[প্রথমপাতা]

 

 

 

 

 

বাংলা পরীক্ষায় ইংরেজী নয়, এই কোন পরীক্ষার মুখোমুখি গণজাগরণ!

 

 

মোঃ মহিউদ্দিন মজুমদার মাসুম

একটি রায়, রাজাকার কাদের মোল্লার প্রদর্শিত বিজয় সূচক ভি চিহ্ন, আঘাত হানে সচেতন নাগরিক সমাজের বিবেকে, বিস্ময়াভূত জনতার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটে । অতঃপর বিক্ষুব্ধ কয়েকজন তরুণ প্রতিবাদী ব্যানার নিয়ে দাঁড়িয়ে যান শাহবাগে, টিভি সাংবাদিকের ক্যামেরার লেন্স ওদের নিউজ কাভার করে, অতঃপর এক এক করে লক্ষ জনতার ঢল নামে শাহবাগের প্রাণ জুড়ে । ক্ষোভ-বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে রাজপথ ছাড়িয়ে সারাদেশে, তরুণ-তরুণীরা স্লোগান ধরে- চিহ্নিত রাজাকারের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি কার্যকর কর- করতে হবে, পদ্মা মেঘনা যমুনা তোমার আমার ঠিকানা, জয় বাংলা । স্লোগানে-স্লোগানে মুখরিত হয় শাহবাগের উত্তাল জন সমুদ্র, রাত কাটে, দিন কাটে, মাস কাটে, নির্ঘুম শাহবাগ থেকে ছয়-দফার দাবীনামা ওঠে আসে । ঐক্যমত পোষনে মুক্তিযোদ্ধা, নবীন-প্রবীন, তরুণ-তরুণী ও মা-বাবার সাথে কোলের শিশু শাহবাগে আসতে থাকে, অবশেষে মুক্তিযোদ্ধাদের রক্ত-ঋণের আবেগ নিয়ে তারুণ্যের পদভারে গণজাগরণ মঞ্চ গড়ে ওঠে ।
গণজাগরণ সৃষ্টি থেকে অদ্যবদি- প্রেক্ষাপট, ঘটনা প্রবাহ, ব্যাক্তি বা দল পর্যায়ে কার কী ভূমিকা ছিল, এখনও সবার স্মৃতিতে কমবেশী সমুজ্জ্বোল । বিতর্কের জন্য বিতর্ক করলে করাই যায়, মীমাংসা বা সত্যকে মেনে নেয়ার মানুষিকতা থাকলে হয়তঃ একমত পোষন করবেন ।
আবদুল কাদের মোল্লার রায় ঘোষনার আগের দিন জামাত-শিবির বিক্ষোভ মিছিল শেষে শাপলা চত্বরে সমাবেশ করে । সমাবেশ থেকে যুদ্ধাপরাধে বিচারাধীন জামাত নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করেন, ট্রাইব্যুনাল ভেঙ্গে দেয়ার দাবী করেন এবং ট্রাইব্যুনাল থেকে জামাত নেতাদের বিরুদ্ধে কোন রায় আসলে গৃহযুদ্ধের হুমকী দেন । উল্লেখ্য, ঐদিন শিবির পুলিশকে রজনীগন্ধার স্টিক দিয়ে শুভেচ্ছা জানান । দেখা যায় ঐদিনটির আগে পুলিশ ও জামাত-শিবিরের সম্পর্ক ছিল সাংঘর্ষিক । হঠাৎ অবস্থার পরিবর্তন, জামাত-শিবিরকে মিছিল করতে দেয়া এবং রজনীগন্ধার শুভেচ্ছা বিনিময়ের পরদিন কুখ্যাত রাজাকার কাদের মোল্লার গুরু পাপে লঘু দন্ড অর্থাৎ যাবজ্জীবন কারাদন্ডের রায় দেখে দেশের সচেতন নাগরিক সমাজ সন্দেহ পোষন করেন- সরকার ও জামাতের মধ্যে পর্দার অন্তরালে নিশ্চয় কিছু একটা হয়েছে, না হয় এমনটা হবে কেন ? সরকার হঠাৎ কেন জামাত-শিবিরকে মিছিলের অনুমতি দিল এবং কোন অগ্যাত কারনে শিবির পুলিশকে আক্রমন না করে ওল্টো রজনীগন্ধার শুভেচ্ছা দিল ? এসব থেকে সন্দেহ ঘনীভূত হয় এবং এই ঘনীভূত সন্দেহ থেকে গণজাগরণের সৃষ্টি ।
জনতার স্বতঃস্ফূর্ত অংশ গ্রহনের প্রথম দিনেই বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সহ বামপন্থী ছাত্র সংগঠন সমূহ এবং বিভিন্ন প্রগতিশীল সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন গণজাগরণ মঞ্চের সাথে যুক্ত হয়ে ধারাবাহিক আন্দোলনের শপথ নেন এবং সম্মিলিত সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ব্লগার এন্ড অনলাইন এ্যক্টিভিষ্টদের আহব্বায়ক ডাঃ ইমরান এইচ সরকারকে মূখপাত্র হিসেবে মনোনীত করে আন্দোলন পরিচালনার প্রত্যয় ঘোষনা করেন ।
অনেকে মনে করেন সরকার গণজাগরণ সৃষ্টি করেছেন, তা ঠিক নয় । মূলতঃ সরকারের প্রতি সন্দেহ থেকেই গণজাগরণের সৃষ্টি । আর সরকার নিজেদের সন্দেহ মুক্ত করতে গণজাগরণে নিজেদের নেতাকর্মীদের পাঠান এবং কতিপয় দুর্ণীতিবাজ নেতা গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের প্রতিরোধের শিকার হন, এতদ্বসত্ত্বেও আওয়ামীলীগ মনঃক্ষুন্ন বা রাগান্বিত না হয়ে চাতুরতার সাথে গণজাগরণের আন্দোলনের সম্পৃক্ত হন এবং পর্যায়ক্রমে গণজাগরণকে নিজেদের পক্ষে ক্যাশ করে রাজনৈতিক সুবিধা নেন । আর সরকার গণজাগরণে সম্পৃক্ত হওয়ায় প্রতিপক্ষ অর্থাৎ জামাত-শিবির ও হেফাজত গণজাগরণকে সরকারের সৃষ্ট নাটক বলে অভিহিত করেন ।
সরকার গণজাগরণের পক্ষে অবস্থান নিয়ে পুলিশী প্রোটেকশন সহ অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে সহযোগীতা দান করেন । এমনকী গণজাগরনের সকল কর্মসূচীর সাথে একমত পোষন ও পালন করার কারনে গণজাগরণের ডাঃ ইমরান এইচ সরকারকে অনেকে বিকল্প সরকার বলতেন । ডাঃ ইমরান এইচ সরকারের আহব্বানে প্রধানমন্ত্রী সহ সরকারের পুরো দেশের প্রশাসন কর্মসূচী পালন করেছে, এমনকী প্রধানমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছেন -আমি সংসদে বসে আছি কিন্তু মন পড়ে আছে শাহবাগে । তাছাড়া গণজাগরণ কর্মী রাজীবের নৃশংস হত্যাকান্ডের পর রাজীবকে দেখতে প্রধানমন্ত্রী রাজীবের বাড়িতে গিয়েছেন এবং প্রধানমন্ত্রী তনয় জয় শাহবাগে রাজীবের জানাযায় শরীক হয়েছিলেন, এমনকী প্রধানমন্ত্রী রাজীবকে মুক্তিযুদ্ধের দ্বিতীয় প্রজন্মের প্রথম শহীদ হিসেবে অভিহিত করেছেন ।
প্রেক্ষাপটটা সবার জানা, সরকার যখন ঢাকা শহরে জামাত-শিবির কর্মীদের অব্যাহত হামলায় কোনঠাসা পর্যায়ে সেই মুহূর্তে কাদের মোল্লার রায়কে কেন্দ্র করে কাকতালীয় ভাবে গড়ে ওঠা গণজাগরণকে ব্যবহার করে সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছিল এবং ওদের আন্দোলনের কারনে সরকার আইন পরিবর্তন করে কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর করতে সক্ষম হন । সময়ের পরিক্রমায় বর্তমানে সরকারের ছাত্র ও যুব সংগঠন এবং সরকারের পুলিশ বাহিনী গণজাগরণের সাথে সাংঘর্ষিক অবস্থানে দাঁড়িয়ে গেছে । যেই পুলিশ বাহিনী গণজাগরণ কর্মীদের প্রোটেকশনে দিবা-রাত্রী ব্যস্ত থাকতেন, সরকারের সেই পুলিশ বাহিনী গণজাগরণ কর্মীদের বেরধক লাঠিপেটা করেছে । এমন কী অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে, ডাঃ ইমরান এইচ সরকারের গণজাগরণ মঞ্চের নেতা-কর্মীদের কতিপয় ছাত্রলীগ যুবলীগ নেতার প্রতিরোধ নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হতে হবে । থানায় গণজাগরণের মামলা নিতে পুলিশ তালবাহানা করবে, এমনকী থানায় পুলিশের উপস্থিতিতে গণজাগরণের নেতাদের ছাত্রলীগ যুবলীগ পিটাবে অথচ পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকায় থাকবে । এটা কী ডাঃ ইমরান এইচ সরকারের সাথে কতিপয় ছাত্রলীগ/যুবলীগ নেতার নেতৃত্বের দ্বন্ধ নাকী প্রকারান্তরে সরকার গণজাগরণকে ধ্বংস বা নিঃশেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা অবশ্যই গভীর ভাবে পর্যালোচনার দাবী রাখে ।
তৎকালিন সময়ে প্রধান বিরোধীদল বিএনপি গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনে সমর্থন দিবে কী দিবে না, এনিয়ে দ্বিধাদ্বন্ধে পড়েছিল । একদিকে ব্যাপক সংখ্যক সাধারন নাগরিকের উপস্থিতি অন্যদিকে জোটমিত্র জামাতের সাথে সম্পর্ক । গণজাগরণকে সমর্থন দিলে জোটমিত্র জামাতের সাথে সম্পর্ক নষ্টের আশংকা । এই ধরনের পরিস্থিতিতে বেশ কিছুদিন পর্যবেক্ষন করার পর গণজাগরণ মঞ্চকে বিএনপি থেকে বলা হয় যুদ্ধাপরাধের বিচারের সাথে গণজাগরণ মঞ্চ যেন সরকারের দুর্ণীতিসহ অপরাপর অগনতান্ত্রিক ইস্যুকে যুক্ত করে । কিন্তু গণজাগরণ থেকে বলা হয়েছিল আমরা বাংলা পরীক্ষার সময় বাংলাই পড়ব, ইংরেজী নয় অর্থাৎ যুদ্ধাপরাধের বিচারের মধ্যে অন্য বিষয়ে কথা বলবো না । বাকীটা সবার জানা, বিএনপি শেষোবধি জামাত-হেফাজতের সাথে সুর মিলিয়ে নাস্তিকতার অভিযোগ তুলে গণজাগরণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন ।
গণজাগরণ মঞ্চ যাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে তাদের কাছ থেকে গণজাগরণকে নাস্তিকতা চর্চা, রাতের বেলায় ছেলে-মেয়েদের বেহাল্লাপনা ও মাদক সেবন করে উম্মাদনা এবং পুলিশ প্রোটেকশনে সরকারী টাকায় বিরিয়ানী খেয়ে শাহবাগের রাস্তা দখল করে মোজমাস্তির অভিযোগ এসেছিল । প্রতিপক্ষ আন্দোলনকে ব্যর্থ করতে বিভিন্ন ধরনের স্ক্যান্ডাল ছড়াবে এটাই স্বাভাবিক । কিন্তু যে আওয়ামীলীগ সরকার গণজাগরণের পক্ষালম্বন করেছিল, সেই আওয়ামীলীগ সরকারের ছাত্র ও যুব সংগঠন এবং সরকারে থাকা পাঁচটি বামপন্থী ছাত্র সংগঠন কর্তৃক ডাঃ ইমরান এইচ সরকারের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের ক্যান্ডাল ও স্বেচ্ছাছারীতার অভিযোগ এবং আওয়ামীলীগের সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িত জনৈক কামাল পাশা সহ পনর জন আওয়ামী সমর্থিত লোক মিলে ডাঃ ইমরান এইচ সরকারকে মূখপাত্র থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন এবং নিজেদেরকে গণজাগরণ মঞ্চের নেতৃত্ব বলে ঘোষনা করেন । যারা এটাকে ছাত্র ও যুবলীগের সাথে ডাঃ ইমরান এইচ সরকারদের নেতৃত্ব ও টাকা পয়সার ভাগ-বাটোয়ারার দ্বন্ধ হিসেবে দেখছেন, তারা সচেতন ভাবে প্রকৃত সত্যকে আড়াল করার চেষ্টা করছেন ।
সাম্প্রতিক সময়ে গণজাগরণ মঞ্চের বক্তব্য-বিবৃতি সরকারের সাথে গণজাগরণ মঞ্চের সম্পর্কের অবনতি ঘটিয়েছে । ৫ জানুয়ারী নির্বাচন পরবর্তী সময়ে ডাঃ ইমরান এইচ সরকার ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনকে সমালোচনা করে বক্তব্য দিয়েছেন এবং জাতীয় সংগীতের অনুষ্ঠানে ইসলামী ব্যাংকের আর্থিক চাঁদা গ্রহনের তীব্র সমালোচনা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন । তাছাড়া ট্রাইব্যুনাল কার্যক্রমের স্থবিরতার তীব্র সমালোচনা করেছে । ডাঃ ইমরান এইচ সরকারের নেতৃত্বাধীন গণজাগরণ মঞ্চের এই ধরনের বক্তব্য নৈতিকতা ও যৌক্তিকতার বিচারে ঠিক হলেও সরকারের আঁতে ঘা লাগে এবং সরকার বিব্রতবোধ করেন । তারই প্রতিক্রিয়ায় সরকার গণজাগরণ মঞ্চকে ছাত্রলীগ যুবলীগ ও পুলিশ দিয়ে টুঁটি চেপে ধরেছে কিনা, তা বিবেচনার দাবী রাখে ।
বর্তমান জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপট, ট্রাইব্যুনালের গতি প্রকৃতি ও জামাতের উপজেলা নির্বাচনের আগে-পরের অবস্থা পর্যবেক্ষন করলে সন্দেহ আরো ঘনীভূত হয়, নিশ্চয় সরকার পর্দার অন্তরালে জামাতের সাথে কোন ধরনের অনৈতিক সমঝোতার পথে হাঁটছেন । না হয় কেন দীর্ঘদিন যাবত ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম স্থবির হয়ে আছে ? কেন জামাতের রাজনীতি নিষিদ্ধের বিষয়টা আঁটকে আছে ? সরকার আগামী পাঁচ বছর জামাতকে সরকার বিরোধী আন্দোলন থেকে বিরত রাখার কৌশল হিসেবে এই অনৈতিক সুযোগ দিচ্ছে কিনা তা গভীর পর্যালোচনার দাবী রাখে ।
তাছাড়া কিছু কিছু উপজেলায় দেখা গেছে জামাত ও সরকারী দলের প্রার্থীর মধ্যে সমঝোতা মূলক ভোটাভোটি হয়েছে এবং সরকারীদল অনেক জায়গায় বিএনপির প্রার্থীকে জোরকরে হারিয়ে দিলেও জামাত প্রার্থীদের বেলায় নমনীয় ছিল, এক্ষেত্রে যুদ্ধাপরাধে বিচারাধীন সাঈদীর ছেলের নির্বাচন অন্যতম উদাহরন । আরেকটা লক্ষ্যণীয় বিষয় হচ্ছে জামাত উপজেলা নির্বাচনে আশাতীত রকমের ভালো ফলাফল করেও সরকারকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে বিবৃতি থেকে নিবৃত আছে, যা অতীতে কখনও দেখা যায়নি । এই ধরনের সন্দেহ গুলির বাস্তবতা থাকলে গণজাগরণ মঞ্চের ভবিষ্যত কার্যকরী অবস্থান সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলবে, তাই হয়তঃ সরকার ভবিষ্যত আশংকাকে বিবেচনায় রেখে গণজাগরণ মঞ্চের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে নিঃশেষ বা নিয়ন্ত্রণে নেয়ার কৌশল হিসেবে ঘটনাগুলি ঘটাচ্ছে ।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে কেউ যদি প্রশ্ন তোলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কী ভুলে গেছেন উনি যা বলেছিলেন- সংসদে বসে থাকলেও উনার মন পড়ে থাকে শাহবাগের তরুণদের মাঝে । এখন যখন গণজাগরণ কর্মীরা উনারই ছাত্র, যুব নেতা এবং পুলিশের হাতে মার খায়, প্রধানমন্ত্রী কী বলবেন ? উনার মন এখনও শাহবাগে আছে নাকী শাহবাগ ছেড়ে চলে গেছে ? নাকী শাহবাগের প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে গেছে ! মৌলবাদীদের হাতে নিহত দ্বিতীয় প্রজন্মের প্রথম শহীদ রাজীবের সহযোদ্ধারা কী এবার আওয়ামী ছাত্র ও যুব সংগঠনের হাতে বলি হবে ? গণজাগরণের তরুণরা সেদিন বিএনপির আরো দাবী সংযুক্তির উত্তরে বলেছিল -বাংলা পরীক্ষার সময় আমরা বাংলাই পড়ব ইংরেজী নয় । গণজাগরণের ছয় দফা দাবীনামা যদি বাংলা হয়, সেই বাংলার মাত্র দুটি অধ্যায় পড়া হয়েছে বাকী চারটি অধ্যায় পড়ার সময় সরকারী সংগঠন কেন বাতি নিবিয়ে দিতে উদ্যত হয়েছে ? ছাত্রলীগ যুবলীগ কার স্বার্থে কাদের ইন্ধনে গণজাগরণের বাংলা পড়ায় অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে ? তা জানতে হয়তঃ খুব বেশী দিন অপেক্ষা করতে হবে না । জানিনা, জাতি আর কতবার আশাহতঃ হবে, কবে আমরা অপরাজনীতিকে ধূলায় মিশিয়ে নূতনের কেতন উড়াবো ।

 

 

WARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action. 

 

[প্রথমপাতা]

 

 

 

লেখকের আগের লেখাঃ