প্রথমপাতা  

সাম্প্রতিক সংবাদ 

 স্বদেশ

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশ কমিউনিটি

লাইফ স্টাইল

এক্সক্লুসিভ

বিনোদন

স্বাস্থ্য

বর্তমানের কথামালা

 শিল্প-সাহিত্য

 প্রবাসপঞ্জী 

আর্কাইভ

যোগাযোগ

 

 

 

 

 

 

নাগাসাকির শান্তি পার্কে স্থাপিত হচ্ছে বাংলাদেশের শান্তির ভাস্কর্য

 


কাজী ইনসানুল হক , টোকিও, জাপান থেকে

 

 

১.

রাষ্ট্রীয় আয়োজনে নাগাসাকি পিস পার্কে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে স্থাপিত হতে যাচ্ছে একটি শান্তির ভাস্কর্য। টোকিও শহীদ মিনারের পর এটি হচ্ছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্মারক স্থাপনা।

প্রস্তাবনাঃ


২০১৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি টোকিওর আকাবানে বিভিও হলে জাপানের বাংলা কাগজ পরবাস আয়োজিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট বাংলা প্রেমী জাপানি সহ প্রবাসী বাংলাদেশীদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানের সভাপতি কাজী ইনসানুল হক অনুষ্ঠানে উপস্থিত দূতাবাসের পলিটিকাল কাউন্সেলর জনাব মাসুদুর রহমান (বর্তমানে কন্স্যুলার জেনারেল, দুবাই)'র কাছে নাগাসাকি পিস জোন এ বাংলাদেশের একটি স্মারক ভাস্কর্য স্থাপনের প্রস্তাব দেন এবং এ ব্যাপারে পরবাসের সাথে নাগাসাকি পিস মেমোরিয়াল কর্তৃপক্ষের যোগাযোগের নথি সহ কাগজপত্র হস্তান্তর করেন। এ সময়ে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন জাপানি শিল্পী কৌউনো ইপ্পেই, স্বরলিপি'র মুনসী খ. আজাদ, দৈনিক প্রথম আলো'র জাপান প্রতিনিধি মনজুরুল হক।

উল্লেখ্য নাগাসাকি পিস পার্কে বাংলাদেশের একটি ভাস্কর্য প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে তৎপরতা শুরু করেন পরবাসের নিয়মিত কলাম লেখক নাগাসাকি মেডিকেলে কর্মরত ডা. আরিফা নাজনীন (বর্তমানে কানাডা প্রবাসী)। তিনি তার পরিচিত জাপানিদের নিয়ে অনেক কাঠ-খড় পুড়িয়ে অবশেষে তাদের সম্মতি আদায় করেন। তখন তাকে জানানো হয় এটি সরকারের উদ্যোগে হলে ভালো হয়।

পরবাসের প্রস্তাবের ভিত্তিতে রাষ্ট্রদূত জনাব মাসুদ বিন মোমেন সহ দূতাবাসের বেশ ক'জন কর্মকর্তা কয়েক দফা নাগাসাকি সফর করেন এবং অনুমতি ও স্থান বরাদ্দ আদায় করে নেন। দূতাবাস যথাযথ সরকারি নিয়মনীতি মেনে বাংলাদেশ থেকে একটি ভাস্কর্য বানিয়ে জাহাজে করে নাগাসাকি এনে তা বাংলাদেশের কোনো জাতীয় দিবসে প্রতিষ্ঠার চিন্তাভাবনা করছেন।

সম্প্রতি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন আমাকে জানালেন চুড়ান্ত ভাবে নির্বাচিত তিনটি ভাস্কর্যর নক্সা প্রধানমন্ত্রীকে দেখালে তিনি জাতীয় ভিত্তিক প্রতিযোগীতার মাধ্যমে একটি শ্রেষ্ঠ ভাস্কর্য নির্বাচিত করে তা জরুরি ভিত্তিতে নাগাসাকি পিস পার্কে স্থাপনের নির্দেশনা দেন। হয়তো এ বছরের মধ্যেই কোনো একদিন নাগাসাকি পিস পার্কে ভাস্কর্যটি স্থাপিত হবে এবং জানান দেবে বাংলাদেশকে জাপানের মাটিতে নতুন করে।7

উল্লেখ্য পরবাস আয়োজিত অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ২০০৪ সালের অনুষ্ঠানে টোকিওতে প্রথম শহীদ মিনার স্থাপনের প্রস্তাব আসে এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশ সরকার, বৈশাখী মেলা কর্তৃপক্ষ ও জাপানি বন্ধুদের প্রচেষ্টায় সরকারি ভাবে শহীদ মিনার নির্মিত হয়।
 

 

কাজী ইনসানুল হক
টোকিও 
kaziensan@gmail.com 


২.

স্মৃতিচারন

 

আরিফা নাজনীন, কানাডা থেকে

 


আজ আমার অনেক খুশির দিন। টোকিও থেকে জানানো হয়েছে এবছর (২০১৫) নাগাসাকি পিস পার্কে বাংলাদেশ থেকে পাঠানো ”শান্তির প্রতীক” একটি মনুমেন্ট স্থাপন করা হবে। প্রত্যাশা পুরনের আনন্দে আমি অভিভুত, এ ব্যাপারে জড়িত আমার স্মৃতিগুলো আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবার লোভ সামলাতে পারছিনা।

আমি একজন বাংলাদেশি ডাক্তার। ১৯৯৬ সালে প্যাথলজিতে পিএইচডি করার জন্য মনবুশো স্কলারশিপ নিয়ে জাপানের নাগাসাকি ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছিলাম। পাশ করার পর সহকারী অধ্যাপক হিসাবে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ঐ ইউনিভার্সিটিতেই কর্মরত ছিলাম। আপনারা অনেকেই জানেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আমেরিকা ১৯৪৫ সালের আগষ্ট মাসে জাপানের হিরোশিমা আর নাগাসাকি এই দুটি শহরে আনবিক বোমা বিস্ফোরন ঘটায়। ৯ম আগষ্টে নাগাসাকি শহরের উরাকামি নদীর তীরে বিস্ফোরনের ফলে উরাকামি ক্যাথলিক চাচর্ , মেডিক্যাল কলেজসহ বিস্তৃত এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মেডিক্যাল কলেজটি আবার নির্মান করা হয় এবং ইউনিভার্সিটিতে উন্নীত করা হয়। মেডিক্যাল ক্যা¤পাসের আশেপাশে এখনও বেশ কিছু নিদর্শন সযতেè সংরক্ষন করা আছে, যাতে দেশ বিদেশ থেকে আসা লোকজন সহজে দেখতে পায়। ঠিক যে জায়গায় বোমা পরেছিল, সেই জিরো পয়েন্টকে ওরা বলে হাইপোসেন্টার। হাইপোসেন্টার থেকে ২০০ কিলোমিটারের মধ্যে নতুন করে তৈরি করা নাগাসাকি ইউনিভার্সিটির মেডিক্যাল ক্যা¤পাস। আমার ভাড়া বাসাও ওখানেই ছিল। অনেকেই হয়তো আতকে উঠবেন সেজন্য উল্লেখ করছি, না বর্তমানে ঐ এলাকায় বোমা বিস্ফোরন জনিত কোন রেডিয়েশন আর অবশিষ্ট নেই। হাইপোসেন্টারটুকু সযত্নে সংরক্ষিত ও চিনহিত করে রাখা হয়েছে। উরাকামি নদীটি আগের মতই বহমান। পাশে তৈরি করা হয়েছে আনবিক বোমা বিস্ফোরন স¤পর্কিত মিউজিয়াম, পিস মেমোরিয়াল হল এবং পাশের পাহাড়ের উপত্যকায় একটি পিস (শান্তি) পার্ক। এই পার্কে ভাষ্কর সেইবো কিতামুরার তৈরি করা ব্রোনজের একটি বিশাল তবে মনোরম ভাষ্কর্য আছে, যা কিনা নাগাসাকির সিম্বলে পরিনত হয়েছে।

ডান পা ভাজ করে বসে থাকা একজন সুঠামদেহী যুবকের ভাষ্কর্য। মুখে তার অগাধ প্রশান্তি; ভঙ্গিতে মনে হচ্ছে প্রাথর্ নারত, বোমার আঘাতে নিপীড়িত আমাদের শান্তি কামনা করছে। তার ডান হাত উপরে নিদের্শ করছে আনবিক বোমা বিস্ফোরনের ভয়াবহতা, প্রসারিত বাম হাত বোঝাচ্ছে পার্থিব শান্তি আর স্বস্তির নিশ্চয়তা। মনে হচ্ছে যুবকটি এখনই উঠে দাড়াবে বিশ্বের অসহায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সাহায্যার্থে।

এটি বসানো হয়েছে মার্বেল পাথরের তৈরি আসনের উপর যাতে বিস্ফোরনে আহত নিহতদের নাম খোদাই করে লেখা আছে। এছাড়া এই এলাকায় আছে সহমর্মিতার ফুল অর্পনের জায়গা, একাধিক ফোয়ারা, বোমার আঘাতে ক্ষত বিক্ষত দেয়ালের ধংসাবশেষ, গির্জার ঘন্টা, ছবি তোলার জায়গা ইত্যাদি। এই পার্কে আরও আছে পৃথিবীর শান্তিকামী কয়েকটি দেশ থেকে পাঠানো ভাষ্কর্য দিয়ে সাজানো চমৎকার স্কাল্পচার গর্ডেন। ১৯৭৫ থেকে ২০০৬ সাল পর্য– একের পর এক ১৫টি দেশ ভাষ্কর্য প্রেরন করে এতে অংশগ্রহন করে। এখানে প্রতিবছর জাপানের প্রধানমšল্গী দেশি বিদেশি গন্যমান্য লোকজন সহ আগষ্ট মাসের ৯ তারিখ সকাল ১১:০২ মিনিটে বিস্ফোরিত বোমার কথা স্মরন করে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। ১৯৯৬ সালে নাগাসাকি পৌছে এটমিক বো¤¦ মিউজিয়ামে গেলাম। চমৎকার বন্ধুভাবাপন্ন আয়োজন, গুছানো মিউজিয়াম। সারা পৃথিবী থেকে লোকজন এই মিউজিয়াম দেখতে আসে। সামান্য প্রবেশমূল্য, বিভিন্ন ভাষায় প্রদর্শনগুলির বর্ননা শোনার জন্য ইলেকট্রনিক ট্রান্সলেটর ভাড়া পাওয়া যায়, অনুদিত লিফলেট পাওয়া যায়। এখানে বাংলা ভাষায় ছাপানো অনুদিত লিফলেটও পাওয়া যাবে। অবাক হলাম, এই মিউজিয়াম দেখতে এমন কি দৃষ্টি প্রতিবন্দি লোকজনও আসে।

প্রতিবন্ধী বান্ধব করেই তৈরি করা হয়েছে। দেখতে দেখতে হতভাগ্য আহত মানুষের নিদারুন হাহাকার অনুভব করা যায়, মন ভারাক্রান্ত হয়ে যায়। নাগাসাকি বসবাসকালীন সময়ে অনেকবার দেশি বিদেশি অতিথি নিয়ে আমাকে সেখানে প্রবেশ করতে হয়েছে। পিস পার্কে অতিথি নিয়ে বেড়ানো ছাড়াও প্রায়ই হাটতে যেতাম। সব সময় মনে হোত, আহা আমার দেশের একটা ভাষ্কযর্ যদি এখানে থাকতো! প্রবাসি বাংলাদেশিদের সমাবেশে, দাওয়াতে গেলে সবার সাথে আলাপ করতাম কি ভাবে এটাকে সম্ভব করা যায়। অনেকেই আমার সাথে একমত ছিলেন। এখানে একটা কিছু থাকলে, লোকজন বাংলাদেশকে চিনতো। কখনও কখনও সবাই মিলে ভেবেছি, আমরা প্রবাসিরাই কিছু একটা বানিয়ে বাংলাদেশের নামে পিস পার্কে স্থাপন করে রাখি। কিন্তু ব্যাপারটা এত সহজ নয়। প্রবাসি বাংলাদেশিরা যায় আসে, কেবল আমি একা– মমতায় স্বপ্ন লালন করি, স্বপ্ন পূরনের সুযোগের অপেক্ষায় থাকি। আমার এক জাপানি বন্ধু ইউকিকো মাৎসুদা, নাগাসাকি ইউনিভার্সিটির ইকোনোমিক্সের প্রফেসর মাৎসুদার সহধর্মিনি। একদিন আমাকে জানালেন,বাংলাদেশ থেকে চট্টগ্রামের মেয়র মহিউদ্দিন এসেছেন, আমি কি উনার সাথে দেখা করতে চাই? দেশে আমার পরিবার চট্টগ্রামে থাকে, আমি খুব আগ্রহী ছিলাম দেখা করার জন্য। তবে উনার প্রোগ্রাম সিডিউলে প্রবাসি বাংলাদেশিদের সাথে বসার অবসর ছিল না, দেখা করতে পারিনি। কিন্তু আমার একটা গুরĩত্বপুর্ন তথ্য জানা হয়ে গেল। জাপান সরকার প্রতি চার বছর অ–র শান্তিকামী দেশের মেয়রদের নিয়ে আ–র্জাতিক সম্মেলন করে। এবছর সম্মেলন হিরোশিমায় হলে, ৪ বছর পর নাগাসাকিতে হবে। বাংলাদেশি মেয়ররা এতে অংশগ্রহন করেন। আমি নাগাসাকিতে থাকতাম, এর পরের সম্মেলন হিরোশিমায়, তারপর আবার নাগাসাকিতে। অপেক্ষার দিনগুলি এক সময় ফুরিয়ে যায়। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ থেকে একদল মেয়র নাগাসাকিতে আসেন। উনাদের সাথে আমরা প্রবাসিরা দল বেধে দেখা করতে গেলাম। আমরা পিস পার্কে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটা ভাষ্কর্য চাইলাম। উনারা আ–রিক চেষ্টা করবেন বলে আশ্বাস দিলেন। দোষ দেব না, সবাইকে দিয়ে কি সব কাজ হয়? উনারা হয়তো দেশে গিয়ে ভুলে গেলেন। এদিকে আমার আর এক জাপানি বন্ধু হিরোকো মিয়ামোতো। আমার একা– ইচ্চারকথা শুনে ও মিউনিসিপ্যালিটি অফিসে কর্মরত তার এক বন্ধুর মাধ্যমে খোজ খবর নিয়ে জানালো, স্বপ্নপূরনের জন্য কি ভাবে এগুতে হবে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে জাপান সরকারকে প্রস্তাব দিতে হবে, অনুমোদন পেলে এখনও ভাষ্কযর্ স্থাপন করা সম্ভব। তখন কাজি ইনসান ভাইয়ের স¤পাদনায় টোকিও থেকে পরবাস নামে দ্বিমাসিক বাংলা পত্রিকা বের হোত। আমি প্রায় আট বছর ওখানে প্রবাসের প্রতিদিন নামে কলাম লিখতাম। ইনসান ভাইকে জানালাম আমার/আমাদের ইĪছার কথা। অনুবাদকের চাকরি নিয়ে হিরোকো মিয়ামোতো টোকিও চলে গেলে, ও সরাসরি ইনসান ভাইকে তথ্যগুলো জানালো। ২০০৮ সালে ইনসান ভাই ঝটিকা সফরে ১ ঘন্টার জন্য নাগাসাকি এসেছিলেন।
উনাকে পিস পার্কে নিয়ে গেলাম, দাবি জানালাম। ইনসান ভাই টোকিও ফিরে পরবাস আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দুতাবাস কর্মকর্তাদের কাছে আমাদের দাবি পৌছে দিলেন। তৎকালীন রাষ্ট্রদুত নাগাসাকিতে লোক পাঠালেন, নিজে এলেন দেখতে। আর এদিকে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি হয়ে আমি দৌড়ালাম স্থানীয় মিউনিসিপ্যালিটি অফিসে। মি.কাজুনারি হিগুচি আমাকে ভাষ্কর্যের বিশদ ক্রাইটেরিয়া জানালেন। থিম, আকার, ওজন কেমন হবে বিস্তারিত বললেন, তা দুতাবাসে জানালাম, কাগজপত্র পাঠালাম। তৎকালীন লেবার ডিভিশনের ফার্ষ্ট সেক্রেটারি বেবি রানী কর্মকারও খুব সহায়তা করলেন। রাষ্ট্রদুত মাসুদ বিন মোমেন নাগাসাকিতে স্থাপনের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে ভাষ্কর্য তৈরি করার প্রতিযোগিতার আয়োজন করলেন। ২০১৩ সালের ডিসে¤ ¦র মাসে প্রায় ১৮ বছর পর আমি জাপান ছেড়ে ক্যানাডা চলে আসি। এতদিনে ভাষ্কর্যটি তৈরি করা শেষ, তবে আমার এখনও দেখার যোগ হয়নি। ২০১৫ সালের বাংলা নববষের্ র কাছাকাছি কোন এক সময় এটি নাগাসাকি পিস পার্কে স্থাপন করা হবে। খুব ইĪছা করছে প্যাসিফিক সমুদ্রের পাড়ি দিয়ে স্থাপন করার দিন দেখতে যাই। মরনোত্তর নয়, এতো জীবদ্দশায় স্বপ্নপুরন! এই বা—বায়নের সাথে যারা জড়িত সবাইকে অসংখ্য আ–রিক ধন্যবাদ জানাই। যারা জাপানে আছেন, তারা অবশ্যই সময় করে আমার ইĪছাপুরনের রĩপটি দেখতে যাবেন প্লিজ, অনুরোধ রইল।

আরিফা নাজনীন

arifanazneen@yahoo.com 

 

 

 

WARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action. 

 

[প্রথমপাতা]

 

লেখকের আগের লেখাঃ