[প্রথমপাতা]

 

 

মেগা ফ্লাডঃ চ্যানেল্ড স্ক্যাবল্যান্ডসের ভয়ঙ্কর বন্যা



কমিউনিটি রিপোর্ট ।।

মনুমেন্ট ভ্যালি, নায়াগ্রা জলপ্রপাত, গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন প্রকৃতির এইসব সৃষ্টি গুলো পৃথিবীর মানুষের কাছে হয়ে রয়েছে চরম বিস্ময়। কি করে শত সহস্র বছর ধরে এগুলো তৈরি হয়েছে, বাতাস ও পানিতে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে, নানা রূপে পরিবর্তীত হয়ে তারা বর্তমান চেহারায় আবির্ভূত হয়েছে।

এদের মধ্যে আমেরিকার ওয়াশিংটন ষ্টেট এর চ্যানেল্ড স্ক্যাবল্যান্ডস প্রকৃতির অন্য সব রহস্যকে ছাপিয়ে গেছে। এর মত এমন বিস্ময় পৃথিবীতে আর দ্বিতীয়টি নেই। হাজার ফুট গভীর গিরিখাত, নায়াগ্রার চাইতেও ৫ গুন বিশাল জলবিহীন জলপ্রপাত, পলি আর ছাইয়ের আস্তর, গভীর সমবর্তুল গর্ত আর রয়েছে ছড়িয়ে থাকা দশাসই পাথর।

কি করে এমন অদ্ভুত একটি স্থানের উৎপত্তি ঘটল? বিজ্ঞানীরা অন্ততঃ শত বছর ধরে গবেষনা চালিয়ে যাচ্ছেন এর রহস্যভেদ করার জন্য। সাধারন ভাবে দেখলে মনে হবে এখানে লক্ষ লক্ষ বছর আগে কোন একটি বিশাল নদী ছিল যার অস্তিত্ব এখন আর নেই। কিন্তু নদীর উৎস নিয়ে বরাবরই বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তা ছাড়া কারো মতে এটা ছিল খরশ্রোতা নদী। আবার কেউ বলেন মন্থর গতির নদী। খরশ্রোতাদের পক্ষের যুক্তি হলো পৃথিবীতে আর কোন নদীর তলদেশে এত বিশাল পটহোল বা দ্রুত পানি প্রবাহিত হবার ফলে ভুমিতে সৃষ্ট এত বিশাল গোলাকার গর্ত দেখা যায়না। যারা বলেন মন্থর গতির নদী তাদের যুক্তি হলো অসংখ্য স্তরের অস্তিত্ব। এমন স্তর পড়তে পারে কেবলমাত্র মন্থর গতির নদীতে। ধীরে ধীরে তলানি পড়ে এই স্তরের উদ্ভব।

আরেকটি রহস্য জনক বিষয় হলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা গ্রানাইডের তৈরি পাথর। এই এলাকার আশেপাশের শত শত মাইলের মধ্যে গ্রানাইডের কোন অস্তিত্বই নেই। তাহলে এখানে গ্রানাইডের পাথর এলো কোত্থেকে? এখানে এমন পাথরও আছে আর ওজন একশ টনেরও বেশী। সাধারন নদীর পানি এভাবে বয়ে নিয়ে আসবে তাও অবিশ্বাস্য।

১৯২০র দশকে ভূবিজ্ঞানী হার্লেন ব্রেটস একটি অভিনব তত্ব আবিস্কার করেন। তিনি বলেন পানি ধীর লয়ে নয় বরং ক্ষিপ্রগতিতে প্রায় একহাজার ফুট উঁচু হয়ে বিপুল পরিমান পানি স্ক্যাবল্যান্ডসের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। ১৯২৭ সালের ২রা জানুয়ারী তিনি যখন তার এই তত্ব উপস্থাপন করেন। শুনেই অন্যসব ভূতত্ববিদরা তাকে প্রায় উড়িয়ে দিলেন। তার এই তত্বের একটি দুর্বল দিক হলো ব্রেটস জানতেননা এত পানি হঠাৎ এক সাথে কোথা থেকে এলো।

অনেক বছর ধরেও সমস্যার সমাধান না হওয়ায় আবার হার্লেন ব্রেটস এর তত্ব নিয়ে কেউ কেউ পুনরায় চিন্তা ভাবনা করতে থাকেন। স্ক্যাবল্যান্ডস থেকে আড়াইশ মাইল পূর্বে একটি শহর আছে নাম "মাজুলা মন্টেনা"। শহরটিকে ঘিরে আছে ছোটবড় পাহাড়। পাহাড়ের গায়ে যে পানি প্রবাহের সারি সারি দাগ রয়েছে কেউ সেটা কোনদিন খেয়াল করে দেখেনি। যখন ভূতত্ববিদদের নজরে আসল বিষয়টি তখন তারা ধীরে ধীরে পুরো ব্যাপারটি বুঝতে শুরু করলেন।

কুড়ি হাজার বছর আগে যখন পৃথিবীতে সর্বশেষ আইসএজ চলছিল তখন একটি হিমবাহ কানাডা অতিক্রম করে আমেরিকায় চলে আসে। হিমবাহটি ক্লার্ক ফোর্ক নদীকে আড়াআড়ি ভাবে অতিক্রম করে সামনে পাহাড়ের সাথে আটকে যায়। ফলে তৈরি হয় একটি আইস ড্যাম বা বরফের বাঁধ। অন্ততঃ মাইল খানেক উঁচু এই বাঁধ ক্লার্ক ফোর্ককে দুভাগে ভাগ করে দেয়। একপাশে জমতে থাকে ক্লার্ক নদীর পানি। পানি জমার ফলে বরফের ফাটল দিয়ে পানি হিমবাহর ভেতর প্রবেশ করে বাঁধটিকে দুর্বল করে দিতে থাকে। এরপর একসময় হিমবাহ সৃষ্ট বাঁধটি বিধ্বস্ত হয়ে যায়। চোখের পলকে হাজার ফুটি উঁচু পানির শ্রোত ভাসিয়ে দেয় পুরো স্ক্যাবল্যান্ড এলাকাকে। বরফ ও পানির পিলুল তোড়ে গ্রানাইডের ভারী পাথর কে ভাসিয়ে নিয়ে আসে এ অঞ্চলে। সৃষ্টি হয় বিশালকায় পটহোল। মাত্র ঘন্টা খানেকের মধ্যে এই বিপুল জলরাশি গিয়ে মেলে প্রশান্ত মহাসাগরে।

অবশেষে ভূতত্ববিদরা দেখলেন হার্লেন ব্রেটস ঠিক বলেছিলেন। তাকে ১৯৮০ সালে এই তত্বের জন্য পুরস্কৃত করা হয়। কিন্তু যে বিষয়টি অব্যাখ্যাকৃত রয়ে গিয়েছিল তা হলো খরশ্রোতা নদীতে স্তর পড়ল কি করে?

পরবর্তীতে আরো অনেক গবেষনায় প্রমান পাওয়া গেল স্ক্যাবল্যান্ডস একবার দু'বার নয় বারবার এরকম প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের শিকার হয়েছিল। যেগুলো প্রতিবার স্ক্যাবল্যান্ডসের দু'পাশে স্তর ফেলে দিয়েছে।

 

 

>>তেনেরিফেঃ এভিয়েশন ইতিহাসের সবচাইতে বড় দুর্ঘটনা

>>রহস্য খুলছে বরফ মানব

>>আনবিক বোমা

>>বন্যপ্রাণী ঠেকাতে মরিচের গুঁড়ো

>>শেষ হলো প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে বানানো জাহাজের অভিযান

>>গাছ চিন্তা করে, মনেও রাখে

>>বৃহত্তম তারার সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা

>>প্যারিস ট্রেন ক্র্যাশঃ কি ছিল তার পেছনে

>>ডিম নয়, বিজ্ঞান বলছে, 'সম্ভবত মুরগিই!’

>>সমুদ্রতলে মাছরা পরস্পরের সঙ্গে কথা বলে

>>সবচাইতে শীতল বাদামী বামনের সন্ধান লাভ

>>রাশিয়ান কার্গো শিপ ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে থামতে ব্যর্থ হল

>>ফ্রিক ওয়েভঃ সমুদ্রের দৈত্যাকার ঢেউ

>>২০৫০ সাল নাগাদ এশিয়ার বেশিরভাগ নদীর পানিপ্রবাহ কমে যাবে

>>সিঙ্গাপুরে প্রত্যেকের জন্য ইলেকট্রনিক মেইলবক্স

>>মিশরে ৩,৬০০ বছর আগের একটি শহরের সন্ধান লাভ 

>>আগুনের সঙ্গে বসবাস

>>বিজ্ঞানের অসহায়ত্ব ভুপাল দুর্ঘটনা

>>কুমিরের সাগর পাড়ি দেবার রহস্য 

>>ছাইমেঘ থেকে বিমান বাঁচানোর নতুন উপায়

>>ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিস
>>নানা মারাত্মক রোগের কারণ প্রক্রিয়াজাত মাংস

>>মাদাগাস্কারের ছোট্ট ডুবুরি পাখি হারিয়ে গেল

>>হাবলের চোখে, গ্রহ খাদক নক্ষত্র

>>বিমান বিধ্বস্তের কাহিনী

>>ইন্দোনেশিয়ার জঙ্গলে নতুন প্রজাতির জীব আবিষ্কার

>>ছাইমেঘের জন্য বিজ্ঞানীরা প্রস্তুত

>>জোয়ান অব আর্ক
>>এশিয়ায় হুমকির মুখে পরিযায়ী পাখির দল

>>নেয়ানডার্থালরা আধুনিক মানুষের পূর্বপুরুষ

>>ডেঙ্গু প্রতিরোধে জিনগত কারণ অনুসন্ধান

>>মেক্সিকো উপসাগরে ‘এক্সোন ভালডেজ’ ঘটতে আর কতো দেরী?

>>বোর্নিওতে নতুন প্রানের সন্ধান

>>প্রথমবারের মত পুরো মুখমন্ডলের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংযোজন

>>আইসল্যান্ডে আরো বড় অগ্নুৎপাতের সম্ভাবনা বাড়ছে

>>আইসল্যান্ডেই এই, ইয়েলোস্টোন ফাটলে কি হবে?

>>আগ্নেয়গিরির ছাইয়ে প্রভাবিত বিমান, আবহাওয়া, সূর্যাস্ত

>>বাংলা বছরের সূচনা

>>বিশ লাখ বছরের পুরনো কঙ্কাল থেকে বিবর্তন ধারার সন্ধান

>>শুকিয়ে যাচ্ছে আরল সাগর

>>জেব্রাফিশঃ হৃদযন্ত্রের টিস্যু নিজেই সারিয়ে তোলে
>>হাতি -ফোর হুইল ড্রাইভ

>>গ্রহাণুর ওপর নজর রাখবে নতুন ‘কমপ্যাক্ট’ স্যাটেলাইট

>>প্রবালেরা মারা যাচ্ছেঃ বিভিন্ন দেশে নেমে আসতে পারে বিপর্যয়

>>মৌমাছির হুল ফোটানোয় অসুখ সারে!!

>>মায়া সভ্যতা

>>অ্যাকিলিস

>>২০১৪ সালে চালু হচ্ছে গ্যালিলিও

>>"সেটি" প্রকল্পের ৫০ বছর

>>প্রাচীন মানবের পূর্ণাঙ্গ জিন বিশ্লেষণ
>>ধ্বসে যেতে পারে পশ্চিম এন্টার্কটিকা

>>ঝড়ের সংখ্যা কমে বাড়তে পারে গতি

>>শিরাকাওয়া-গো এবং গোকাইয়ামা

>>পৃথিবীর গভীরতম স্থানঃ চ্যালেঞ্জার ডিপ

>>সুপার ভলকেন

>>চীনে হাজার হাজার ডাইনোসরের পায়ের চিহ্ন

>>শিকোকুর তাকামাত্সুঃ প্রকৃতি, ইতিহাস আর ঐতিহ্যের সংমিশ্রন

>>তিমি কাহিনী

>>মাউন্ট সেন্ট হেলেনের অগ্নুৎপাত

>>ছাদ উড়ে যাওয়া বিমানের কাহিন

>>টর্নেড

>>জলবায়ু পরিবর্তনে গাছপালা ও প্রাণীকূল সর্বোচ্চ হুমকির মুখে

>>ভূপাল বিপর্যয়

>>মাছেরা যেদিন ডাঙায় উঠল

>>মহাবিশ্বে অজানা গরম বস্তু!

>>এয়ার ক্র্যাশ ইনভেস্টিগেশনঃ মাঝ আকাশে দুই বিমানের সংঘর্ঘ

>>সুপার কন্টিনেন্টের ভাঙাগড়া

>>কিং কোবরা

>>লেক চুজেনজিঃ মনমাতানো একটি লেক

>>রোমানিয়ায় কমিউনিস্ট বিরোধী বিপ্লবের ২০ বছর

>>ঐতিহাসিক নগরী কামাকুরা

>>গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের রহস্য

>>একাত্তুরের টুকরো ছবি
>>একাত্তুরের গনহত্যা
>>চীন জাপান যুদ্ধ
>>সাপ্পোরোর ইয়ূকি মাতসুরি

>>যশোর রোড
>>ইয়াইয়ামাঃ অবকাশ যাপনের অদ্বিতীয় স্থান
>>ইয়াকুশিমাঃ জাপানের প্রাচীনতম বৃক্ষরাজির দ্বীপ

>>মাতসুশিমাঃ জাপানের অন্যতন দর্শনীয় স্থান
>>ওসাকা ক্যাসেল
>>বিশ্বের ব্যাস্ততম ষ্টেশন শিঞ্জুক

 

 

[প্রথমপাতা]