[প্রথমপাতা]

 

 

 

 

মায়া সভ্যতা
 

 

 

কমিউনিটি ডেস্ক ।।
মায়া জনগোষ্ঠীর অন্তর্গত হচ্ছেন সেইসব মানুষ যারা প্রত্নতাত্ত্বিক সংস্কৃতির এবং আধুনিক জনগণ, যারা মেক্সিকোর দক্ষিণে এবং উত্তর-মধ্য আমেরিকাতে বসবাস করতো এবং তারা মায়া ভাষী় পরিবারের মানুষ। প্রথম দিকে এর সময় কাল প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে খ্রিস্টপূর্ব ২০০০-২৫০ অব্দ পর্যন্ত। এর মধ্যে প্রাচীন কালে খ্রিস্টপূর্ব ২৫০-৯০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত অনেক মায়া নগরীগুলোতে তাঁরা উন্নতির উচ্চশিখরে পৌঁছেছিল এবং স্প্যানিশদের আগমনের পূর্ব পর্যন্ত পুরো পোস্টক্লাসিক জুড়ে চালিয়ে গিয়েছিল। এটি ছিলো বিশ্বের সর্বাপেক্ষা ঘন জনবসতি এবং সংস্কৃতিভাবে গতিশীল একটি সমাজ।

উচ্চ স্তরের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া কারণে এবং সাংস্কৃতিক প্রসারণ করার দরুন অন্যান্য মেসোআমেরিকান সভ্যতার সঙ্গে মায়া সভ্যতাকে অনেক ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। যেমন: লেখার উন্নতি-সাধন, গ্রন্থারম্ভে উদ্ধৃত বাক্য এবং বর্ষপঞ্জিকা যা মায়ার সঙ্গে উদ্ভূত হয়নি, তবুও তাঁদের সভ্যতা তাঁদেরকে সম্পূর্ণভাবে বিকশিত করেছিল। হণ্ডুরাস, গুয়াতেমালা, এল সালভাদর এবং যতদূর দেখা যায় মায়া অঞ্চল থেকে ১০০০ কিলোমিটারের (৬২৫ মাইল) চেয়েও বেশি, মধ্যে মেক্সিকোতেও মায়ার প্রভাব লহ্ম্য করা যায়। এর বাইরেও অনেক মায়া সভ্যতার প্রভাব শিল্প এবং স্থাপত্য খোঁজ পাওয়া যায়, যা বাণিজ্যিক এবং সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের চিন্তা ধারার ফলস্বরূপ বরং সরাসরি বাহ্যিক জয়। মায়া জনগণ কখনই অন্তর্ধান হয়নি, প্রাচীন কালেও না, স্প্যানিশ বিজয়ীদের আগমনের সাথেও না, এবং পরবর্তীতে যখন স্প্যানিশরা আমেরিকা মহাদেশে উপনিবেশ স্থাপন করে তখনও না। আজ, পুরো মায়া অঞ্চল জুড়ে মায়া এবং তাদের বংশধরদের বিস্তার। প্রাচীন কলাম্বিয়ান এবং ভাবতত্ত্বের জয়ের ঐতিহ্য ও ধারণার পাথক্যসূচক একটি সমষ্টির ফলাফল বজায় রাখার অর্ন্তভুক্তি। অনেক মায়া ভাষী তাদের প্রাথমিক ভাষা হিসেবে আজও মায়া ভাষায় কথা বলে। রাবিনাল আচি, আচি ভাষায় একটি খেলা লিখেছে। মায়াকে ২০০৫ সালে ইউনেস্কো মাস্টারপিস অফ দি ওরাল এন্ড ইন্ট্যানজিবল হেরিটেজ অফ হিউম্যানিটি হিসেবে ঘোষণা করেছে।

মায়া সভ্যতার ভৌগোলিক সীমা মায়া অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। মেক্সিকান রাষ্ট্রে গুলোর দক্ষিণে চাপাস, তাবাস্কো এবং ইয়ুকাটান রাষ্ট্রে গুলোর উপদ্বীপের কুইন্টানা রোও, কাম্পেছ এবং ইয়ুকাটান জুড়ে প্রসারিত করেছিল। মায়া এলাকার বিস্তার উত্তরে মধ্যে আমেরিকা অঞ্চলও। বর্তমান গুয়াতেমালা, বেলিজ, এল সালভাডোর এবং পশ্চিমী হণ্ডুরাসের জাতি জুড়ে মায়া সভ্যতা প্রসারিত করেছিল। মায়া অঞ্চলের জলবায়ু অনেক ভাবে পরিবর্তন হয়ে থাকে। নিচু-অবস্থান এলাকা হওয়ার ফলে নিয়মিত প্রবল হারিকেন ঝড় এবং গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড়ের সম্মুখীন হন মরুভূমির যাত্রীরা।

মায়া অঞ্চলকে সাধারণভাবে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে: দক্ষিণ মায়া উচ্চভূমি, দক্ষিণ (অথবা মধ্য) মায়া নিচুভূমি এবং উত্তর মায়া নিচুভূমি। গুয়াতেমালা এবং চাপাস এর অন্তর্ভুক্ত সমস্ত ভূখন্ড দক্ষিণ মায়া উচ্চভূমিতে উন্নত করে। দক্ষিণের নিচুভূমি খোজে পাওয়া যায় উত্তরের উচ্চভূমির কাছে এবং মেক্সিকান রাষ্ট্রে গুলোর কাম্পেছ, কুইন্টানা রোও এবং উত্তর গুয়াতেমালা, বেলিজ এবং এল সালভাডোরের একত্রীত হয়। উত্তরের নিচুভূমি ঢেকে দেয় বাকী ইয়ুকাটান উপদ্বীপ, পুউক পাহাড় গুলো সহ।

প্রাচীন যুগ

খ্রীষ্টপূর্ব ১০ম শতাব্দীর প্রথম দিক থেকে মায়া অঞ্চলে লোক বসবাস করা শুরু করেছিল। বেলিজের কিউল্লোতে মায়া পেশার সাম্প্রতিক আবিষ্কারের কার্বন পরীহ্মা হতে পাওয়া তারিখ অনুযায়ী খ্রীষ্টপূর্ব প্রায় ২৬০০ বছর আগের। এই স্তরটি পেশার স্মৃতিসৌধের কাঠামো অন্তর্ভুক্ত করেছিল। মায়ার বর্ষপঞ্জিকা তথাকথিত মেসআমেরিকানর দীর্ঘ গণনীয় বর্ষপঞ্জিকার উপর ভিত্তি করে করা হয়েছে, যাহা একটি সমতুল্যে তারিখ খ্রীষ্টপূর্ব ১১ আগষ্ট ৩১১৪ তে শুরু হয়। "গ্রহণযোগ্য ইতিহাস" অনুসারে প্রথম পরিষ্কার ভাবে বুঝা যায় “মায়া” উপনিবেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল প্রশান্তীয় উপকূলের সোকোনুসকো অঞ্চলে, ১৮০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে বলে অনুমান করা হয়। এই পর্যায়কালটি, প্রেক্লাসিক হিসেবে জানা হয়েছিল। তাকালিক আবাজ, গুয়াতেমালার প্রশান্তীয় ঢালে, একমাত্র জায়গা যেখানে ওলমেক এবং তারপর মায়া বৈশিষ্ট্য খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। প্রাচীন কালের (সি. ২৫০-৯০০ এ.ডি.), সাক্ষী ছিল দাড়িয়ে থাকা বড় পর্যায় নির্মাণ,নাগরায়ন এবং স্মৃতিস্তম্ভের উৎকীর্ণলিপির তালিকা গুলো। একটি পর্যায়কালে লহ্মণীয় বুদ্ধিগত এবং শিল্পসম্মত উন্নতিসাধন হয়েছিল বিশেষভাবে দক্ষিণের নিচুভূমি অঞ্চলে। তারা কৃষির দিক দিয়ে তীব্র বিকশিত হয়েছিল এবং শহর-কেন্দ্রীয় সাম্রাজ্যে গঠিত হয়েছিল অনেক স্বাধীন শহর-অবস্থা। এদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করে সুপরিচিত নগরী তিকাল (ইৎসা মায়া ভাষা: Tik'al তিক'আল্), Palenque, Copán এবং Calakmul কে, কিন্তু এগুলো ছাড়া আরও আছে যা অল্প পরিচিত এদের মধ্যে ডস পিলাস, Uaxactun, Altun Ha এবং Bonampak নগরী। প্রাচীন উপনিবেশ বন্টনের আগে উত্তর মায়া নিচুভূমি গুলো দক্ষিণ অঞ্চলের ভূমির মত পরিষ্কার ভাবে জানা ছিল না কিন্তু অন্তর্ভুক্ত ছিল একটি সংখ্যক কেন্দ্রীয় জনসংখ্যার, যেমন Oxkintok, Chunchucmil এবং Uxmal এর ও আগের। মায়া সভ্যতার লোকেরা অন্যান্য মেসাআমেরিকান সংস্কৃতির লোকদের সাথে অনেকে দূরত্বীয় বাণিজ্যে অংশগ্রহণ করতো, এদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল তেওতিউয়াকান (নাউয়াত: Teōtīhuacān), সাপোতেক (Zapotec) এবং অন্যান্য দল কেন্দ্রীয় ইউরোপে এবং মেক্সিকোর উপসাগরীয় কূলে ও যেত, যেমন Tainos এর ক্যারিবীয় অঞ্চলে। গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য সামগ্রী গুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল কাকাও, লবণ, সাগর শেল, এক প্রকার পাথর এবং কালো রঙের কাচের মতো আগ্নেয় শিলা।

মায়ার ধ্বংস

মায়ার ধ্বংসের কারণ নিয়ে এখনও বিতর্ক হয়ে থাকে, ৮ম এবং ৯ম শতকের দিকে মায়ার কেন্দ্রগুলো দক্ষিণের নিচু ভূমিতে হ্ময় প্রাপ্ত হয়েছিল এবং তারপর সল্প সময় মধ্যে ত্যাগ করা হয়েছিল। এই হ্ময়টির স্মৃতিসৌধের উৎকীর্ণলিপির গুলো এবং বড় পর্যায় স্থাপত্য নির্মাণের একটি বিরতি সঙ্গে জোড়া দেওয়া হয়েছিল। যদিও এই তত্ত্বর কোন সার্বজনীনভাবে গ্রহণযোগ্য "অবসাদ" ব্যাখ্যা নেই, বর্তমান তত্ত্ব সমূহকে দুই শ্রেণীবিভাগে বিভক্ত করা হয়েছে: প্রাকৃতিক এবং অপ্রাকৃতিক।

অপ্রাকৃতিক তত্ত্ব সমূহে মায়ার ধ্বংস কতিপয় নিন্ম শ্রেণীগুলোতে ভাগ করা হয়, যেমন অত্যাধিক জনসংখ্যা, বিদেশী আক্রমণ, কৃষকদের বিদ্রোহ এবং মূখ্য বাণিজ্য গমনপথের ভেঙ্গে পড়া। আর প্রাকৃতিক তত্ত্ব সমূহে অনুমান হয় পরিবেশ সংক্রান্ত বিপর্যয়, সংক্রামক রোগ এবং জলবায়ু পরিবর্তনে অন্তর্ভুক্ত করে। প্রমাণ আছে যে মায়ার জনসংখ্যা নিঃশেষ কৃষিবিষয়ক কার্যকরসহ পরিবেশের ধারন করার ক্ষমতা অতিক্রম করেছিল এবং megafauna এর শিকার হয়েছিল। সাম্প্রতিক কালে কিছু গবেষকদের মতবাদ ছিল যে ২০০ বছরের অনাবৃষ্টির মাঝে পড়াতে মায়া সভ্যতার ভেঙ্গে গিয়েছিল। অনাবৃষ্টি তত্ত্ব উদ্ভূত হয়েছিল ভৌত বিজ্ঞানী্র বিশ্লেষনের মধ্যে থেকে যারা "লেক বেডস" গুলো পড়ছিল, প্রাচীন পরাগায়ণ এবং অন্যান্য তথ্য, প্রত্নতাত্ত্বিক সম্প্রদায় থেকে না।

প্রাচীন মধ্যে যুগ

পোষ্টক্লাসিকের সফলতার সময় কালে (১০ম থেকে ১৬ শতকের আগে), উত্তরীয় কেন্দ্রগুলোতে উন্নতিসাধন এবং বাহ্যিক প্রভাব দ্বারা এর বৈশিষ্ট্যরে বৃদ্ধির একটি বিভেদ হয়েছিল। অনেক শতাব্দীর ধরে মায়া নগরীর উত্তরের নিচুভূমির "Yucatán" তে উন্নতি লাভে চালিয়ে গিয়েছিল; এই যুগে গুরুত্বপূর্ণ স্থান গুলো ছিল চিচেন ইৎসা (Chichen Itza), উশমাল (Uxmal), Edzná এবং Coba। চিচেন ইৎজা এবং উশমাল এর রাজবংশের শাষকদের অবনতি লাভের পরে, ১৪৫০ তে একটি বিদ্রোহর আগে পর্যন্ত মায়াপেন বা আধুনিক মায়ার সমস্ত অঞ্চল ইউকাতান শাসন করেছিল। (এই শহরটির নামের উৎস "মায়া" শব্দ থেকে আসতে পারে, যেটির অর্থ আরও সীমাবদ্ধ ছিল ভৌগোলিকভাবে ইউকাটেক তে, স্পেনিসদের ঔপনিবেশিক এবং বর্তমান ১৯তম এবং ২০তম শতকে এর অর্থ কেবল বৃদ্ধি করেছে)। অঞ্চলটি তারপর প্রতিযোগিতায় করায় শহরের অবস্থা অবনতি হয়েছিল যে পর্যন্ত না স্পেনিসরা ইউকাতান জয় করে ছিল।

ঔপনিবেশিক সময়

সল্প সময় পরে স্পেনিসদের প্রথম অঞ্চলিক অভিযান গুলোতে মায়া জয় লাভের বিভিন্ন প্রচেষ্টা আরম্ভ করেছিল। মায়া রাজ্যের ইউকাতান উপদ্বীপের এবং গুয়াতেমালা উচ্চভূমিতে একটি ঔপনিবেশিক স্থাপনা প্রতিষ্ঠিত করেছিল। এই সাময়িক অভিযানকে কখনও কখনও বলা হতো "ইউকাতানে স্পেনিসদের জয় লাভ," হতে পারে এটা একটি সুদীর্ঘ প্রমাণ এবং প্রথম থেকেই জয়কারীদের জন্য বিপজ্জনক অনুশীলন। স্পেনিসদের আসার পূর্বে সমস্ত মায়া জমির ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত করতে প্রায় ১৭০ বছর লেগেছিল। Tayasal এর Itza এবং Zacpeten এর Ko'woj, শেষ মায়া শহর গুলোর শাসন ব্যবস্তা অবিরামভাবে দখল করা হয়েছিল এবং ১৭তম শতাব্দীর শেষ পর্যন্ত স্পেনিসদের থেকে স্বাধীন ছিল। পরিশেষে তারা ১৬৯৭ সালে স্পেনিসদের কাছে পরাজিত হয়। সূত্রঃ উইকিপিডিয়া।

 

 

 

>>অ্যাকিলিস

>>২০১৪ সালে চালু হচ্ছে গ্যালিলিও

>>"সেটি" প্রকল্পের ৫০ বছর

>>প্রাচীন মানবের পূর্ণাঙ্গ জিন বিশ্লেষণ
>>ধ্বসে যেতে পারে পশ্চিম এন্টার্কটিকা

>>ঝড়ের সংখ্যা কমে বাড়তে পারে গতি

>>শিরাকাওয়া-গো এবং গোকাইয়ামা

>>পৃথিবীর গভীরতম স্থানঃ চ্যালেঞ্জার ডিপ

>>সুপার ভলকেন

>>চীনে হাজার হাজার ডাইনোসরের পায়ের চিহ্ন

>>শিকোকুর তাকামাত্সুঃ প্রকৃতি, ইতিহাস আর ঐতিহ্যের সংমিশ্রন

>>প্যারিস ট্রেন ক্র্যাশঃ কি ছিল তার পেছন

>>তিমি কাহিনী

>>মাউন্ট সেন্ট হেলেনের অগ্নুৎপাত

>>ছাদ উড়ে যাওয়া বিমানের কাহিন

>>টর্নেড

>>জলবায়ু পরিবর্তনে গাছপালা ও প্রাণীকূল সর্বোচ্চ হুমকির মুখে

>>ভূপাল বিপর্যয়

>>মাছেরা যেদিন ডাঙায় উঠল

>>মহাবিশ্বে অজানা গরম বস্তু!

>>এয়ার ক্র্যাশ ইনভেস্টিগেশনঃ মাঝ আকাশে দুই বিমানের সংঘর্ঘ

>>তেনেরিফেঃ এভিয়েশন ইতিহাসের সবচাইতে বড় দুর্ঘটনা

>>সুপার কন্টিনেন্টের ভাঙাগড়া

>>কিং কোবরা

>>লেক চুজেনজিঃ মনমাতানো একটি লেক

>>রোমানিয়ায় কমিউনিস্ট বিরোধী বিপ্লবের ২০ বছর

>>ঐতিহাসিক নগরী কামাকুরা

>>গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের রহস্য

>>একাত্তুরের টুকরো ছবি
>>একাত্তুরের গনহত্যা
>>চ্যানেল স্ক্যাবল্যান্ডস

>>ফ্রিক ওয়েভঃ সমুদ্রের দৈত্যাকার ঢেউ
>>চীন জাপান যুদ্ধ
>>সাপ্পোরোর ইয়ূকি মাতসুরি

>>যশোর রোড
>>ইয়াইয়ামাঃ অবকাশ যাপনের অদ্বিতীয় স্থান
>>ইয়াকুশিমাঃ জাপানের প্রাচীনতম বৃক্ষরাজির দ্বীপ

>>মাতসুশিমাঃ জাপানের অন্যতন দর্শনীয় স্থান
>>ওসাকা ক্যাসেল
>>বিশ্বের ব্যাস্ততম ষ্টেশন শিঞ্জুক

 

 

[প্রথমপাতা]