেশের প্রতি দায়বদ্ধতার কাছে বারবার হেরে যাই।

টাংগাইলের রফিক,দোহারের রহমত,সিরাজগন্জের জমির,বদরগন্জের জয়নাল এর মত শত শত প্রবাসীর সাথে মক্কা-মদিনা-মিনা-আরাফাত-মুজদালিফা,হজ প্রক্রিয়ায় গত এক মাসে আমার দেখা হয়েছে ।এছাড়া হোটেলের হাউজকিপিং,রেস্টুরেন্টেও ওনাদের সেবা উপভোগ করেছি।খেজূঁর বাগান,উট,দুম্বার খামার দেখতে যেয়েও ওনাদের দেখা মিলেছে।প্রচন্ড তপ্ত রোদে দায়িত্ব পালনরত এই শ্রমিকদের পাশে নিজেকে একজন প্রবাসী হিসেবে দাড় করাতে যেয়ে হোঁচট খেয়েছি।দেশের প্রতি দায়বদ্ধদার বিচারে আমি ওনাদের কাতারে নে‌ই।ওনাদের সব উপার্জন দেশে পাঠান,যতদিন থাকবেনতাই করবেন।আমি তা করতে পারিনি।

সারাবিশ্বে যতজন প্রবাসী বাংলাদেশী বসবাস করে তাদের সিংহভাগই ,প্রায় ৩০লক্ষ প্রবাসী বাংলাদেশী মধ্যপ্রাচ্যে, যাদের অর্ধেক সৌদি আরবে এবং চার ভাগের এক ভাগ আরব আমিরাতে বসবাস করে। বাংলাদেশীরা সাধারণত গৃহস্থালী কর্মী ও শ্রমিক হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যে যায়।তবে পুরোনোরা ব্যাবসা ও দোকান কর্মচারী হিসেবেও কাজ করে।

দেশের মেধাবীরা সরকারী সুযোগ সুবিধা নিয়ে লেখাপড়া করে বৃত্তি ওউচ্চশিক্ষা শেষে অনেকে বিদেশ স্হায়ী হন।দেশে ফ্লাট জমিতে কিছু বিনিয়োগ করলেও সন্তানদের লেখাপড়া ও ভবিষ্যত ভাবনায় একসময় বিদেশেই স্হায়ী হন।তাদের কোন রেমিটেন্স দেশে আসেনা বরং এদেশের সম্পদ বিক্রি করে তারা বিদেশেই সম্পদ কেনেন। প্রফেশনালরাও বিদেশেই স্হায়ী হন।রেমিটেন্স পাঠানো অংক কমতে কমতে বন্ধ হয়ে যা্য়।

কিন্তু এনাদের রেমিটেন্সের অংক কম হলেও সেটা পুরোটাই দেশে আসে ,আমাদেরটা বাইরেই থেকে যায়।সুতরাং ওনাদের কাছে আমি,আমরা দেশপ্রেমের প্রতিযোগিতায় হেরেই যাই।

ওনাদের পাঠানো রেমিটেন্সের অর্থেই আমরা সন্তানদের বিদেশ পড়াশুনা করতে পাঠাই।পড়াশুনা শেষে সন্তানরা বেশীরভাগই বিদেশেই স্হায়ী হয়।এখানেও আমরা দেশের প্রতি দায়মুক্তির বিবেচনায় ওনাদের থেকে পিছিয়ে।
দেশে ফিরে এই রেমিটেন্স যোদ্ধারা ছোটখাটো ব্যবসায় পুজি খাটিয়ে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখেন,কিছূ বেকারের কর্মসংস্হানের ব্যাবস্হা করেন।এখানেও আমরা পিছিয়ে।

ওনাদের পাঠানো রেমিটেন্স দেশকে সমৃদ্ধ করে।সেই সম্পদ দূর্নিতীবাজ রাজনীতিবিদ,আমলা,ব্যাবসায়ীরা লুটপাট করে,লুটপাট করার জন্য বিমান কেনে,অস্ত্র কেনে,তিনশ টাকার বালিশ পাচহাজারে কেনে,দূই হাজার টাকার স্থেথিস্কোপ দেড় লাখে কেনে,সরকারী টাকায় পরিবারসহ হজ পালন করে।

সৌদি আরব থেকে বিদায়বেলায় ওনাদের জানাই অভিনন্দন।নিজের ‘হার’ মেনে নিয়ে বলছি ,আপনাদের কাছে আমি আমরা বাংলাদেশ চিরঋনী।
সালাম।
 

 

WARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action.

[প্রথমপাতা]