বোর্নিওতে নতুন প্রানের সন্ধান
কমিউনিটি
ডেস্ক।।
ওয়াইল্ড লাইফ বিজ্ঞানীরা বোর্নিওতে খুঁজে পেয়েছেন নতুন নতুন বেশ কিছু
প্রানের সন্ধান। এদের সংখ্যা শতাধিক হবে। নতুন প্রজাতির প্রানীগুলোর মধ্যে
রয়েছে সাপ, ব্যাঙ, পোকা ইত্যাদি।
বিজ্ঞানীরা এমন একটি ব্যাঙের সন্ধান পেয়েছেন যারা ফুসফুসের বদলে ত্বকের
মাধ্যমে শ্বাস-প্রশ্বাস করে থাকে। ব্যাঙটির নাম বারবোউরুলা
কালিমানটানেন্সিস। চ্যাপ্টা মাথার ব্যাঙটি শ্বাস সংবেদনশীল ত্বক
শ্বাস-প্রশ্বাসের কাজটিতে সাহায্য করে। এই ব্যাঙটির সন্ধান মিলেছে মালয়শিয়া,
ইন্দোনেশিয়া ও ব্রুনেইয়ের সীমান্তবর্তী ঘন রেইন ফরেস্ট বা ক্রান্তীয় জঙ্গলে।
আরেকটি নতুন প্রানী হলো লম্বা লেজের শামুক। যার নাম ইবিকাস রাচেলে। এ
শামুকের কোন খোলোস নেই। এরা পরষ্পর মিলনের সময় সংগীর দেহে একটি সুচালো অংগ
দিয়ে ক্যালসিয়াম কার্বোনেটের তৈরি "লাভ ডার্টস" হরমোন প্রয়োগ করে থাকে। এতে
করে নাকি তাদের বংশ বিস্তারে বিশেষ সুবিধা পাওয়া যায়। এই শামুকটিকেও দেখা
গেছে মালয়শিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও ব্রুনেইয়ের সীমান্তের ঘন জঙ্গলে।
আগুনের মত গায়ের রং এমন একটি সাপ হলো ডেনড্রেলাফিস কোপস্টেইনি। এর ঘাড়ের
রংটি হলো উজ্জ্বল কমলা। ফলে মনে হয় যেন আগুন জ্বলছে। ঘাড়টি দেখে মনে হয় যেন
তা ঢুকে গেছে তীব্র নীল পিঠ ও বাদামি-সবুজ পেটের মধ্যে। হুমকির মুখে পড়লে
সাপটি তার গায়ের উজ্জ্বল কমলা রংটি বের করে নিয়ে আসে। তখন তাকে দেখে মনে হবে
আগুন জ্বলছে সেখানে।
একই অঞ্চলে পাওয়া গেছে "ফোবায়েটিকাস চানি" -পৃথিবীর সবচাইতে লম্বা পোকা।
আঠার মত লেগে থাকা এই পোকাটির দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৫৬.৭ সেন্টিমিটার। এর মধ্যে
শুরু শরীরে অংশটুকুর দৈর্ঘ্য হছে ৩৫.৭ সেন্টিমিটার। এই পোকাটির মাত্র তিনটি
প্রজাতির সন্ধান পাওয়া গেছে এখনো পর্যন্ত। বোর্নিওর কেন্দ্রস্থলে গুনাং
কিনাবালু পার্কে এই পোকাটির সন্ধান মিলেছে।
ডব্লিউডব্লিউএফ এর প্রধান এডাম টমাসেক বল্লেন "আমরা গত তিনমাসেই ১২৩টি নতুন
প্রজাতির সন্ধান পেয়েছি। আর গত ১৫ বছরে সন্ধান মিলেছে ৬০০টির মত নতুন
প্রানীর।"
বোর্নিওর এ স্থানটিতে ১০ রকমের স্তন্যপায়ী, ৩০ রকমের পাখি, ১৫০ রকমের
সরীসৃপ ও উভচর প্রানী আর ১০ হাজার গাছগাছালির বাস। এগুলো পৃথিবীর অন্য
কোথাও পাওয়া যায়না।
এ ছাড়াও সুমাত্রাতে রয়েছে বিলুপ্ত প্রায় সুমাত্রীয় গন্ডার। সাকুল্যে মুক্ত
অবস্থায় আর মাত্র ২০০টি বেঁচে আছে। ১৮০ রয়েছে ইন্দোনেশিয়া আর ২০টি
মালয়শিয়ায়। বোর্নিওতে আছে মাত্র ৩০ গন্ডার।
পরিবেশবাদীরা জানিয়েছেন ৫০ থেকে ৬০ হাজার লালচুলের ওরাংওটাংকে বাঁচানোর
জন্য আমাদের হাতে আর মাত্র ২০ বছর রয়েছে।
নতুন নতুন প্রানীর সন্ধান পাওয়া গেলেও পুরোনো প্রানীরাও যেন টিকে থাকে সেই
বিষয়টি নিশ্চিত করা উচিত। নয়ত অস্ট্রেলিয়া ও নিউ গিনির তাসমেনিয়ান বাঘের
মতই অতি পরিচিত প্রানীগুলো ঠঁই করে নেবে কেবল বই এর পাতায়।
>>প্রথমবারের মত পুরো মুখমন্ডলের
অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংযোজন
>>আইসল্যান্ডে আরো বড় অগ্নুৎপাতের সম্ভাবনা
বাড়ছে
>>আইসল্যান্ডেই এই, ইয়েলোস্টোন ফাটলে কি
হবে?
>>আগ্নেয়গিরির ছাইয়ে প্রভাবিত বিমান,
আবহাওয়া, সূর্যাস্ত
>>বাংলা বছরের সূচনা
>>বিশ লাখ বছরের পুরনো কঙ্কাল থেকে
বিবর্তন ধারার সন্ধান
>>শুকিয়ে যাচ্ছে আরল সাগর
>>জেব্রাফিশঃ হৃদযন্ত্রের টিস্যু নিজেই
সারিয়ে তোলে
>>হাতি -ফোর হুইল ড্রাইভ
>>গ্রহাণুর ওপর নজর রাখবে নতুন
‘কমপ্যাক্ট’ স্যাটেলাইট
>>প্রবালেরা মারা যাচ্ছেঃ
বিভিন্ন দেশে নেমে আসতে পারে বিপর্যয়
>>মৌমাছির হুল ফোটানোয় অসুখ সারে!!
>>মায়া সভ্যতা
>>অ্যাকিলিস
>>২০১৪ সালে চালু হচ্ছে গ্যালিলিও
>>"সেটি" প্রকল্পের ৫০ বছর
>>প্রাচীন মানবের পূর্ণাঙ্গ জিন বিশ্লেষণ
>>ধ্বসে যেতে পারে পশ্চিম এন্টার্কটিকা
>>ঝড়ের সংখ্যা কমে বাড়তে পারে গতি
>>শিরাকাওয়া-গো এবং গোকাইয়ামা
>>পৃথিবীর গভীরতম স্থানঃ চ্যালেঞ্জার ডিপ
>>সুপার ভলকেনো
>>চীনে হাজার হাজার ডাইনোসরের পায়ের চিহ্ন
>>শিকোকুর তাকামাত্সুঃ প্রকৃতি,
ইতিহাস আর ঐতিহ্যের সংমিশ্রন
>>প্যারিস ট্রেন ক্র্যাশঃ কি ছিল তার
পেছন
>>তিমি কাহিনী
>>মাউন্ট সেন্ট হেলেনের অগ্নুৎপাত
>>ছাদ উড়ে যাওয়া বিমানের কাহিনী
>>টর্নেডো
>>জলবায়ু পরিবর্তনে গাছপালা ও প্রাণীকূল
সর্বোচ্চ হুমকির মুখে
>>ভূপাল বিপর্যয়
>>মাছেরা যেদিন ডাঙায় উঠল
>>মহাবিশ্বে অজানা গরম বস্তু!
>>এয়ার ক্র্যাশ ইনভেস্টিগেশনঃ
মাঝ আকাশে দুই বিমানের সংঘর্ঘ
>>তেনেরিফেঃ এভিয়েশন ইতিহাসের
সবচাইতে বড় দুর্ঘটনা
>>সুপার কন্টিনেন্টের ভাঙাগড়া
>>কিং
কোবরা
>>লেক চুজেনজিঃ মনমাতানো একটি লেক
>>রোমানিয়ায়
কমিউনিস্ট বিরোধী বিপ্লবের ২০ বছর
>>ঐতিহাসিক
নগরী কামাকুরা
>>গ্র্যান্ড
ক্যানিয়নের রহস্য
>>একাত্তুরের টুকরো ছবি
>>একাত্তুরের গনহত্যা
>>চ্যানেল স্ক্যাবল্যান্ডস
>>ফ্রিক
ওয়েভঃ সমুদ্রের দৈত্যাকার ঢেউ
>>চীন জাপান যুদ্ধ
>>সাপ্পোরোর ইয়ূকি মাতসুরি
>>যশোর রোড
>>ইয়াইয়ামাঃ অবকাশ যাপনের অদ্বিতীয় স্থান
>>ইয়াকুশিমাঃ জাপানের প্রাচীনতম বৃক্ষরাজির দ্বীপ
>>মাতসুশিমাঃ জাপানের অন্যতন দর্শনীয় স্থান
>>ওসাকা ক্যাসেল
>>বিশ্বের ব্যাস্ততম ষ্টেশন শিঞ্জুকু
[প্রথমপাতা] |