প্রথমপাতা  

সাম্প্রতিক সংবাদ 

 স্বদেশ

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশ কমিউনিটি

লাইফ স্টাইল

এক্সক্লুসিভ

বিনোদন

স্বাস্থ্য

বর্তমানের কথামালা

 শিল্প-সাহিত্য

 প্রবাসপঞ্জী 

আর্কাইভ

যোগাযোগ

 

 

 

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

 

 

রাহমান মনি                                          

 

 

এ বিদায়-ই বিদায় নয় , আবার যেনো দেখা হয়

 

 

বিদায় শব্দটি মনে যেনো দুঃখ অনুভব করিয়ে দেয়।

প্রবাসে সবাই একে অন্যের আত্মার আত্মীয় । তাই তাদের চলে যাওয়া হৃদয়ে নাড়া পড়ে । আর কাছের প্রিয় মানুষটি হলে তো কথাই নেই । বলছিলাম প্রিয়মুখ ডাঃ তাজবীর আহমেদ সাজিদ এর জাপান ত্যাগ করার কথা নিয়ে ।

ক্যালিফোর্নিয়ার স্টানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্ট ডক্টরোল গবেষক হিসেবে চাকুরিতে যোগদানের জন্য আমাদের সবার প্রিয় ডাঃ তাজবীর আহমেদ সাজিদ ভাই ১ এপ্রিল বিকেলে সান ফ্রান্সিসকো'র উদ্দেশ্যে জাপান ত্যাগ করেছেন ।

ডাঃ তাজবীর আহমেদ সাজিদ জাপান প্রবাসী সামাজিক , সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে অতি পরিচিত এবং প্রিয় একটি মুখ । উচ্চশিক্ষায় স্বল্প সময়ের জন্য জাপান প্রবাস জীবনে তিনি সবার মন জয় করে নিয়েছিলেন ।

ডাঃ তাজবীর ভাই এর সাথে আমার পরিচয় এবং ঘনিষ্ঠতা আমার প্রফেশনাল কাজ থেকেই। একটি রাজনৈতিক প্লাটফর্মে বক্তাদের বক্তব্যকালীন কিছু ছবি তুলে অভ্যাসবশত আমার ফেসবুক-এ আপলোড করি , যেখানে ডাঃ তাজবীর আহমেদ এর ছবিও সংযুক্ত ছিল যা তার নজরে আসে।

পরবর্তীতে তিনি আমায় দেখে বলেন , মনি ভাই , আমার মতো অসুন্দর মানুষের এতো সুন্দর ছবি তুললেন কিভাবে ! অনেক ধন্যবাদ ভাই। সেদিন তাকে বলেছিলাম ভাই , মানুষের সৌন্দর্য কেবলমাত্র বাহ্যিক চেহারা কিংবা গায়ের রঙে নয় , যোগ্যতা এবং ব্যক্তিত্বে, যা আপনার মধ্যে সম্পূর্ণ বিদ্যমান রয়েছে ।

ব্যস, সেই থেকে যখন যেখানে দেখা হয়েছে বেশ আন্তরিকতার সাথেই কথোপকথন হতো ।

আমার অত্যন্ত প্রিয়, স্বাচিপ নেতা ডাঃ আব্দুল্লাহ আল মাসুদ খান টুটুল ভাইয়ের অনুজ তুল্য এবং স্নেহের ডাঃ তাজবীর আহমেদ আওয়ামী পরিবারে জন্ম নেয়া এবং ছাত্রলীগ রাজনীতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ।

একজন ভাল মানুষ এবং একজন সুবক্তাও বটে। ।

ডাঃ তাজবীর আহমেদ বিষয় ভিত্তিক কথা বলেন, কোন কুৎসা রটনা বা কাউকে হেয় করে নয় । দিবসের তাৎপর্যে তার গুরুত্ব নিয়ে কথা বলেন ।

তার পিতা অধ্যাপক ডাঃ শারফুদ্দিন আহমেদ একজন বাংলাদেশী চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কমিউনিটি অফথালমোলজি বিভাগের অধ্যাপক এবং বিশ্ববিদ্যালয়টির বর্তমান উপাচার্য । এই পদে নিয়োগ লাভের পূর্বে তিনি বিএসএমএমইউ এর উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) এবং বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ।

যোগ্য পিতার যোগ্য সন্তান ডাঃ তাজবীর আহমেদ টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি অধ্যয়নকালীন সময়ে 'চোখের প্রদাহ' শীর্ষক গবেষনা কর্মে নিযুক্ত ছিলেন। তার গবেষণায় তিনি 'ইউভিয়াইটিস' ও 'রেটিনাল ইনফ্লানেশন' রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে কার্যকরী বিশেষ এক প্রোটিনকে চিহ্নিত করেছেন যা, পরবর্তীতে নতুন ঔষধ আবিষ্কারে সহায়ক হতে পারে।

এছাড়াও তিনি চোখের গ্লুকোমা রোগের শল্যচিকিৎসায় ব্যবহার করা অত্যাধুনিক মাইক্রোসান্ট ডিভাইস নিয়ে জাপানিজ নাগরিকদের উপর পরিচালিত গবেষণা কাজে যুক্ত ছিলেন এবং "জাপানিজ জার্নাল অব অপথালমোলজি'তে এ বিষয়ক গবেষণা প্রবন্ধও প্রকাশ পায় ।

পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি জাপান প্রবাসী কমিউনিটির সাথে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন। এমনকি করোনাকালীন সময়ে তিনি বাংলাদেশ দূতাবাস ও জাপান বাংলাদেশ ইমার্জেন্সি ভলান্টিয়ার সার্ভিস (JBEVS) চালুকৃত হেল্পলাইনের মাধ্যমে বহু প্রবাসী বাংলাদেশীদের করোনা রোগ এবং এ রোগে আক্রান্ত হলে করনীয় বিভিন্ন স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ প্রদান করেছিলেন। এছাড়াও তিনি "জাপানিজ রেড ক্রসের" মাধ্যমে প্রবাসীদের স্বেচ্ছায় রক্ত দানে উৎসাহিত করতেন।

জাপান প্রবাসীদের সান্নিধ্যতা থেকে বিদায় নিলেও এ বিদায় , বিদায় নয় ।

আমার দেশের আলোকিত সন্তান, তার নিজস্ব আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে সারা বিশ্বময় যা আমাদের জন্য গর্বময়

ডাঃ তাজবীর আহমেদ সাজিদ যেখানে থাকবেন , যেভাবেই থাকবেন , ভালো থাকবেন , নিজে সুস্থ্য থেকে সবাইকে সুস্থ্য রাখায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করবেন এই প্রত্যাশা সব সময়ের জন্য ।

rahmanmoni@gmail.com

 

 

ARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action. 

[প্রথমপাতা]

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আরও দেখুন.....

.

আরও দেখুন.....