[প্রথমপাতা]

 

 

 

 

শেষ হলো প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে বানানো জাহাজের অভিযান

 

প্লাস্টিক বোতলের জাহাজ ‘প্লাসটিকি’

 

কমিউনিটি রিপোর্ট ।।

সমুদ্র দূষণ হচ্ছে নানা ভাবে৷ এই দূষণের কারণে সমস্যায় রয়েছে পরিবেশ প্রতিবেশ এবং মানুষ৷ তাই কিছু সচেতন মানুষ চেষ্টা করছেন মানুষকে বোঝাতে, নেমেছেন প্রচারে৷ প্লাস্টিক বোতলের জাহাজ ‘প্লাসটিকি’র সমুদ্রযাত্রা সেই প্রচারেরই অংশ৷

আজ আপনাদের সামনে একটা প্রশ্ন৷ বলুন তো পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ডাস্টবিন কোথায়? অনেকেই হয়তো এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন৷ যারা একটু মাথা চুলকাচ্ছেন, মানে চিন্তা করছেন, আপনার উত্তরটি সঠিক হবে কি হবে না, তাদের জন্য বলে রাখি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জঞ্জাল ফেলার জায়গাটি আমাদের স্থল ভাগে নয়! এটির অবস্থান সমুদ্রের গভীরে, উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরের মাঝে৷ আর বলে রাখা ভালো এই আবর্জনার প্রায় পুরো অংশই জুড়ে আছে প্লাস্টিকের বোতল৷ ভেবে দেখুন তো! কি সাঙ্ঘাতিক অবস্থা! এমুনিতেই সমুদ্র দূষণের কারণে প্রকৃতির উপর নেমে আসছে নানা ধরনের বিপদ৷ তার উপর এহেন অবস্থা?

তথ্য অনুসারে, সমুদ্রকে বিষাক্ত করে তোলার এই কাজটি শুরু হয় ১৯৯৭ সাল থেকে৷ আর এই কয়েক বছরে সেখানে জমা হয়েছে ১০ কোটি টনেরও বেশি আবর্জনা৷ ভাবুন তো কি শোচনীয় অবস্থা প্রকৃতি আর পরিবেশের?

২০০৬ সালে জাতিসংঘের পরিবেশ সংস্থা জানিয়েছিল, এই ডাস্টবিনের কাছে সাগরের প্রতি বর্গমাইলে গড়ে ৪৬ হাজার প্লাস্টিকের বোতল ভাসতে থাকে৷ এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি রিসাইকেল করা যায় না৷ এ সব বোতলের ৭০ শতাংশই সাগরের পানির নিচে পড়ে থাকে৷ এখন প্লাস্টিকের বোতল জমে ২০ মিটার পুরু স্তর হয়ে আছে৷ তাদের মতে, সাগরের নিচে এগুলো দেখলে মনে হয় একটা প্লাস্টিকের রাস্তা তৈরি হয়েছে৷

এ বিশাল আবর্জনার ৮০ শতাংশ আসে স্থল ভাগ থেকে৷ বাকিটা আসে জাহাজ থেকে৷ তিন হাজার যাত্রীবাহী একটি জাহাজ প্রতি সপ্তাহে ওই অঞ্চলে প্রায় আট টন করে আবর্জনা ফেলছে৷ টোকিও ইউনিভার্সিটির গবেষকরা জানালেন এ সব তথ্য৷

এই অবস্থার অবসান চান কিছু মানুষ৷ তাই তারা নেমেছেন সমুদ্রে৷ ভাসিয়েছেন ভেলা! না ভেলা নয় জাহাজ৷ ছোট একটি জাহাজ৷ এই জাহাজটি বানানো হয়েছে সমুদ্রের নীচে পড়ে থাকা সেই প্লাষ্টিক দিয়েই৷ মাত্র এক সপ্তাহে যে পরিমাণ প্লাস্টিকের বোতল জমা হয়, অর্থাৎ সাড়ে ১২ হাজার প্লাস্টিক বোতল দিয়ে বানানো হয়েছে ১২ টন ৬০ ফুট উঁচু একটি প্লাস্টিকের জাহাজ৷ নাম দেয়া হয়েছে প্লাস্টিকি৷ মানুষকে সচেতন করতেই অভিনব এই জাহাজ৷

২০ মার্চ সানফ্রান্সিসকো থেকে যাত্রা শুরুর পর ক্যালিফোর্নিয়া ও সিডনি হয়ে জাহাজ পৌঁছে গেছে অস্ট্রেলিয়ায়৷ জাহাজটি চলেছে সৌর এবং বায়ু এবং ঢেউ থেকে সৃষ্ট বিদ্যুতের মাধ্যমে৷ চার নাবিক চালাচ্ছেন এটি৷ এদের দলনায়ক ডেভিড দ্য রথশিল্ড৷

এই জাহাজের আরেক নাবিক জো রয়লে৷ তাঁর কথায়, ‘‘এটি আমার জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ৷ আমরা একটি অসাধ্য সাধন করছি৷ আমরা চাই এই সুন্দর পৃথিবী আরও সুন্দর থাকুক৷ তাই আমরা পাল তুলি৷ মানুষকে সচেতন করতেই আমাদের এই অভিযান৷''

প্লাস্টিকির এই অভিযানের পরিসমাপ্তি হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি হারবারে এসে নোঙ্গর করার পর৷ পরিবেশবাদী এই নাবিক দল জানিয়েছে, তাঁরা দাঁড় বেয়েছেন ১৫ হাজার কিলোমিটার৷ সিডনিতে নেমে এই নাবিকদের মন্তব্য, ‘আমরা খুব খুশি৷ খুব!' ডয়েচে ভেলে।


 

 

>>গাছ চিন্তা করে, মনেও রাখে

>>বৃহত্তম তারার সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা

>>প্যারিস ট্রেন ক্র্যাশঃ কি ছিল তার পেছনে

>>ডিম নয়, বিজ্ঞান বলছে, 'সম্ভবত মুরগিই!’

>>সমুদ্রতলে মাছরা পরস্পরের সঙ্গে কথা বলে

>>সবচাইতে শীতল বাদামী বামনের সন্ধান লাভ

>>রাশিয়ান কার্গো শিপ ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে থামতে ব্যর্থ হল

>>ফ্রিক ওয়েভঃ সমুদ্রের দৈত্যাকার ঢেউ

>>২০৫০ সাল নাগাদ এশিয়ার বেশিরভাগ নদীর পানিপ্রবাহ কমে যাবে

>>সিঙ্গাপুরে প্রত্যেকের জন্য ইলেকট্রনিক মেইলবক্স

>>মিশরে ৩,৬০০ বছর আগের একটি শহরের সন্ধান লাভ 

>>আগুনের সঙ্গে বসবাস

>>বিজ্ঞানের অসহায়ত্ব ভুপাল দুর্ঘটনা

>>কুমিরের সাগর পাড়ি দেবার রহস্য 

>>ছাইমেঘ থেকে বিমান বাঁচানোর নতুন উপায়

>>ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিস
>>নানা মারাত্মক রোগের কারণ প্রক্রিয়াজাত মাংস

>>মাদাগাস্কারের ছোট্ট ডুবুরি পাখি হারিয়ে গেল

>>হাবলের চোখে, গ্রহ খাদক নক্ষত্র

>>বিমান বিধ্বস্তের কাহিনী

>>ইন্দোনেশিয়ার জঙ্গলে নতুন প্রজাতির জীব আবিষ্কার

>>ছাইমেঘের জন্য বিজ্ঞানীরা প্রস্তুত

>>জোয়ান অব আর্ক
>>এশিয়ায় হুমকির মুখে পরিযায়ী পাখির দল

>>নেয়ানডার্থালরা আধুনিক মানুষের পূর্বপুরুষ

>>ডেঙ্গু প্রতিরোধে জিনগত কারণ অনুসন্ধান

>>মেক্সিকো উপসাগরে ‘এক্সোন ভালডেজ’ ঘটতে আর কতো দেরী?

>>বোর্নিওতে নতুন প্রানের সন্ধান

>>প্রথমবারের মত পুরো মুখমন্ডলের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংযোজন

>>আইসল্যান্ডে আরো বড় অগ্নুৎপাতের সম্ভাবনা বাড়ছে

>>আইসল্যান্ডেই এই, ইয়েলোস্টোন ফাটলে কি হবে?

>>আগ্নেয়গিরির ছাইয়ে প্রভাবিত বিমান, আবহাওয়া, সূর্যাস্ত

>>বাংলা বছরের সূচনা

>>বিশ লাখ বছরের পুরনো কঙ্কাল থেকে বিবর্তন ধারার সন্ধান

>>শুকিয়ে যাচ্ছে আরল সাগর

>>জেব্রাফিশঃ হৃদযন্ত্রের টিস্যু নিজেই সারিয়ে তোলে
>>হাতি -ফোর হুইল ড্রাইভ

>>গ্রহাণুর ওপর নজর রাখবে নতুন ‘কমপ্যাক্ট’ স্যাটেলাইট

>>প্রবালেরা মারা যাচ্ছেঃ বিভিন্ন দেশে নেমে আসতে পারে বিপর্যয়

>>মৌমাছির হুল ফোটানোয় অসুখ সারে!!

>>মায়া সভ্যতা

>>অ্যাকিলিস

>>২০১৪ সালে চালু হচ্ছে গ্যালিলিও

>>"সেটি" প্রকল্পের ৫০ বছর

>>প্রাচীন মানবের পূর্ণাঙ্গ জিন বিশ্লেষণ
>>ধ্বসে যেতে পারে পশ্চিম এন্টার্কটিকা

>>ঝড়ের সংখ্যা কমে বাড়তে পারে গতি

>>শিরাকাওয়া-গো এবং গোকাইয়ামা

>>পৃথিবীর গভীরতম স্থানঃ চ্যালেঞ্জার ডিপ

>>সুপার ভলকেন

>>চীনে হাজার হাজার ডাইনোসরের পায়ের চিহ্ন

>>শিকোকুর তাকামাত্সুঃ প্রকৃতি, ইতিহাস আর ঐতিহ্যের সংমিশ্রন

>>তিমি কাহিনী

>>মাউন্ট সেন্ট হেলেনের অগ্নুৎপাত

>>ছাদ উড়ে যাওয়া বিমানের কাহিন

>>টর্নেড

>>জলবায়ু পরিবর্তনে গাছপালা ও প্রাণীকূল সর্বোচ্চ হুমকির মুখে

>>ভূপাল বিপর্যয়

>>মাছেরা যেদিন ডাঙায় উঠল

>>মহাবিশ্বে অজানা গরম বস্তু!

>>এয়ার ক্র্যাশ ইনভেস্টিগেশনঃ মাঝ আকাশে দুই বিমানের সংঘর্ঘ

>>তেনেরিফেঃ এভিয়েশন ইতিহাসের সবচাইতে বড় দুর্ঘটনা

>>সুপার কন্টিনেন্টের ভাঙাগড়া

>>কিং কোবরা

>>লেক চুজেনজিঃ মনমাতানো একটি লেক

>>রোমানিয়ায় কমিউনিস্ট বিরোধী বিপ্লবের ২০ বছর

>>ঐতিহাসিক নগরী কামাকুরা

>>গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের রহস্য

>>একাত্তুরের টুকরো ছবি
>>একাত্তুরের গনহত্যা
>>চ্যানেল স্ক্যাবল্যান্ডস

>>চীন জাপান যুদ্ধ
>>সাপ্পোরোর ইয়ূকি মাতসুরি

>>যশোর রোড
>>ইয়াইয়ামাঃ অবকাশ যাপনের অদ্বিতীয় স্থান
>>ইয়াকুশিমাঃ জাপানের প্রাচীনতম বৃক্ষরাজির দ্বীপ

>>মাতসুশিমাঃ জাপানের অন্যতন দর্শনীয় স্থান
>>ওসাকা ক্যাসেল
>>বিশ্বের ব্যাস্ততম ষ্টেশন শিঞ্জুক

 

 

[প্রথমপাতা]