মহাবিশ্বে অজানা গরম বস্তু!
(কমিউনিটি ডেস্ক): নাসার নতুন গ্রহ-সন্ধানী টেলিস্কোপ কেপলার চালু হতে না
হতেই বিজ্ঞানীদের মাথায় নতুন প্রশ্ন ঢুকিয়ে দিয়েছে। সেখানে ধরা পড়েছে কিছু
গ্রহ সদৃশ্য বস্তু কিন্তু তাকে ঠিক গ্রহের সাথে তুলনা করা ঠিক হচ্ছেনা আবার
তাকে নক্ষত্র বলতেও কেমন বাধো বাধো ঠেকছে।
২০০৯ এর মার্চে কেপলার যাত্রা শুরুর পর সম্প্রতি দুটি নয়া বস্তুকে সে
আবিস্কার করেছে। এগুলো যথারীতি তাদের নিজেদের সূর্য্যের চারিদিকে পাক খাচ্ছে।
কিন্তু টেলিস্কোপের চীফ সায়েন্টিস্ট বিল বরুক্কির মতে এগুলোর নিজস্ব
তাপমাত্রা তাদের সূর্য্যের চাইতেও কয়েক হাজার গুন বেশী। অর্থাৎ এগুলো গ্রহ
নয়, আমাদের সৌরজগতের যে কোন গ্রহের চাইতে তা বড় ও অনেক বেশী উত্তপ্ত।
নাসার হেড এস্ট্রোফিজিসিস্ট জন মোরস বললেন, প্রকৃতি এখোনো এমন এমন সব
আশ্চর্য জিনিস তৈরি করে চলেছে যা আমাদের কল্পনার বাইরে।
অবিস্কৃত উত্তপ্ত বস্তুগুলো এখোনো পর্যন্ত জানা কোন সংজ্ঞা দিয়ে ব্যাখ্যা
করা সম্ভব হয়নি। তাই আমেরিকান এস্ট্রোনমিকাল সোসাইটি এ নিয়ে একটি মিটিং
বসিয়ে ফেলল ওগুলোকে কি বলা যায় সেই ভেবে।
তবে আপাততঃ নাসার গবেষক জেসান রো এটার নাম দিয়েছেন "হট কমপ্যানিয়নস" -গরম
সংগী!! কত গরম ওগুলো? প্রায় ২৬,০০০ ফারেনহাইট বা ১৪,৪২৬.৬৭ সেন্টিগ্রেড। যা
কিনা লোহা বা সীসাকে গলিয়ে ফেলার জন্য যথেষ্ট।
এ ব্যাপারে আপাততঃ দুটি তত্ব দেয়া হচ্ছে, দুটোই কসমিক লাইফ সাইকেল
সংক্রান্ত। রো ধারনা করছেন এটি একটি নবজাতক গ্রহ আর তাই ওর তেজটা এত বেশী,
অর্থাৎ কিনা এত্ত গরম। তার মতে গ্রহটির বয়স হতে পারে বিশ লাখ বছর মাত্র।
অবশ্য স্পেস টেলিস্কোপ সায়েন্টিস্ট রোনাল্ড জিলিল্যান্ডের মতে বিষয়টা উল্টো।
এটি একটি মৃতপ্রায় সাদা বামন নক্ষত্র। বাইরের অংশকে ধীরে ধীরে পরিত্যাগ করে
আস্তে আস্তে সে ছোট হয়ে আসছে।
টেলিস্কোপ কেপলারের উদ্দ্যেশ্য হচ্ছে মহাবিশ্বে পৃথিবীর সদৃশ্য গ্রহ কি
পরিমান আছে। এটি করতে গিয়ে সে আকাশের ছোট্ট একটি টুকরোকে বেছে নিয়েছে।
মোটামুটি চারশ ভাগের এক ভাগ এর উপর কাজ করছে সে, যেখানে মোটামুটি প্রায় দেড়
লাখ নক্ষত্র আছে। মাত্র ছয় সপ্তাহে কেপলার পাঁচটি গ্রহ খুঁজে বের করতে
সক্ষম হয়েছে যা এস্ট্রোনমারদের প্রত্যাশার চাইতেও বেশী।
অবশ্য বুরুক্কি বল্লেন, এই পাঁচটি গ্রহে জীবন ধারন অসম্ভব। এগুলো প্রত্যেকটি
পৃথিবীর চাইতে বড় ও তাদের সূর্য্যের অনেক কাছে অবস্থিত ফলে সেখানকার
তাপমাত্রা খুবই গরম। কোথাও কোথাও তিন হাজার ডিগ্রিতে গিয়েও ঠেকেছে। সম্প্রতি
অবশ্য বাতাস আছে এমন একটি গ্রহও আবিস্কার করেছে কেপলার। কিন্তু সেখানের
বাতাসের ঘনত্ব এত বেশী যে তা পলিস্টাইরেনের মত। পলিস্টাইরেন হলো পাতলা
প্লাস্টিক যা সাধারনত ভঙ্গুর জিনিস বহনের সময় চারিদিকে ঘিরে দেয়া হয় যাতে
ভঙ্গুর জিনিসে সরাসরি আঘাত না লাগতে পারে।
যাইহোক, বিজ্ঞানীরা খুব করে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন পৃথিবীর মত গ্রহ খুঁজতে
আর ঐ গরম বস্তুগুলো আসলে কি তা বোঝার জন্য। নাসার এক গবেষক বল্লেন, এই সব
তথ্যগুলো আসলেই অতুলনীয়। এই বিশ্বটা আসলেই এক আজব জায়গা, এক কথায়
ফ্যানটাসটিক!
>>এয়ার ক্র্যাশ ইনভেস্টিগেশনঃ
মাঝ আকাশে দুই বিমানের সংঘর্ঘ
>>তেনেরিফেঃ এভিয়েশন ইতিহাসের
সবচাইতে বড় দুর্ঘটনা
>>সুপার কন্টিনেন্টের ভাঙাগড়া
>>কিং
কোবরা
>>লেক চুজেনজিঃ মনমাতানো একটি লেক
>>রোমানিয়ায়
কমিউনিস্ট বিরোধী বিপ্লবের ২০ বছর
>>ঐতিহাসিক
নগরী কামাকুরা
>>গ্র্যান্ড
ক্যানিয়নের রহস্য
>>একাত্তুরের টুকরো ছবি
>>একাত্তুরের গনহত্যা
>>চ্যানেল স্ক্যাবল্যান্ডস
>>ফ্রিক
ওয়েভঃ সমুদ্রের দৈত্যাকার ঢেউ
>>চীন জাপান যুদ্ধ
>>সাপ্পোরোর ইয়ূকি মাতসুরি
>>যশোর রোড
>>ইয়াইয়ামাঃ অবকাশ যাপনের অদ্বিতীয় স্থান
>>ইয়াকুশিমাঃ জাপানের প্রাচীনতম বৃক্ষরাজির দ্বীপ
>>মাতসুশিমাঃ জাপানের অন্যতন দর্শনীয় স্থান
>>ওসাকা ক্যাসেল
>>বিশ্বের ব্যাস্ততম ষ্টেশন শিঞ্জুকু
[প্রথমপাতা] |