প্রথমপাতা  

সাম্প্রতিক সংবাদ 

 স্বদেশ

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশ কমিউনিটি

লাইফ স্টাইল

এক্সক্লুসিভ

বিনোদন

স্বাস্থ্য

বর্তমানের কথামালা

 শিল্প-সাহিত্য

 প্রবাসপঞ্জী 

আর্কাইভ

যোগাযোগ

 

 

 

 

 

শিশুর দুধ দাঁত এর যত্ন
 

 

 

ডা. স্বপন কুমার মন্ডল
সহকারী অধ্যাপক, শেখ সায়েরা খাতুন মেডিক্যাল কলেজ


দাঁত মানুষের মুখের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। জীবনে দুই বার মুখে দাঁত ওঠে। শিশুর জন্মের সাধারনত ছয মাস থেকে তিন বছরের মধ্যে উপর ও নিচের চোয়ালে দশটি করে মোট বিশটি দাঁত ওঠে। এই দাঁতগুলোকে ডেসিডুয়াস বা দুধ দাঁত বলে। সাধারনতঃ ছয় থেকে বার বছরের মধ্যে এই দাঁতগুলো পড়ে যায় এবং সে ফাঁকা জায়গায় পারমানেন্ট বা আসল দাঁত ওঠে।

ছোট বাচ্চারা নিজেদের দাঁত নিজেরা পরিষ্কার করতে পারে না। তাই মা-বাবার উচিত রাতে পরিস্কার শুকনো কাপড় বা ব্রাশ দিয়ে শিশু ঘুমাতে যাবার আগে তার দাঁত পরিষ্কার করা। অনেক মায়েরা রাতে শিশুর মুখে বুকের দুধ বা ফিডার এর চুসনি মুখে দিয়ে রাখেন, যাতে শিশু ক্ষুধায় জেগে না ওঠে। আবার অনেক মায়েরা আড়াই বছরের পরিবর্তে চার-পাঁচ বছর পর্যন্ত বুকের দুধ বা ফিডার এর সাহায্যে দুধ খাওয়ান এবং দাঁত পরিস্কার করান না। এ সব বাচ্চাদের দাঁতে র‌্যামপ্যান্ট ক্যারিস বা দ্রুত ছড়িয়ে পড়া দাঁত ক্ষয় রোগ হয়।

এছাড়াও পেছনের দাঁতে ক্যারিস বা ক্ষয় রোগ, সামনের দাঁতে সাদাটে দাগ, মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া উপসর্গ দেখা যায়। দাঁতের ক্ষয় রোগ এর শুরুতে চিকিৎসা করালে দুধ দাঁত ভাল থাকে। র‌্যামপ্যান্ট ক্যারিসের ক্ষেত্রে ইনফেকশন এর জন্য পালপেকটমী বা নষ্ট দাঁতের পঁচা মজ্জা ফেলে দিয়ে ফিলিং করা, সেটা সম্ভব না হলে দাঁত ফেলে দেওয়া লাগতে পারে। দুধ দাঁত পড়ে গেলে সে স্থানে পারমানেন্ট বা আসল দাঁত আসবে। যদি দুধ দাঁত না থাকে, তাহলে তার স্থানে আগত পারমানেন্ট দাঁত আঁকা-বাঁকা হয়ে উঠবে। পরবর্তীতে আঁকা-বাঁকা দাঁতের চিকিৎসা করাতে অনেক টাকা খরচ হয়। আবার দুধ দাঁতে ইনফেকশন থাকলে, পারমানেন্ট দাঁতেও ইনফেকশন হতে পারে। এ সব ক্ষেত্রে, মা-বাবার উচিত নিকটস্থ দাঁতের চিকিৎসকের কাছে বাচ্চাকে নিয়ে যাওয়া।
 


 

 
 

WARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action.

[প্রথমপাতা]


 

 

 

লেখকের আগের লেখাঃ