কুমিরের সাগর পাড়ি দেবার রহস্য
কমিউনিটি
রিপোর্ট ।।
বিজ্ঞানীদের মনে অনেকদিন ধরেই একটা চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছিল কেমন করে লবনাক্ত
পানির কুমিরগুলো দক্ষিন প্রশান্তমহাসগরীয় নানান দ্বীপগুলোতে পাড়ি দিল।
তাদের মনে প্রশ্নের কারন হলো, পৃথিবীর বৃহত্তম সরিসৃপটি সাঁতারে মোটেই তেমন
দক্ষ নয়।
তবে গবেষকরা সম্প্রতি বিষয়টি ধরতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন। তাদের মতে সমুদ্রে
সার্ফাররা যেমন ঢেউকে ধাওয়া করে তার উপর চেপে বসেন, কুমিরগুলোও তাই। তারা
সমুদ্রের ঢেউয়ের উপর চড়ে বসতে সক্ষম আর সে ভাবেই ভেসে ভেসে তারা সমুদ্র পাড়ি
দেয়।
লবনাক্ত পানির কুমির (Crocodylus porosus)
হলে বাস্তবেই ছোটখাট দৈত্য। তারা লম্বায় ২৩ ফিট বা ৭ মিটার পর্যন্ত
হতে পারে, তাদের ওজন ২,২০০ পাউন্ড বা ১০০০ কিলোগ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। এই
শক্ত খোলসের দৈত্যগুলো হাঙর পেলে তা বেশ গোগ্রাসেই গিলে থাকে, এমনকি যেগুলো
তাদের খাদ্য নয় সেগুলোকেও চেখে দেখার বদঅভ্যেস তাদের রয়েছে। তারা সেজন্য
প্রায়ই নৌকো কামড়ে থাকে, তাদের এক কামড়ের জোড় প্রায় ২ টন আর তার সংগে মুখে
লেগে থাকা ধারাল দাঁত দিয়ে অনায়াসে নৌকোর আলুমিনিয়ামের শরীর ছিদ্র করতে
মোটেই বেগ পেতে হয়না। তাদের হয়ত ধারনা নৌকোগুলো শত্রু অথবা খাদ্যবস্তু -যেটাই
হোক তার ভেতর থাকা মানুষগুলোর জন্য তা কিরকম আতঙ্ক সৃষ্টিকারী তা তো বোঝাই
যাচ্ছে।
এই শিকারী কুমিরগুলো উষ্ণাঞ্চলীয় এলাকা পূর্ব ভারত থেকে শুরু করে দক্ষিন ও
দক্ষিন-পূর্ব এশিয়া, উত্তর অস্ট্রেলিয়াসহ অসংখ্য দ্বীপে তাদের আনাগোনা রয়েছে।
যদিও লবনাক্ত পানির কুমিরগুলো বেশিরভাগ সময়েই সমুদ্রের পানিতেই কাটাচ্ছে -তবু
তাদেরকে সামুদ্রিক কচ্ছপের মত সামুদ্রিক সরীসৃপের তালিকায় ঠাঁই দেয়া হয়না।
এর কারন হলো, লবনাক্ত পানির কুমির খাদ্য ও পানির চাহিদা মেটানোর জন্য
স্থলভাগের উপরেই নির্ভর করে থাকে।
অনেকেই দাবি করে থাকেন মাঝ সাগরে কুমির দেখতে পাওয়ার কথা -তবে এ বিষয়টি এখনো
নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এখন সোনার ট্রান্সমিটার ও স্যাটেলাইট ট্র্যাকিংয়ের
মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন সমুদ্রশ্রোতে ভর করে কুমিরগুলো বহুদুর পথ
পাড়ি জমিয়ে থাকে, সমুদ্রের এক দ্বীপ হতে অন্য দ্বীপে তারা ভেসে চলে।
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক হামিশ ক্যাম্পবেল বললেন,
"যেহেতু কুমিররা খুব দক্ষ সাতারু নয় তাই তাদের পক্ষে বিশাল সাগর সাঁতর পাড়ি
দেয়াটা একটু কঠিনই।"
"তবে তারা লবনাক্ত পানিতে দীর্ঘদিন না খেয়ে, না পান করে দিব্যি কাটিয়ে দিতে
পারে, তাই এক্ষেত্রে শ্রোতে ভেসে ভেসে দীর্ঘ সাগর পাড়ি দেয়ার তত্বটাকেই বেশি
খাপ খাচ্ছে বলে মনে হয়।"
>>ছাইমেঘ থেকে বিমান বাঁচানোর নতুন উপায়
>>ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিস
>>নানা মারাত্মক রোগের কারণ প্রক্রিয়াজাত
মাংস
>>মাদাগাস্কারের ছোট্ট ডুবুরি পাখি হারিয়ে
গেল
>>হাবলের চোখে, গ্রহ খাদক
নক্ষত্র
>>বিমান বিধ্বস্তের কাহিনী
>>ইন্দোনেশিয়ার জঙ্গলে নতুন প্রজাতির জীব
আবিষ্কার
>>ছাইমেঘের জন্য বিজ্ঞানীরা প্রস্তুত
>>জোয়ান অব আর্ক
>>এশিয়ায় হুমকির মুখে পরিযায়ী পাখির দল
>>নেয়ানডার্থালরা আধুনিক মানুষের
পূর্বপুরুষ
>>ডেঙ্গু প্রতিরোধে জিনগত কারণ অনুসন্ধান
>>মেক্সিকো উপসাগরে ‘এক্সোন ভালডেজ’ ঘটতে
আর কতো দেরী?
>>বোর্নিওতে নতুন প্রানের সন্ধান
>>প্রথমবারের মত পুরো মুখমন্ডলের
অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংযোজন
>>আইসল্যান্ডে আরো বড় অগ্নুৎপাতের সম্ভাবনা
বাড়ছে
>>আইসল্যান্ডেই এই, ইয়েলোস্টোন ফাটলে কি
হবে?
>>আগ্নেয়গিরির ছাইয়ে প্রভাবিত বিমান,
আবহাওয়া, সূর্যাস্ত
>>বাংলা বছরের সূচনা
>>বিশ লাখ বছরের পুরনো কঙ্কাল থেকে
বিবর্তন ধারার সন্ধান
>>শুকিয়ে যাচ্ছে আরল সাগর
>>জেব্রাফিশঃ হৃদযন্ত্রের টিস্যু নিজেই
সারিয়ে তোলে
>>হাতি -ফোর হুইল ড্রাইভ
>>গ্রহাণুর ওপর নজর রাখবে নতুন
‘কমপ্যাক্ট’ স্যাটেলাইট
>>প্রবালেরা মারা যাচ্ছেঃ
বিভিন্ন দেশে নেমে আসতে পারে বিপর্যয়
>>মৌমাছির হুল ফোটানোয় অসুখ সারে!!
>>মায়া সভ্যতা
>>অ্যাকিলিস
>>২০১৪ সালে চালু হচ্ছে গ্যালিলিও
>>"সেটি" প্রকল্পের ৫০ বছর
>>প্রাচীন মানবের পূর্ণাঙ্গ জিন বিশ্লেষণ
>>ধ্বসে যেতে পারে পশ্চিম এন্টার্কটিকা
>>ঝড়ের সংখ্যা কমে বাড়তে পারে গতি
>>শিরাকাওয়া-গো এবং গোকাইয়ামা
>>পৃথিবীর গভীরতম স্থানঃ চ্যালেঞ্জার ডিপ
>>সুপার ভলকেনো
>>চীনে হাজার হাজার ডাইনোসরের পায়ের চিহ্ন
>>শিকোকুর তাকামাত্সুঃ প্রকৃতি,
ইতিহাস আর ঐতিহ্যের সংমিশ্রন
>>প্যারিস ট্রেন ক্র্যাশঃ কি ছিল তার
পেছন
>>তিমি কাহিনী
>>মাউন্ট সেন্ট হেলেনের অগ্নুৎপাত
>>ছাদ উড়ে যাওয়া বিমানের কাহিনী
>>টর্নেডো
>>জলবায়ু পরিবর্তনে গাছপালা ও প্রাণীকূল
সর্বোচ্চ হুমকির মুখে
>>ভূপাল বিপর্যয়
>>মাছেরা যেদিন ডাঙায় উঠল
>>মহাবিশ্বে অজানা গরম বস্তু!
>>এয়ার ক্র্যাশ ইনভেস্টিগেশনঃ
মাঝ আকাশে দুই বিমানের সংঘর্ঘ
>>তেনেরিফেঃ এভিয়েশন ইতিহাসের
সবচাইতে বড় দুর্ঘটনা
>>সুপার কন্টিনেন্টের ভাঙাগড়া
>>কিং
কোবরা
>>লেক চুজেনজিঃ মনমাতানো একটি লেক
>>রোমানিয়ায়
কমিউনিস্ট বিরোধী বিপ্লবের ২০ বছর
>>ঐতিহাসিক
নগরী কামাকুরা
>>গ্র্যান্ড
ক্যানিয়নের রহস্য
>>একাত্তুরের টুকরো ছবি
>>একাত্তুরের গনহত্যা
>>চ্যানেল স্ক্যাবল্যান্ডস
>>ফ্রিক
ওয়েভঃ সমুদ্রের দৈত্যাকার ঢেউ
>>চীন জাপান যুদ্ধ
>>সাপ্পোরোর ইয়ূকি মাতসুরি
>>যশোর রোড
>>ইয়াইয়ামাঃ অবকাশ যাপনের অদ্বিতীয় স্থান
>>ইয়াকুশিমাঃ জাপানের প্রাচীনতম বৃক্ষরাজির দ্বীপ
>>মাতসুশিমাঃ জাপানের অন্যতন দর্শনীয় স্থান
>>ওসাকা ক্যাসেল
>>বিশ্বের ব্যাস্ততম ষ্টেশন শিঞ্জুকু
[প্রথমপাতা] |