[প্রথমপাতা]

 

 

 

ওইখানে যেওনাকো তুমি(৭ম পর্ব)
 
 

- মেহেরুন নেছা রুমা -

 

 
নীরা তার ছোট দুই বোন আর রূপাকে নিয়ে বাগানের পাশের হেলে পড়া নারকেল গাছটির উপর বসে। নীরার উদ্দেশ্য হল এখন থেকেই মেয়েগুলিকে নিজেদের সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে হবে । পদে পদে তারা যেন ধোঁকা না খায় , প্রবঞ্চনার শিকার না হয় , কোন পুরুষকে সুযোগ নিতে না দেয় । বিশ্বাসের মত অতি মূল্যবান সম্পদকে যাকে তাকে সমর্পন না করে। নারীর মন এবং বিশ্বাস নিয়ে খেলা করা পুরুষদের আভিজাত্য। এই কথাটা এখনি মেয়েদের ভাল করে বুঝিয়ে দিতে হবে। নিজের অতি মূল্যবান মনটা অতি যতœ করে কাউকে দিল,আর সে যদি তার যথার্ত মূল্যায়ণই না করে হেলায় ফেলায় অযতেœ রাখে তো কেন মিছে মিছে মন দেয়া আর কষ্ট পাওয়া ?
আসলে মেয়েরা নিজেরাই অনেক সময় বুঝে বা না বুঝে নিজেদের বিপদ নিজেরা ডেকে আনে। প্রকৃতির নিয়মে কোন পুরুষকে ভাল লাগতেই পারে । তাই বলে তার প্রতি অন্ধ বিশ্বাস করে সবকিছু ছেড়ে ছুড়ে বসে থাকা কিন্তু উচিৎ নয়। মেয়েরা বেশি কষ্ট পায় কাউকে ভালোবাসলে। অথচ তারা কিন্তু একটু সুখের আশাতেই কাউকে ভালোবাসে। কিন্তু সেই সুখের পরিবর্তে তারা দু:খটাই বেশি পায়।
নীরা রূপার সাথে সেই শিক্ষকের ব্যাপারে কথা বলে। সব কথা শুনতে চায় । তারপর রূপাকে সাহস দিয়ে বলে,কোন পুরুষকেই প্রশ্রয় দিবে না। সে শিক্ষক হোক আর যাই হোক। যদি কেউ তার সম্মান ধরে না রাখতে পারে তো সেই দ্বায় আমাদের নয়। শিক্ষক হয়ে সে যদি অপকর্ম করে তো আমরা সেই অপকর্মের বিরূদ্ধে রুখে দাঁড়াবো। নীরা ওদরেকে বলে ,তোমাদের স্কুলের সব মেয়েদেরকে নিয়ে আমরা প্রধান শিক্ষকের কাছে অংক স্যারের বিচার চাইব। তাকে স্কুল থেকে বরখাস্ত করার আবেদন জানাবো। প্রধান শিক্ষক যদি মেয়েদের সম্মান বজায় রাখতে সুবিচার না করেন তো আমরা থানা শিক্ষা অফিসারের কাছে নালিশ জানাবো। মেয়েদের এভাবে লাঞ্চিত করার অধিকার কারো নেই। শুধু এই স্যারের বিরুদ্ধেই নয়। তোমাদের চলার পথে কখনো কোন ছেলে যদি কোন অসৎ উদ্দেশ্যে তোমাদেরকে উদ্দেশ্য করে একটা শব্দও উচ্চারণ করে তো তোমরা তার প্রতিবাদ করবে। মুখ বুজে সহ্য করার দিন এখন থেকে আমাদের শেষ করতে হবে। প্রথমে আমরা শুরু করব,সবাইকে আত্মরক্ষার উপায় সম্পর্কে সচেতন করে তুলব। দেখবে এক সময় আমাদের সাথে সব মেয়েরা যুক্ত হবে। তাহলে আর ঘরে ঘরে নারী অপমান অবহেলার শিকার হবে না। আমরা আরো কাজ থাকবে। যখনি কোথাও কোন মেয়ের অনুমতি ছাড়া অভিভাবক বিয়ের আয়োজন করবে,কোন মেয়েকে বাল্য বিবাহ দিবে,যৌতুক নিয়ে কোন পুরুষ কোন মেয়েকে বিয়ে করতে আসবে আমরা সেখানে গিয়ে সেসব বিয়ে ভেঙে দিব।
আপু আমরা কি এসব করতে পারব ? আমাদের কথা কে শুনবে ? রূপা বলল।
প্রথমে হয়তো কেউ শুনতে চাইবে না। তারপরেও আমরা ব্যর্থ হতে হতেই এক সময় সফল হব। তোমাদের স্কুলে যেয়ে আমি আরো মেয়েদেরকে আমাদের এই কাজের সাথে যুক্ত করব। আমাদের একটা সংগঠন থাকবে। সংগঠনের সকলে মিলে আমরা মেয়েদের স্বার্থে কাজ করে যাব।
রূপা বেশ উৎসাহী নীরা আপুর কথায়। সে তার সব কথা সেখানে খুলে বলল। কবে আফজাল চাচা তাকে রিকসায় বসিয়ে কি করিছল,বড় ভাইয়ের বন্ধু প্রিন্স একদিন তাকে দেখে গান গেয়ে উঠেছিল । রূপার মা রূপাকে কি কি শিখায় সবকিছু বলল। সে সাথে তুলি ,শিলাও তাদের জীবনের গোপন কথাগুলি প্রকাশ করল।
কিছুদিনের মধ্যেই তাদের সাথে আরো বেশ কিছু ছাত্রী যুক্ত হয়ে গেল। প্রধান শিক্ষক ছাত্রীদের চাপের মুখে অংক স্যার কে বরখাস্ত করতে বাধ্য হলেন । এই খবর দেশের অনেক জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হল। সেই সাথে অংক স্যারকে সব ছাত্রীদের কাছে তার কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চাইতে হল।
একদিন রূপা তার ভাইয়ের বিছানার বালিশের নিচে একটা মোবাইল ফোন দেখতে পায়। ক’দিন আগে একদিন ভাইকে শুনেছিল মাকে মোবাইল কিনে দেয়ার জন্য বলছে। কিন্তু মা কিছুতেই মোবাইল কিনে দিবে না। কিনে দেয়ার কোন যুক্তিও সে দেখে না। সেই ভাই মোবাইল পেল কোথায় ? তাইতো রূপা প্রায়ই রাতের বেলা ভাইয়ার ঘরে কথা শুনতে পায় । নিশ্চয়ই রাত জেগে কথা বলে কারো সাথে। কিন্তু কার সাথে বলে ? আর মোবাইল কিনতে টাকা পেল কোথায় ? মাকে বলতে হবে। আবার ভাবে, মা যদি রাগ করেন,ভাইয়াকে মারেন । তারপরেও রূপা মনে করল ব্যাপারটা মাকে জানানো দরকার। এভাবেই অল্প থেকেই কারো জীবনে অধপতনের সূত্রপাত হতে পারে। ভাইয়াটা এখনি বাবা মার অবাধ্য হয়ে উঠছে। তাদের নিষেধ সত্ত্বেও নিজের খাম খেয়ালী মত কাজ করে।
মায়ের কাছে রুপা কথাটা বলতেই মা রেগে গেলেন ভাইয়ের উপর। রূপক দিনে দিনে মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে । এখন মোবাইল কিনেছে। প্রায়ই ওর বাবার পকেট থেকে টাকা হারানো যায়। যা আগে কখনো হত না। এসব নিশ্চয়ই রূপকের কাজ। গত মাসে সে প্রাইভেট পড়ার টাকা স্যারকে দেয়নি। বাবার সাথে স্যারের দেখা হওয়াতে স্যার টাকার কথাটা বলতেই বাবা আকাশ থেকে পড়লেন । সেতো মাসের শুরুতেই টাকা দিয়ে দিয়েছিলেন রূপকের কাছে স্যারকে দেয়ার জন্য। সে কথা রূপককে জিজ্ঞাসা করতেই রূপক বলল ,টাকাটা কোথায় যেন হারিয়ে গেছে। এখন সবকিছু পরিস্কার হয়ে যায় মার কাছে। আসলে রুপক সেই টাকা এবং মাঝে মাঝে যে বাবার টাকা হারানো যায়,তাই দিয়েই মোবাইল কিনেছে। সে যে ধুমপান করে একথাও এখন বিশ্বাসযোগ্য। এই ছেলে আরো কত কি করে আল্লাহই জানেন।
সে রাতে মা জেগে রইলেন । কান পেতে আছেন ছেলের ঘরের দিকে। সারাদিন কোথায় কোথায় থেকে রাত দশটায় ঘরে এসে কারো সাথে কোন কথা বার্তা না বলেই খেয়ে দেয়ে নিজের ঘরে যায় ।
খাবার টেবিলে মা বললেন, তুমি যে সারাদিন বাইরে বাইরে থাকো ,পড়াশুনা কি মাচায় উঠল নাকি রূপক ? স্যারের কাছেও নাকি ঠিকমত পড়তে যাচ্ছ না। এসব আমি কি শুনছি ? তুমি পরিবারের বড় সন্তান। তোমারতো কিছু দায় দায়িত্ব আছে ,নাকি ? বোনটা বড় হচ্ছে সেদিকে খেয়াল রেখ। ক’দিন পর যখন নানান জায়গা থেকে বোনের বিয়ের সম্বন্ধ আসবে তখন তো মানুষ বলবে ,শুনেছি মেয়ের বড় ভাই এর স্বভাব চরিত্র ভাল না।
একথা শুনে রূপা মায়ের মুখের দিকে একবার তাকাল। তারপর বলে ,মা তুমি কিন্তু আমাকে বিয়ে দেয়ার কথা বলবে না। আমি তোমাদেরকে ছেড়ে কারো সাথে কোথাও যাব না।
শোন মেয়ের কথা । মেয়ে হয়ে জন্মালে বিয়ে তো দিতেই হবে মা। মান স¤মান থাকতেই মেয়েদের বিয়ে দেয়া উচিৎ ।
মা আমি অনেক পড়াশুনা করব। বড় হয়ে চাকরী করব।
আচ্ছা তাই করো । বিয়ে হলেও মানুষ পড়াশুনা ,চাকরী করতে পারে।
মা শোন,নীরা আপু বলছে আঠারো বছর বয়সের আগে মেয়েদের কিছুতেই বিয়ে দিতে হয় না। আমরা এখন থেকে যে মেয়েদেরকে আঠারো বছরের আগে বাবা মা বিয়ে দিতে চাইবে ,সেই বিয়ে ভেঙ্গে দিয়ে আসব।
ওমা,মেয়ে এসব কি বলছে ! তোমাকে এসব কে শিখিয়েছে রূপা ?
রূপার বাবা বললেন ,যে বলেছে সে তো ঠিকই বলেছে। আসলেই মেয়েদের অপ্রাপ্ত বয়সে বিয়ে দেয়া উচিৎ না।
রূপক মাঝখানে কথা বলে উঠল,যত দোষ তো আমারই দেখ। রূপা যে তুলিদের বাড়ি যেয়ে ঐ নীরার সাথে কীসব যুক্তি পরামর্শ করে তাতো তোমরা দেখ না। নীরা কি ভাল মেয়ে নাকি ?
কেন ভাইয়া কি করেছে নীরা আপু ? তুমি না জেনে তার সম্পর্কে ভাল মেয়ে না এমন মন্তব্য কেন কর ?
মা বললেন ,আর তর্ক করতে হবে না। রূপক যাও নিজের ঘরে যেয়ে পড়তে বসো ।
রূপক ঘরে যেয়ে কিছুক্ষণ টেবিলে বসে পড়ার ভান ধরল। তারপর আলোটা নিভিয়ে শুয়ে পড়র। মা সবই খেয়াল করলেন। আজ সে ছেলেকে পাহাড়া দিবেন।
রাত গভীর হলে ছোট ছোট শব্দে রূপকের ঘরের ভেতর থেকে কথার আওয়াজ আসে। মা আস্তেকরে দরজায় টোকা দিলেন। কথার মগ্নতায় রূপকের কানে মায়ের সেই আওয়াজ পৌঁছল না। এবার মা রূপক বলে ডাক দিলেন । ঘরের অন্য কেউ যাতে জেগে না যায় সেজন্য মায়ের সতর্কতা। রূপক একটু পর ঘর থেকে বেরিয়ে এল।
মা তুমি এখানে ?
কি করছিলে তুমি রূপক ?
কেন মা,ঘুমাচ্ছিলাম তো ।
মায়ের সাথে মিথ্যা বলছ তুমি ?
রূপক যেন একটু ঘাবড়ে গেল। তারপর আবার বলল,মা আমিতো সত্যি ঘুমিয়েছিলাম।
রূপকের পাশ দিয়ে মা ঘরের ভেতর ঢুকলেন,বললেন মোবাইলটা দেও ।
কিসের মোবাইল মা ?
রূপক,তুমি আমার সন্তান । আমার কাছে কোনকিছু লুকিয়ে তুমি রাখতে পারবে বলো ? দেও মোবাইলটা। এত রাতে আর তোমার সাথে কথা বলব না। ভোরে কথা হবে। এখন ওটা দেও আমি গিয়ে ঘুমাই। যদিও তোমরা দুই ভাই আমার রাতের ঘুম হারাম করেছ।
রূপক মোবাইলটা লুকিয়ে যেতে পারেনি তখন। সেটা বালিশের পাশেই পড়েছিল। মা রূপককে আঙুল দিয়ে সেটা দেখিয়ে বললেন,ওটা আমার হাতে তুলে দেও। নিরুপায় রূপক মোবাইলটা মায়ের হাতে তুলে দিল। হাতে নিয়ে মা বললেন তোমার আর লেখাপড়া করতে হবে না। কারন তোমাকে দিয়ে যে সেটা হবে না তা আমরা বুঝে গেছি। তোমার বাবার অনেক স্বপ্ন ছিল তার ছেলে মেয়েরা ,বিশেষ করে ছেলে দুটি লেখাপড়া করে মানুষ হবে। বাবা মায়ের দু:খ ঘুচাবে। মনে হচ্ছে আমদের স্বপ্ন দেখাটা উচিৎ হয়নি।
মেয়ে বিয়ে দিলে পরের বাড়ি চলে যায়। তাই সে রূপাকে সেভাবে পড়াতে চায়নি। আমিই রূপাকে পড়াশুনা করিয়ে স্বাবলম্বী করতে চেযেছিলাম। কারন তোমাদের মধ্যে যেটা নাই ,আমার রূপার মধ্যে তা আছে । সে কোনদিন আমাদের মনে দু:খ দিবে না ।
রূপক মাথা নিচু করে বলল ,মা তোমার কথার আর অবাধ্য হব না। এবারের মত মাফ করে দাও।
আসলে এই মাফ চাওয়ার অর্থ এই যে, তার পড়াশুনা যদি বন্ধ করে দেয় তাহলে পড়াশুনার ক্ষেত্রে নানা বাহানা দেখিয়ে এখন যে সে বাবার কাছ থেকে টাকা পয়সা নিতে পারছে সেটা বন্ধ হয়ে যাবে।
মা বললেন ,তোমাকে এর আগেও কয়েকবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল। আর না। তুমি এখন থেকে বাবার সাথে কাজ করবে। ব্যবসা বাণিজ্য বুঝতে চেষ্টা করবে। আর যদি সেটা করতে মন না চায় তো তোমাকে আমরা দেশের বাইরে পাঠিয়ে দিব বলে ভাবছি। এখন তুমি বলো কি করবে ?
রূপক চমকে উঠল। সে আর যাই হোক ,দেশের বাইরে যাবে না। এখানে কলেজের প্রথম বর্ষের একটা মেয়ের সাথে তার লাইলী মজনুর সম্পর্ক। সেই সম্পর্ক নিয়ে কিছুদিন ধরে নানান ধরনের কথা বাতাসে ভাসছে। কলেজের কোন বন্ধ কামরায় তাদের দু’জনকে নাকি একত্রে দেখেছে কারা। ঐ দেখাকে কেন্দ্র করে তার সাথে আরো কত কত মুখরোচক কাহিনি যুক্ত হয়েছে। সেসব কাহিনির কিছু কিছু বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছেছিল । শুনে মায়ের লজ্জায় মাথা কাটা যায়।
রূপক ভাবছে কিছুতেই দেশের বাইরে যাওয়া যাবে না। প্রীতিকে রেখে দুরে কোথাও যাওয়া একেবারেই অসম্ভব। আর মা এটাও জানেন এ সব কিছু থেকে দূরে রাখতে ছেলেকে বিদেশই পাঠাতে হবে। যার যার মনের কথা মনে রেখেই সে রাতের কথোপকথন সমাপ্তি হল।
সারা রাত মায়ের চোখে ঘুম নাই। আর নাই রূপকের চোখেও । সকালে নিশ্চয়ই বাবাও আরো কিছু বলবেন। তাদের লুকিয়ে মোবাইল কিনেছি বলে অনেক শাস্তি দিবেন। পড়াশুনা বন্ধ করে দিলে আরো বিপদ। কি করা যায় । তারপর মা যা বললেন তাই যদি করেন তো কি উপায় আছে ?
ভোরে প্রতিদিনকার মত কাজকর্ম করছিলেন মা। ভাবছেন ছেলেটাকে কি একটু বেশি বলা হয়ে গেল ? কিন্তু কি করার ছিল ? একের পর এক সে বিগড়ে যাওয়ার মত কান্ড কারখানা করে আসছে। এবার সত্যি ওর বাবার সাথে আলাপ করে দেশের বাইরেই পাঠিয়ে দিতে হবে।
রুপাকে বললেন রূপককে ঘুম থেকে ডেকে তুলতে।
রূপকের ঘরে যেয়ে দেখা গেল রূপক ঘরে নেই । বাইরেও নেই। সে তো এত ভোরে ঘুম থেকে উঠে না। তাহলে গেল কোথায় ? মা মনে মনে ভাবছেন,এবারের মত ছেলেকে মাফ করে দিবেন। ঘরে আসলে বুঝিয়ে বলবেন। কিন্তু রাগারাগি আর করবেন না।
ছেলে মেয়েরা এখন বড় হচ্ছে। এসময় তাদের আত্মসম্মান বড্ড টনটনে থাকে। কিছু বলতে গেলেই গায়ে লাগে। অপমান বোধ করে। বেশি শাসন করতে গেলে আবার হিতে বিপরীত হতে পারে।

 

 

ARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action. 

[প্রথমপাতা]

 

 

 

লেখকের আগের লেখাঃ