[প্রথমপাতা]

 

 

 

 

রহস্য খুলছে বরফ মানব

 

এই আল্পস পর্বতেই পাওয়া গিয়েছিল বরফ মানবের সন্ধান

 

কমিউনিটি রিপোর্ট ।।

৫ হাজার বছর আগের বরফ মানবের জিনোম আবিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা৷ এর মধ্য দিয়ে বর্তমান মানুষের সঙ্গে তাদের যোগসূত্রের হদিস মিলবে৷ বিজ্ঞানীদের আশা, জটিল সব রোগের উদ্ভবের কারণও জানা যাবে এর ফলে৷

২০ বছর আগের কথা৷ আল্পসে উঠছিলেন দুই জার্মান হেলমুট আর এরিকা সিমন৷ হঠাৎই সেখানে এক আদি মানবের সন্ধান পান তাঁরা৷ অবশ্য জীবন্ত নয়, একটি মমি৷ সেটাই বরফ মানব৷ এই অজানাকে জানার চেষ্টার শুরু সেখানেই৷ হিসেব করে বের করা হলো, আজ থেকে ৫ হাজার বছর আগে এই বিশ্বেই চলাফেরা ছিল বরফ মানবের৷ হোমো স্যাপিয়ন্সের মানে বর্তমান মানবের নিকটতম আদি পুরুষের অন্যতম তারা৷ গত সপ্তাহে জানানো হলো, বরফ মানবের সৃষ্টি রহস্যের কিনারা করা গেছে৷ তার মানে হচ্ছে, তাদের জিনোম আবিষ্কার হয়েছে, কাজ চলছে জেনেটিক ম্যাপ তৈরির৷ কাজটি করছেন জার্মানি আর ইতালির এক দল গবেষক৷ তাঁরা আশবাদী, বরফ মানব শুধু নিজেদের রহস্যই খুলবে না, বর্তমান মানবের সঙ্গে তাদের ছিন্ন সূত্র জোড়াও লাগিয়ে দেবে৷

১৯৯১ সালে বরফ মানবের সন্ধান পাওয়ার পর থেকেই তা ব্যস্ত রেখেছে বিজ্ঞানীদের৷ বিভিন্ন নমুনাও সংগ্রহ করা হয়৷ জোগাড় করা হয় বরফ মানবের ব্যবহার করা বিভিন্ন উপকরণও৷ অন্যদিকে কী জানা গেল, তা শুনতে আগ্রহী ছিল অনেকে৷ যা নিয়ে বলছিলেন গবেষক আলবার্ট জিংক৷ তাঁর কথায়, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা চলছে বরফমানব নিয়ে, তাই অনেকে জানতে চাচ্ছিলো, আমরা কী কী পেয়েছি৷ এই কৌতূহল অস্বাভাবিক নয় মোটেই৷''

বরফ মানবের মমিটি রয়েছে ইতালির উত্তরাঞ্চলের দক্ষিণ টিরলের প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘরে৷ আর এই জাদুঘরটি যে প্রতিষ্ঠানের সেই ‘ইন্সটিটিউট ফর মমি অ্যান্ড দি আইসম্যান' এর প্রধানের দায়িত্বে আছেন জিংক৷ ইতালির ইউরোপিয়ান একাডেমি অফ বোজেনের কর্মকর্তাও তিনি৷ জিনোম আবিষ্কারের পর কী, তা জানালেন জিংক৷ তিনি বললেন, ‘‘গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো এই যে বরফ মানবের জিনোম আবিষ্কারের পরের ধাপ কী? এখন আমাদের আরো রহস্যের জট খুলতে হবে৷ উত্তর খুঁজতে হবে অনেক প্রশ্নের৷ তার মানে হলো, কাজ বেড়ে গেল এবং তা গুরুত্বপূর্ণও৷ তবে তা মনে করতেই আমার ভালো লাগছে৷''

জিনোম সিকোয়েন্স আবিষ্কার করা মানে হলো, বিজ্ঞানীরা এখন বরফ মানবের জিনগত বৈশিষ্ট্যের নকশা পেয়ে গেলেন৷ এই নকশা আলাদা হওয়ার কারণেই প্রত্যেকটি জীব দেখতে আলাদা, তাদের আচরণ আলাদা৷ আধুনিক মানবের জিনোম সিকোয়েন্স আবিষ্কার হয়েছে এক যুগেরও বেশি সময় আগে৷ এরপর বিভিন্ন প্রাণী ও উদ্ভিদের জিনোম আবিষ্কারের ঘোষণা থেকে থেকেই আসছে৷ এই তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন হল বরফ মানব৷ এর পেছনে শ্রম দেওয়ার প্রসঙ্গ সম্পর্কে জিংক বললেন, ‘‘আমরা দেখতে চাই, বিবর্তনের কোন ধাপে, কীভাবে বরফ মানব এল৷ তারা কী এমন কোনো জীনগত বৈশিষ্ট্য নিয়ে ছিলো, যা কোনো রোগের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত৷ আমরা জানতে চাই, তাদের খাদ্যভ্যাস কেমন ছিল, তারা কি দুধ হজম করতে পারত৷ তাদের বিবর্তনের ধাপগুলো জানতে এইসব প্রশ্নের উত্তর মেলা জরুরি৷''

বরফ মানবের জিনোম বিশ্লেষণে এক সময় উঠেপড়ে লেগেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা ইউনিভার্সিটির নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক অ্যানি স্টোন৷ তখন তিনি শিক্ষার্থী ছিলেন, এখন শিক্ষক৷ অ্যানি যে সময়টাতে কাজ করেছিলেন, তখন জিনোম সিকোয়েন্স বের করা ছিল অনেক কঠিন৷ কারণ এখনকার মতো প্রযুক্তি পাওয়া তখন সহজ ছিল না৷ তাই সফল হতে পারেননি অ্যানি৷ এখন জিনোম আবিষ্কারের খবরে তিনিও খুশি৷ তবে সেই সঙ্গে একটু সতর্কবার্তাও দিলেন৷ অ্যানি জানালেন, ‘‘এটা বরফ মানবের মাত্র একটি নমুনা৷ এ থেকে এই জনগোষ্ঠী সম্পর্কে অনেক কিছুই জানা যেতে পারে৷ তবে ওই সময়টাকে পুরোপুরি ধরতে হলে আরো নমুনা চাই৷ অন্তত ২৫ থেকে ৫০টি নমুনা৷''

তবে আশাবাদী জিংক৷ তিনি মনে করছেন, একটি নমুনা থেকেও মিলতে পারে অনেক প্রশ্নের উত্তর৷ ডায়াবেটিসের মতো রোগ কীভাবে এলো, তার তার কারণও বেরিয়ে আসতে পারে বলে মনে করছেন জিংক৷ তা হলে এই রোগের নিরাময় অনেকটা সহজ হয়ে যাবে৷ জিংক বলছেন, হয়তো দেখা যাবে আলপাইন অঞ্চলের মানুষ এখনো বরফ মানবের ডিএনএ-এর কিছু বৈশিষ্ট্য ধারণ করছেন৷ তাহল সেটা হবে বিজ্ঞানীদের জন্য একটা দারুণ খবর৷ জিংক আরো জানান, ‘‘এটা খুবই মজার হবে যে এই বরফ মানবের জীনের সঙ্গে যদি অপেক্ষাকৃত দূরের অন্য কোনো আদি মানবের জিনের সমরূপতা মেলে৷ এমনও হতে পারে ওই জীনের কিছু গঠনবৈশিষ্ট্য বর্তমান যুগেও পরিবাহিত হচ্ছে৷''

সৃষ্টি রহস্য আবিষ্কার হয়েছে৷ এখন চলছে জেনেটিক ম্যাপ তৈরির কাজ৷ এতে হাত লাগিয়েছন হাইডেলব্যার্গের জীনতাত্ত্বিক আন্দ্রেয়াস কেলারও৷ তিনি বললেন, ‘‘আমরা জানি, তিনশ কোটি ডিএনএ নিয়ে আমাদের কাজ করতে হচ্ছে৷ কাজের আধেকটা প্রায় হয়ে গেছে৷ আগামী চার মাসের মধ্যে বাকিটাও হয়ে যাবে, সেই আশাই করছি৷''

আর মানে হলো, আর মাত্র কয়েকটা মাস, ৫ হাজার বছরের রহস্যের অবগুণ্ঠন খুলছে বলে৷ ডয়েচে ভেলে।
 


 

>>আনবিক বোমা

>>বন্যপ্রাণী ঠেকাতে মরিচের গুঁড়ো

>>শেষ হলো প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে বানানো জাহাজের অভিযান

>>গাছ চিন্তা করে, মনেও রাখে

>>বৃহত্তম তারার সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা

>>প্যারিস ট্রেন ক্র্যাশঃ কি ছিল তার পেছনে

>>ডিম নয়, বিজ্ঞান বলছে, 'সম্ভবত মুরগিই!’

>>সমুদ্রতলে মাছরা পরস্পরের সঙ্গে কথা বলে

>>সবচাইতে শীতল বাদামী বামনের সন্ধান লাভ

>>রাশিয়ান কার্গো শিপ ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে থামতে ব্যর্থ হল

>>ফ্রিক ওয়েভঃ সমুদ্রের দৈত্যাকার ঢেউ

>>২০৫০ সাল নাগাদ এশিয়ার বেশিরভাগ নদীর পানিপ্রবাহ কমে যাবে

>>সিঙ্গাপুরে প্রত্যেকের জন্য ইলেকট্রনিক মেইলবক্স

>>মিশরে ৩,৬০০ বছর আগের একটি শহরের সন্ধান লাভ 

>>আগুনের সঙ্গে বসবাস

>>বিজ্ঞানের অসহায়ত্ব ভুপাল দুর্ঘটনা

>>কুমিরের সাগর পাড়ি দেবার রহস্য 

>>ছাইমেঘ থেকে বিমান বাঁচানোর নতুন উপায়

>>ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিস
>>নানা মারাত্মক রোগের কারণ প্রক্রিয়াজাত মাংস

>>মাদাগাস্কারের ছোট্ট ডুবুরি পাখি হারিয়ে গেল

>>হাবলের চোখে, গ্রহ খাদক নক্ষত্র

>>বিমান বিধ্বস্তের কাহিনী

>>ইন্দোনেশিয়ার জঙ্গলে নতুন প্রজাতির জীব আবিষ্কার

>>ছাইমেঘের জন্য বিজ্ঞানীরা প্রস্তুত

>>জোয়ান অব আর্ক
>>এশিয়ায় হুমকির মুখে পরিযায়ী পাখির দল

>>নেয়ানডার্থালরা আধুনিক মানুষের পূর্বপুরুষ

>>ডেঙ্গু প্রতিরোধে জিনগত কারণ অনুসন্ধান

>>মেক্সিকো উপসাগরে ‘এক্সোন ভালডেজ’ ঘটতে আর কতো দেরী?

>>বোর্নিওতে নতুন প্রানের সন্ধান

>>প্রথমবারের মত পুরো মুখমন্ডলের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংযোজন

>>আইসল্যান্ডে আরো বড় অগ্নুৎপাতের সম্ভাবনা বাড়ছে

>>আইসল্যান্ডেই এই, ইয়েলোস্টোন ফাটলে কি হবে?

>>আগ্নেয়গিরির ছাইয়ে প্রভাবিত বিমান, আবহাওয়া, সূর্যাস্ত

>>বাংলা বছরের সূচনা

>>বিশ লাখ বছরের পুরনো কঙ্কাল থেকে বিবর্তন ধারার সন্ধান

>>শুকিয়ে যাচ্ছে আরল সাগর

>>জেব্রাফিশঃ হৃদযন্ত্রের টিস্যু নিজেই সারিয়ে তোলে
>>হাতি -ফোর হুইল ড্রাইভ

>>গ্রহাণুর ওপর নজর রাখবে নতুন ‘কমপ্যাক্ট’ স্যাটেলাইট

>>প্রবালেরা মারা যাচ্ছেঃ বিভিন্ন দেশে নেমে আসতে পারে বিপর্যয়

>>মৌমাছির হুল ফোটানোয় অসুখ সারে!!

>>মায়া সভ্যতা

>>অ্যাকিলিস

>>২০১৪ সালে চালু হচ্ছে গ্যালিলিও

>>"সেটি" প্রকল্পের ৫০ বছর

>>প্রাচীন মানবের পূর্ণাঙ্গ জিন বিশ্লেষণ
>>ধ্বসে যেতে পারে পশ্চিম এন্টার্কটিকা

>>ঝড়ের সংখ্যা কমে বাড়তে পারে গতি

>>শিরাকাওয়া-গো এবং গোকাইয়ামা

>>পৃথিবীর গভীরতম স্থানঃ চ্যালেঞ্জার ডিপ

>>সুপার ভলকেন

>>চীনে হাজার হাজার ডাইনোসরের পায়ের চিহ্ন

>>শিকোকুর তাকামাত্সুঃ প্রকৃতি, ইতিহাস আর ঐতিহ্যের সংমিশ্রন

>>তিমি কাহিনী

>>মাউন্ট সেন্ট হেলেনের অগ্নুৎপাত

>>ছাদ উড়ে যাওয়া বিমানের কাহিন

>>টর্নেড

>>জলবায়ু পরিবর্তনে গাছপালা ও প্রাণীকূল সর্বোচ্চ হুমকির মুখে

>>ভূপাল বিপর্যয়

>>মাছেরা যেদিন ডাঙায় উঠল

>>মহাবিশ্বে অজানা গরম বস্তু!

>>এয়ার ক্র্যাশ ইনভেস্টিগেশনঃ মাঝ আকাশে দুই বিমানের সংঘর্ঘ

>>তেনেরিফেঃ এভিয়েশন ইতিহাসের সবচাইতে বড় দুর্ঘটনা

>>সুপার কন্টিনেন্টের ভাঙাগড়া

>>কিং কোবরা

>>লেক চুজেনজিঃ মনমাতানো একটি লেক

>>রোমানিয়ায় কমিউনিস্ট বিরোধী বিপ্লবের ২০ বছর

>>ঐতিহাসিক নগরী কামাকুরা

>>গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের রহস্য

>>একাত্তুরের টুকরো ছবি
>>একাত্তুরের গনহত্যা
>>চ্যানেল স্ক্যাবল্যান্ডস

>>চীন জাপান যুদ্ধ
>>সাপ্পোরোর ইয়ূকি মাতসুরি

>>যশোর রোড
>>ইয়াইয়ামাঃ অবকাশ যাপনের অদ্বিতীয় স্থান
>>ইয়াকুশিমাঃ জাপানের প্রাচীনতম বৃক্ষরাজির দ্বীপ

>>মাতসুশিমাঃ জাপানের অন্যতন দর্শনীয় স্থান
>>ওসাকা ক্যাসেল
>>বিশ্বের ব্যাস্ততম ষ্টেশন শিঞ্জুক

 

 

[প্রথমপাতা]