|   প্রথমপাতা  |  প্রকাশের তারিখঃ বুধবার, আগষ্ট ৩০, ২০২৩ |

 

জাপানে হাসুরা আখতার রূমকীর একক চিত্রাংকন প্রদর্শনী

 

 

কাজী ইনসানুল হক, উপদেষ্টা সম্পাদক
কমিউনিটি নিউজ

মেঘমুক্ত টোকিওর আকাশটা আজ বেশ উজ্জল। গরমের তাপটা একটু বেশী। ছুটির দিন, দিনব্যপী প্রবাসী কমিউনিটির নানান আয়োজন। এর মাঝেই একটা ব্যতিক্রম আয়োজন কাহাল আর্ট গ্যালারিতে বাংলাদেশের মেয়ে (রংপুর) হাসুরা আখতার রূমকীর একক চিত্রকলা প্রদর্শনী।

ঢাকার বাইরে এটি রূমকীর দ্বিতীয় একক প্রদর্শনী। প্রথমটি হয়েছিল গ্রীসে। না আসলে বুঝতেই পারতাম না কত মনোমুগ্ধকর আয়োজনটির অংশ হয়ে নিজেকে ধন্য করেছি আমরা। আড়ম্বরহীন প্রদর্শনী কিন্তু দেয়ালে ঝুলানো রূমকীর প্রতিটি কাজ যেন দ্যুতি ছড়াচ্ছে গোটা গ্যালারী জুড়ে।
 


রংপুরের মেয়ে হাসুরা আখতার রূমকী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ওরিয়েন্টাল আর্ট বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেছেন রুমকি। ২০২১ সালে জাপানের কাহাল আর্ট গ্যালারিতে হওয়া বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক শিল্প প্রদর্শনীতে গ্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন তিনি। এছাড়া কয়েকটি গ্রুপ আর্ট প্রদর্শনী, কর্মশালা, আর্টক্যাম্প, প্রকল্প ও আর্ট রেসিডেন্সিতে অংশ নিয়েছেন হাসুরা। জাপানের সাথে বাংলাদেশের বহুমাত্রিক সাংস্কৃতিক যোগাযোগ বেশ পুরোনো। চিত্রকলা বিষয়ে উচ্চশিক্ষায় জাপানে বৃত্তি নিয়ে পড়াশুনা করা শিল্পীর সংখাও অনেক। জাপানে বাংলাদেশি চিত্রশিল্পীদের হাতেখড়ি হয় প্রয়াত মোহাম্মদ কিবরিয়াকে দিয়ে। জাপানি ওয়াশ টেকনিক প্রয়োগ করে চিরায়ত বৃত্তের বাইরে নতুন ঘরানার আঁকাউঁকি শুরু করেন তিনি। সুবিশাল স্পেসে আলোর রকমারি খেলা বাংলার ঐতিহ্য থেকে সরে না গিয়ে বৈশ্বিক আঁকিবুঁকি জাপানি শিল্পবোদ্ধাদের নজর কাড়ে। পরবর্তীতে জাপান প্রবাসী কাজী গিয়াসউদ্দীনসহ আরও কয়েকজন তাদের চিত্রকলা দিয়ে বাংলাদেশকে পরিচিত করেন।

উল্লেখ্য, মৃৎ শিল্পী তাকিতার হাত ধরেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে মৃৎ শিল্প বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। গ্যালারী জুড়ে রূমকীর সব ছবি জলরং এ করা চিত্রকলার ভাষায় মনে হয় ‘কাগজে এক্রেলিক ব্যবহার’ বলে।জলাসিক্ত সতেজ বাংলাকে ধরতেই যেন রূমকী জলরঙের সতেজ চরিত্রকে বেছে নিয়েছেন। জলরঙে বাংলার স্থানিক রূপবৈচিত্র্য ফুটে উঠেছে। সাগরকে বিমূর্ত করে বেশ কিছু ছবি নানান রংয়ের ঝলকানী সেটা কখনো কর্মব্যস্ত প্রত্যুষের কখনো অলস দূপুরের, ক্লান্ত বিকেলের বা রাতের আলো আধারীতে।

সবুজ নীলের মাঝে একটি শ্বেতশুভ্র পদ্মফুল,নীলাকাশে দূটো পাখীর সমান্তরাল ডানা মেলে এগিয়ে যাওয়,একাকী নিঃসঙ্গ বক….ছবিতে প্রবাস থেকে বাংলাদেশকে যেন দেখতে পাই। অনুষ্ঠানে বাড়তি আকর্ষন ছিল নাগোয়ায় অংশগ্রহন করতে আসা চারুকলার শিক্ষক ও দেশের নামকরা শিল্পী জামাল আহমেদ,আনিসুজ্জামান আনিস, জামাল উদ্দীন ও আব্দুস সাত্তার তৌফিকের উপস্থিতি। ছাত্রীর প্রদর্শনীতে ছুটে এসে অনুষ্ঠানটিকে সমৃদ্ধ করে তোলে। প্রধান অতিথি হিসেবে দূতাবাসের প্রতিনিধি, চিত্রকলা বিষয়ে আগ্রহী জাপানী ও সংস্কৃতিপ্রিয় প্রবাসীদের উপস্থিতিতে এবং মূল্যবান আলাপচারিতায় এবং শিল্পী রূমকীর প্রতি আরো সম্ভাবনাময় আগামীর প্রত্যাশায় অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।

 

 

WARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action.

 

[প্রথমপাতা]