[প্রথমপাতা]

 

 

 

 

সুপার ভলকেনো

 

 

কমিউনিটি রিপোর্ট ।।


সাধারন আগ্নেয়গিরির ধরন ও রূপের সাথে আমাদের পরিচয় আছে। মাঝে মধ্যেই পৃথিবীর এখানে ওখানে আগ্নেয়গিরিরা অগ্নিশর্মা হয়ে ওঠে। তখন তারা ধোঁয়া ও ছাইয়ের ঢল বা পাইরোক্লাস্টিক ফ্লো নামায়, কোনটির সাথে আবার লাভাও থাকে। এ সবই খুব পরিচিত দৃশ্য। এমনকি মাউন্ট সেন্ট হেলেনের শতাব্দীর অন্যতম ভয়ঙ্কর উদ্গীরনও তা খুব অপরিচিত নয়।

যেটা আসলে বেশ অপরিচিত তা হলো সুপার ভলকেনো। সাধারন আগ্নেয়গিরি বা ভলকেনোর চাইতে অনেক অনেকগুন শক্তিশালী ও ভয়ঙ্কর এই সুপার ভলকেনো। এর উদ্গীরন অত ঘন ঘন হয়না। কয়েক হাজার বছরে একবার কিম্বা আরো কম।

গানিতিক হিসেবে তাদেরকেই সুপার ভলকেনো বলা হয় যারা ১ হাজার কিউবিক কিলোমিটারের অধিক উদ্গীরন করতে সক্ষম। যা বেশিরভাগ ঐতিহাসিক উদ্গীরনের চাইতেই হাজারগুন বেশি শক্তিশালী। আসলে একটি সুপার ভলকেনো অনেকগুলো সাধারন আগ্নেয়গিরির সমান ক্ষমতাধর।

File:Mount Mazama eruption timeline.PNGজানা কয়েকটি সুপার ভলকেনো হলো, আমেরিকার লং ভ্যালিস্থ ইয়েলোষ্টোন ও এর ক্যালডেরা, ইন্দোনেশিয়ার নর্থ সুমাত্রার লেক টোবা, নিউজিল্যান্ডের নর্থ আইল্যান্ডের টপো ও জাপানের কিউসুর কাগোশিমা প্রিফেকচারে আইরা ক্যালডেরা।

ভি৮ মাত্রা হলো সবচাইতে ব্যাপক অগ্নুৎপাত। এ সব অগ্নুৎপাতের সময় অনেক ক্ষেত্রেই ক্যালডেরা ফরমেশন ঘটে। ক্যালডেরা ফরমেশন হলো যখন চারপাশে অনেকগুলো আগ্নেয়গিরি হতে অগ্নুৎপাত ঘটে তখন মাঝের যে অংশ তা নীচে বসে যায় বা নীচে নেমে যায়।

সুপার ভলকেনোর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য অগ্নুৎপাত হচ্ছেঃ

-লেক টপো। নিউজিল্যান্ডে অবস্থিত। আনুমানিক ২৬,৫০০ বছর আগে এর উদ্গীরন হয়েছিল।
-লেক টোবা, সুমাত্রা, ইন্দোনেশিয়াতে অবস্থিত। ৭৪,০০০ বছর আগে এর উদ্গীরন হয়েছিল।
-হোয়াকামারু, নিউজিল্যান্ডের নর্থ আইল্যান্ডে অবস্থিত। এর উদ্গীরন ২ লক্ষ ৫৪ হাজার বছর আগে হয়েছিল।
-ইয়েলোষ্টোন হটস্পট, ওয়েওমিং, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৬ লক্ষ ৪০ হাজার বছর আগে এর উদ্গীরন হয়েছিল।

এগুলোর সবই ভি৮ মাত্রার।

এগুলোর ভেতরে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রায় অবস্থিত লেক টোবার কথা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। লেক টোবা মহাকাশ থেকেও দেখা যায়।

আনুমানিক ৭৫ হাজার বছর আগে এর ভয়ঙ্কর অগ্নুৎপাত পৃথিবীতে হাজার বছরের আইস এজ বয়ে নিয়ে এসেছিল। হাজার বছর ধরে চলা অগ্নুৎপাতের প্রভাবে পৃথিবীর ৬০ থেকে ৭৫ ভাগ মানুষ মারা যায়।

দিনের পর দিন ধরে চলা লেক টোবার অগ্নুৎপাত থেকে বায়ূমন্ডলে নিক্ষিপ্ত ছাই ধীরে ধীরে পৃথিবীর আকাশকে ছেয়ে ফেলে। আগ্নেয়গিরির ছাই বাতাসে প্রবাহিত হয়ে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে। সূর্য হারিয়ে যায় পৃথিবীর আকাশ থেকে। পৃথিবী থেকে গ্রীষ্মকাল হারিয়ে যায় অনেক বছরের জন্য।

ভয়ঙ্ক আরেকটি অগ্নুৎপাত হয়েছিল প্রায় সাড়ে ছয় লক্ষ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েলোষ্টোনে। এটাকে বলা হয় "এন্ড ডে"। এর উদ্গীরন এতটাই ব্যাপক ছিল যে সমগ্র আমেরিকা অন্ততঃ ১ সেন্টিমিটার পুরু ছাইচাপা পড়েছিল। এর অগ্নুৎপাতের ফলে সারা পৃথিবীতে ব্যাপক প্রানহানি ঘটে।

সাধারন আগ্নেয়গিরির প্রতিক্রিয়া হয় একটি অঞ্চলে আর এধরনের সুপার ভলকেনোর প্রতিক্রিয়া সারা পৃথিবী জুড়েই অনুভূত হয়।

সুপার ভলকেনো গুলো শান্ত হয়ে থেমে গেছে বিষয়টি মোটেই এমন নয়। বরং পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে মানুষ আগুনের উপরেই তাদের গড়ে তুলেছে তাদের আবাস। ইয়েলোষ্টোন বা লেক টোবা যদি আবার তার অগ্নুৎপাত ঘটায় তার প্রতিক্রিয়া এ যুগে প্রায় অচিন্তনীয়। আমরা যদিও নিজেদেরকে খুব নিরাপদে আছি এমন ভাবতেই পছন্দ করি কিন্তু ২০০৪ এর সুনামির মত কোন্ অকল্পনীয় বিপদ মাটির নীচে বাড়ছে কে যানে।
 

 

 

>>ম্যামথ বিলুপ্তিতে মানুষের হাত নেই

>>মেগা ফ্লাডঃ চ্যানেল্ড স্ক্যাবল্যান্ডসের ভয়ঙ্কর বন্যা

>>তেনেরিফেঃ এভিয়েশন ইতিহাসের সবচাইতে বড় দুর্ঘটনা

>>রহস্য খুলছে বরফ মানব

>>আনবিক বোমা

>>বন্যপ্রাণী ঠেকাতে মরিচের গুঁড়ো

>>শেষ হলো প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে বানানো জাহাজের অভিযান

>>গাছ চিন্তা করে, মনেও রাখে

>>বৃহত্তম তারার সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা

>>প্যারিস ট্রেন ক্র্যাশঃ কি ছিল তার পেছনে

>>ডিম নয়, বিজ্ঞান বলছে, 'সম্ভবত মুরগিই!’

>>সমুদ্রতলে মাছরা পরস্পরের সঙ্গে কথা বলে

>>সবচাইতে শীতল বাদামী বামনের সন্ধান লাভ

>>রাশিয়ান কার্গো শিপ ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে থামতে ব্যর্থ হল

>>ফ্রিক ওয়েভঃ সমুদ্রের দৈত্যাকার ঢেউ

>>২০৫০ সাল নাগাদ এশিয়ার বেশিরভাগ নদীর পানিপ্রবাহ কমে যাবে

>>সিঙ্গাপুরে প্রত্যেকের জন্য ইলেকট্রনিক মেইলবক্স

>>মিশরে ৩,৬০০ বছর আগের একটি শহরের সন্ধান লাভ 

>>আগুনের সঙ্গে বসবাস

>>বিজ্ঞানের অসহায়ত্ব ভুপাল দুর্ঘটনা

>>কুমিরের সাগর পাড়ি দেবার রহস্য 

>>ছাইমেঘ থেকে বিমান বাঁচানোর নতুন উপায়

>>ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিস
>>নানা মারাত্মক রোগের কারণ প্রক্রিয়াজাত মাংস

>>মাদাগাস্কারের ছোট্ট ডুবুরি পাখি হারিয়ে গেল

>>হাবলের চোখে, গ্রহ খাদক নক্ষত্র

>>বিমান বিধ্বস্তের কাহিনী

>>ইন্দোনেশিয়ার জঙ্গলে নতুন প্রজাতির জীব আবিষ্কার

>>ছাইমেঘের জন্য বিজ্ঞানীরা প্রস্তুত

>>জোয়ান অব আর্ক
>>এশিয়ায় হুমকির মুখে পরিযায়ী পাখির দল

>>নেয়ানডার্থালরা আধুনিক মানুষের পূর্বপুরুষ

>>ডেঙ্গু প্রতিরোধে জিনগত কারণ অনুসন্ধান

>>মেক্সিকো উপসাগরে ‘এক্সোন ভালডেজ’ ঘটতে আর কতো দেরী?

>>বোর্নিওতে নতুন প্রানের সন্ধান

>>প্রথমবারের মত পুরো মুখমন্ডলের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংযোজন

>>আইসল্যান্ডে আরো বড় অগ্নুৎপাতের সম্ভাবনা বাড়ছে

>>আইসল্যান্ডেই এই, ইয়েলোস্টোন ফাটলে কি হবে?

>>আগ্নেয়গিরির ছাইয়ে প্রভাবিত বিমান, আবহাওয়া, সূর্যাস্ত

>>বাংলা বছরের সূচনা

>>বিশ লাখ বছরের পুরনো কঙ্কাল থেকে বিবর্তন ধারার সন্ধান

>>শুকিয়ে যাচ্ছে আরল সাগর

>>জেব্রাফিশঃ হৃদযন্ত্রের টিস্যু নিজেই সারিয়ে তোলে
>>হাতি -ফোর হুইল ড্রাইভ

>>গ্রহাণুর ওপর নজর রাখবে নতুন ‘কমপ্যাক্ট’ স্যাটেলাইট

>>প্রবালেরা মারা যাচ্ছেঃ বিভিন্ন দেশে নেমে আসতে পারে বিপর্যয়

>>মৌমাছির হুল ফোটানোয় অসুখ সারে!!

>>মায়া সভ্যতা

>>অ্যাকিলিস

>>২০১৪ সালে চালু হচ্ছে গ্যালিলিও

>>"সেটি" প্রকল্পের ৫০ বছর

>>প্রাচীন মানবের পূর্ণাঙ্গ জিন বিশ্লেষণ
>>ধ্বসে যেতে পারে পশ্চিম এন্টার্কটিকা

>>ঝড়ের সংখ্যা কমে বাড়তে পারে গতি

>>শিরাকাওয়া-গো এবং গোকাইয়ামা

>>পৃথিবীর গভীরতম স্থানঃ চ্যালেঞ্জার ডিপ

>>চীনে হাজার হাজার ডাইনোসরের পায়ের চিহ্ন

>>শিকোকুর তাকামাত্সুঃ প্রকৃতি, ইতিহাস আর ঐতিহ্যের সংমিশ্রন

>>তিমি কাহিনী

>>মাউন্ট সেন্ট হেলেনের অগ্নুৎপাত

>>ছাদ উড়ে যাওয়া বিমানের কাহিন

>>টর্নেড

>>জলবায়ু পরিবর্তনে গাছপালা ও প্রাণীকূল সর্বোচ্চ হুমকির মুখে

>>ভূপাল বিপর্যয়

>>মাছেরা যেদিন ডাঙায় উঠল

>>মহাবিশ্বে অজানা গরম বস্তু!

>>এয়ার ক্র্যাশ ইনভেস্টিগেশনঃ মাঝ আকাশে দুই বিমানের সংঘর্ঘ

>>সুপার কন্টিনেন্টের ভাঙাগড়া

>>কিং কোবরা

>>লেক চুজেনজিঃ মনমাতানো একটি লেক

>>রোমানিয়ায় কমিউনিস্ট বিরোধী বিপ্লবের ২০ বছর

>>ঐতিহাসিক নগরী কামাকুরা

>>গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের রহস্য

>>একাত্তুরের টুকরো ছবি
>>একাত্তুরের গনহত্যা
>>চীন জাপান যুদ্ধ
>>সাপ্পোরোর ইয়ূকি মাতসুরি

>>যশোর রোড
>>ইয়াইয়ামাঃ অবকাশ যাপনের অদ্বিতীয় স্থান
>>ইয়াকুশিমাঃ জাপানের প্রাচীনতম বৃক্ষরাজির দ্বীপ

>>মাতসুশিমাঃ জাপানের অন্যতন দর্শনীয় স্থান
>>ওসাকা ক্যাসেল
>>বিশ্বের ব্যাস্ততম ষ্টেশন শিঞ্জুক

 

 

 

[প্রথমপাতা]