|   প্রথমপাতা  |  প্রকাশের তারিখঃ Tuesday, February 06, 2024 06:58|

 

 

 

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

 

 

রাহমান মনি:                             

 

পূজা উদযাপন করা নিয়ে হিন্দু কমিউনিটি অগ্নিগর্ভ, সংঘর্ষের আশংকা

 

 

 

ধর্ম হলো শান্তির জন্য। আর, সেই ধর্মীয় কাজ করতে গিয়ে জাপান প্রবাসী হিন্দু কমিউনিটিতে শুরু হয়েছে অশান্তি। শুধু অশান্তি নয়, একেবারে অগ্নিগর্ভ অবস্থা। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, আগামী ফেব্রুয়ারী ১৮ তারিখে সরস্বতি পুজা পালনকে কেন্দ্র করে টোকিওর অস্থায়ী পূজা মন্ডপে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হবার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। দুই পক্ষই প্রস্তুত।
হিন্দু কমিউনিটির বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে যে, জনৈক ব্যক্তিকে পূজা কমিটির সভাপতি করা এবং মন্দির কমিটির লেনদেনের হিসাব-নিকাশ না দেওয়া এবং ব্যাংক হিসাবের হিসাব বই দেখানো সহ বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে সৃষ্ট সমস্যার সমাধান না হওয়ায় গত অক্টোবর ১ তারিখে পূজা কমিটির সাধারণ সভা ডেকে পূজা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয় এবং পূজা উদযাপনের জন্য একটা টীম গঠন করা হয়। এরপর গঠিত টীম অক্টোবর মাসে সুন্দরভাবে দুর্গাপূজা উদযাপন করে সাফল্য দেখায়। এর চার মাস পরে আসন্ন সরস্বতী পূজা উদযাপন করার কথা থাকায় সেই টীমের এক সদস্য যিনি দীর্ঘদিন ধরে পূজার হল বুকিং দিয়ে আসছেন তিনি টোকিওতে ফেব্রুয়ারী ১৮ তারিখের জন্য পূজার হল বুকিং দিয়ে রাখেন এবং সেই টীমের সদস্যরা পূজার প্রস্তুতির ব্যাপারে নিজেদের মধ্যে আলোচনা শুরু করেন।
এদিকে পূজা কমিটির সাবেক এক শীর্ষ কর্মকর্তা গোপনে একই দিনে আরেকটি হল বুকিং দিয়ে রেখে জানুয়ারী ১৪ তারিখে উপদেষ্টামন্ডলীর নামে সরস্বতী পূজার প্রস্তুতি নামক একটি সভার আহবান করেন। সভায় তিনি উপস্থিত সবাইকে বলেন যে, পূজা কমিটিতে উপদেষ্টাদের অলিখিত ক্ষমতা আছে, (সেই ক্ষমতা ব্যবহার করে) বিগত ২৮ বছরের মত পূজা কমিটির কার্যক্রম পরিচালিত হবে এবং তিনি সরস্বতী পূজার নেতৃত্ব দিবেন। তিনি সভায় আগের থেকে ঠিক করা পাঁচজনের নাম প্রস্তাব করেন যার মধ্যে দুইজন অনুপস্থিত ছিলেন। তার এই কর্থাবার্তা কর্মকান্ডে ক্ষুব্ধ হয়ে উপস্থিত সদস্যদের সংগে তুমুল বাকবিতন্ডা হয় এবং অত্যন্ত উত্তপ্তকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ায় তিনি এবং আরেকজন সাবেক কর্মকর্তা মিটিং বন্ধ করে চলে যান।
এই সাবেক কর্মকর্তার প্রতি ক্ষুব্ধ অন্যান্য সাবেক কর্মকর্তা ও সাধারণ সদস্যদের বক্তব্য হচ্ছে যে, পূজা কমিটি বিলুপ্ত করার পর সাংগঠনিক নিয়মে পূজা কমিটি নেই, সাবেক কোন কর্মকর্তার কোন পদাধিকার নেই এবং পরবর্তী পূজা কমিটি গঠিত না হওয়া পর্যন্ত অক্টোবর ১ তারিখে গঠিত টীম-ই পূজা কমিটির কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
এমতাবস্থায়, সাবেক এই শীর্ষ কর্মকর্তা সার্বজনীন পূজা কমিটি জাপানের নামে কোন পূজা করতে পারবেন না এবং সাধারণ সদস্যদের অনুমতি ছাড়া পূজা কমিটির অর্থে সুরক্ষিত পূজার প্রতিমা ও রান্নার জিনিসপত্র ব্যবহার করতে পারবেন না। এদিকে উক্ত সাবেক এই শীর্ষ কর্মকর্তা পূজা করার ব্যাপারে অনড় এবং উনি নাকি বিভিন্ন জনকে ফোনালাপে টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস তার পক্ষে থাকার দাবী করেন। বাংলাদেশ দূতাবাসের কোন পক্ষ অবলম্বন না করে সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হওয়া উচিত বলে মনে করি। নইলে ভাগ্যের অন্বেষণে এই দেশে আসা এই দেশীয় ভাই ও বোনেরা মারামারি করে জাপানে আইনী ঝামেলায় জড়াবে যা কোনভাবেই কাম্য হতে পারে না।
পরিশেষে, সব সংগঠনেই একটা শৃংখলা এবং জবাবদিহিতা থাকা দরকার বলে মনে করি, ধর্মীয় সংগঠনও এর বাহিরে নয়নযেকোন সংগঠনের জন্য স্বেচ্ছাচারিতা নয়, দরকার কর্মকর্তা ও সদস্যদের সদিচ্ছা ও সততা এবং হিসাব-নিকাশের স্বচ্ছতা। জাপানী প্রবাসী প্রতিটি সংগঠনের কাছে এটাই সবার প্রত্যাশা।

rahmanmoni@gmail.com

 

 

ARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action. 

[প্রথমপাতা]

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আরও দেখুন.....

.

আরও দেখুন.....